শ্রেণি – নবম | বিভাগ – নবম শ্রেণির প্রশ্ন উত্তর | অধ্যায় – হিমালয় দর্শন
শুরু হল নতুন বিভাগ – প্রশ্ন উত্তর। আজকের প্রশ্ন উত্তর আলোচনায় রইল নবম শ্রেণির বাংলা বিভাগ থেকে হিমালয় দর্শন গল্প থেকে একটি অতি গুরুত্বপূর্ণ প্রশ্নের উত্তর আলোচনা।
প্রশ্নঃ “পথের দুইধারে মনোরম দৃশ্য” – ‘হিমালয় দর্শন’ অনুসরণে মনোরম দৃশ্যের পরিচয় দাও।
উত্তর – বেগম রোকেয়া রচিত ‘হিমালয় দর্শন’ প্রবন্ধে থেকে আমরা জানতে পারি যে, লেখিকা ছুটি কাটানোর লক্ষ্যে সপরিবারে দার্জিলিং ভ্রমণে গিয়েছেন। তাঁর শিলিগুড়ি থেকে কারসিয়ং যাত্রাপত্রের অসাধারণ বর্ণনা এই প্রবন্ধে আমরা লক্ষ্য করি।
পাহাড়ি পথের শোভা
লেখিকা রেলপথে শিলিগুড়ি পৌঁছানোর পর, টয়ট্রেনে হিমালয় রেল রোড ধরে কারসিয়ং-এর দিকে যাত্রা শুরু করেন। আঁকা – বাঁকা পাহাড়ি পথ ধরে খেলনা গাড়ির সুন্দর ট্রেন চলতে থাকে এবং চারিপাশের অপরূপ সৌন্দর্য ক্রমশ দৃশ্যমান হয়।
পর্বত – অরণ্যে ঘেরা মেঘের রাজ্য
পথের দুইধারে কোথাও সুউচ্চ চুড়া আবার কোথাও নিবিড় অরণ্য দেখতে দেখতে লেখিকার মনে হয় তিনি যেন মেঘের রাজ্যে প্রবেশ করেছেন। নীচের উপত্যকায় সাদা কুয়াশা দেখে লেখিকার নদী বলে ভুল হয়। চারিদিকে ছড়িয়ে থাকা চা বাগান প্রকৃতির শোভা বহুগুণে বৃদ্ধি করে। বাগানের মাঝে পায়ে চলার পথগুলিকে লেখিকার ‘ধরণীর সীমান্ত’ বলে মনে হয়। তাঁর মনে হয় ঘন সবুজ বন যদি ধরণীর কেশ হয় তাহলে পথগুলি যেন তার সিঁথি। পথের দুইপাশে থাকা গাছ, লতা, ঘাস সবকিছুই অসামান্য সুন্দর বলে লেখিকার মনে হয়।
একটি বড় ঝরনার কাছে ট্রেন থামলে, জলপ্রপাতের সৌন্দর্যে লেখিকা বিস্মিত হয়ে যান। তাঁর মনে হয় পাহাড়ের পাষাণ হৃদয় ভেদ করে ধরনা ছুটে চলেছে।
এইভাবে লেখিকা তাঁর রেলপথে দেখা মনোরম দৃশ্যের বর্ণনা লিপিবদ্ধ করেছেন।
আরো পড়ো → হিমালয় দর্শন – প্রশ্ন উত্তর
WBPorashona.com-এর পোস্ট আপডেট নিয়মিত পাবার জন্য –
- ফলো করো → WhatsApp চ্যানেল
- সাবস্ক্রাইব করো → YouTube চ্যানেল
- লাইক করো → Facebook পেইজ
- সাবস্ক্রাইব করো → টেলিগ্রাম চ্যানেল
আমাদের কাজ থেকে উপকৃত হলে এই লেখাটি বন্ধুদের সাথে শেয়ার করার অনুরোধ রইল।