
শ্রেণি – নবম | বিভাগ – নবম শ্রেণির প্রশ্ন উত্তর | অধ্যায় – ধীবর বৃত্তান্ত
প্রশ্ন উত্তর আলোচনায় রইল নবম শ্রেণির বাংলা বিভাগ থেকে ধীবর বৃত্তান্ত নাট্য গল্পের একটি অতি গুরুত্বপূর্ণ প্রশ্নের উত্তর আলোচনা।
প্রশ্নঃ ধীবর বৃত্তান্ত অবলম্বনে ধীবরের চরিত্র আলোচনা করো।
উত্তরঃ বিশিষ্ট ধ্রুপদী সংস্কৃত কবি কালিদাসের নাটক ‘অভিজ্ঞানম শকুন্তলা’ নামক সংস্কৃত কাব্যগ্রন্থের একটা ছোট অংশ ‘ধীবর – বৃত্তান্ত’ নাট্যদৃশ্যের প্রধান চরিত্র হল ধীবর। এই নাট্যাংশটি ধীবরকে কেন্দ্র করেই আবর্তিত হয়েছে। নাট্যাংশটি থেকে আমরা ধীবর চরিত্রের বেশ কিছু দিক লক্ষ্য করতে পারি।
আত্মমর্যাদাবোধ – নাট্যাংশে যখন রাজ-শ্যালক তাকে তাঁর জীবিকা সম্পর্কে ব্যাঙ্গ করে তখন ধীবর সেই কথার তীব্র প্রতিবাদ করে। মনে রাখতে হবে ধীবর তখন বন্দী, বন্দী হওয়া সত্ত্বেও সে তার বক্তব্য রাখতে পিছপা হয় না। সে বলে “যে বৃত্তি নিয়ে মানুষ জন্মেছে, সেই বৃত্তি নিন্দনীয় হলেও তা পরিত্যাগ করা উচিৎ নয়।” এই বক্তব্যর মধ্যে দিয়ে ধীবরের চরিত্রের দৃঢ়তা ফুটে উঠেছে।
সততা – ধীবরের কথোপকথনের মধ্যে সততার ছাপ স্পষ্ট। ধীবর প্রথম থেকেই তার পরিচয় সঠিক ভাবে দিয়েছে, সে কি করে, কোথায় থাকে, আংটিটি কিভাবে পেয়েছে ইত্যদি সে কোন ভাবেই গোপন করেনি। এমনকি আংটি প্রাপ্তির ঘটনা বলার পর, ধীবর বলে ‘এখন মারতে হয় মারুন, ছেড়ে দিতে হয় ছেড়ে দিন। কিভাবে এই আংটি আমার কাছে এসেছে তা বললাম।’
স্পষ্টভাষী – ধীবর স্পষ্টভাষী। তাকে গ্রেফতার করার পর দুই রক্ষী যখন তাকে কিভাবে মারা হবে তা আলোচনা করছে, তখন ধীবর বলে ওঠে – ‘মহাশয়, বিনা দোষে আমাকে মারবেন না’। আবার যখন রাজ – শ্যালকের কথায় ধীবরকে ছেড়ে দেওয়া হয় তখন স্পষ্টভাবে সে বলে “প্রভু, আজ আমার সংসার চলবে কিভাবে?”।
এইভাবে ‘ধীবর – বৃত্তান্ত’ নাট্যাংশে ধীবরের চরিত্রের বিভিন্ন দিকগুলি ফুটে উঠছে।
নবম শ্রেণির প্রশ্ন উত্তর → বাংলা | ইতিহাস | ভূগোল | জীবন বিজ্ঞান | ভৌতবিজ্ঞান
WBPorashona.com-এর পোস্ট আপডেট নিয়মিত পাওয়ার জন্য –
- ফলো করো → WhatsApp চ্যানেল
- সাবস্ক্রাইব করো → YouTube চ্যানেল
- লাইক করো → Facebook পেইজ
- সাবস্ক্রাইব করো → টেলিগ্রাম চ্যানেল
আমাদের কাজ থেকে উপকৃত হলে এই লেখাটি বন্ধুদের সাথে শেয়ার করার অনুরোধ রইল।