
শ্রেণি – অষ্টম | বিভাগ – ইতিহাস | অধ্যায় – ভারতের জাতীয় আন্দোলনের আদর্শ ও বিবর্তন | Varoter Jatiyo Andoloner Adorshoo Biborton- (Chapter 7)
এই পর্বে রইল অষ্টম শ্রেণির ইতিহাস বিভাগের সপ্তম অধ্যায় – ভারতের জাতীয় আন্দোলনের আদর্শ ও বিবর্তন থেকে রইল সম্পূর্ণ প্রশ্ন উত্তর আলোচনা।
সঠিক উত্তর নির্বাচন কর (MCQ)
[প্রতিটি প্রশ্নের প্রশ্নমান ১]
১। প্রথম বিশ্বযুদ্ধ কোন বছর শুরু হয়? ক) ১৯০৯ খ্রিস্টাব্দে খ) ১৯১১ খ্রিস্টাব্দে গ) ১৯১৪ খ্রিস্টাব্দে ঘ) ১৯১৮ খ্রিস্টাব্দে
উত্তর – প্রথম বিশ্বযুদ্ধ শুরু হয় – গ) ১৯১৪ খ্রিস্টাব্দে।
২। রাওলাট সত্যাগ্রহ কত খ্রিস্টাব্দে হয়? ক) ১৯০৯ খ্রিস্টাব্দে খ) ১৯২১ খ্রিস্টাব্দে গ) ১৯১৪ খ্রিস্টাব্দে ঘ) ১৯১৯ খ্রিস্টাব্দে
উত্তর – রাওলাট সত্যাগ্রহ ঘ) ১৯১৯ খ্রিস্টাব্দে হয়।
৩। কার নির্দেশে জালিয়ানওয়ালাবাগের হত্যাকান্ড সংঘটিত হয়? ক) কমান্ডার মাইকেল ডায়ার খ) লর্ড চেমসফোর্ড গ) ভারতসচিব মন্টেগু ঘ) স্যার সিডনি রাওলাট
উত্তর – ক) কমান্ডার মাইকেল ডায়ার-এর নির্দেশে জালিয়ানওয়ালাবাগের হত্যাকান্ড সংঘটিত হয়।
৪। কে জালিয়ানওয়ালাবাগের হত্যাকান্ডের প্রতিবাদে ‘স্যর’ (নাইট) উপাধি ত্যাগ করেন? ক) মহাত্মা গান্ধি খ) রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর গ) চিত্তরঞ্জন দাশ ঘ) মোতিলাল নেহরু
উত্তর – খ) রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর জালিয়ানওয়ালাবাগের হত্যাকান্ডের প্রতিবাদে ‘স্যর’ (নাইট) উপাধি ত্যাগ করেন।
৫। অসহযোগ আন্দোলনের সময়কাল ছিল – ক) ১৯১৪ – ১৯১৭ খ্রিস্টাব্দে খ) ১৯১৭ – ১৯২১ খ্রিস্টাব্দে গ) ১৯১৮ – ১৯১৯ খ্রিস্টাব্দে ঘ) ১৯২০ – ১৯২২ খ্রিস্টাব্দে
উত্তর – অসহযোগ আন্দোলনের সময়কাল ছিল – ঘ) ১৯২০ – ১৯২২ খ্রিস্টাব্দে।
৬। সাইমন কমিশন কবে গঠিত হয়? ক) ১৯২৭ খ্রিস্টাব্দের নভেম্বর মাসে খ) ১৯২৭ খ্রিস্টাব্দের ডিসেম্বর মাসে গ) ১৯২৮ খ্রিস্টাব্দের ফেব্রুয়ারি মাসে ঘ) ১৯২৯ খ্রিস্টাব্দের মার্চ মাসে
উত্তর – সাইমন কমিশন ক) ১৯২৭ খ্রিস্টাব্দের নভেম্বর মাসে গঠিত হয়।
৭। কংগ্রেসের কোন অধিবেশনে গান্ধিজি পূর্ণ স্বরাজের দাবি তোলেন? ক) সুরাট অধিবেশনে, ১৯০৭ খ) লাহোর অধিবেশনে, ১৯২৯ গ) হরিপুয়া অধিবেশনে, ১৯৩৮ ঘ) ত্রিপুরি অধিবেশনে, ১৯৩৯
উত্তর – কংগ্রেসের খ) লাহোর অধিবেশনে, ১৯২৯-এ গান্ধিজি পূর্ণ স্বরাজের দাবি তোলেন।
৮। গান্ধিজির নেতৃত্বে হওয়া আন্দোলনগুলির কোন সময়ক্রমটি ঠিক? ক) চম্পারন, খেড়া, ভারত ছাড়ো, অহিংস অসহযোগ খ) খেড়া, চম্পারন, ভারত ছাড়ো, অহিংস অসহযোগ গ) চম্পারন, খেড়া, অহিংস অসহযোগ, ভারত ছাড়ো ঘ) খেড়া, ভারত ছাড়ো, অহিংস অসহযোগ, চম্পারন
উত্তর – গান্ধিজির নেতৃত্বে হওয়া আন্দোলনগুলির সঠিক সময়ক্রমটি হল – গ) চম্পারন, খেড়া, অহিংস অসহযোগ, ভারত ছাড়ো।
৯। এঁদের মধ্যে কে ১৯৩০ খ্রিস্টাব্দের ৮ ডিসেম্বরের রাইটার্স বিল্ডিং অভিযানের সঙ্গে যুক্ত ছিলেন না? ক) বিনয় বসু খ) রসময় শূর গ) দীনেশ গুপ্ত ঘ) সূর্য সেন
উত্তর – ১৯৩০ খ্রিস্টাব্দের ৮ ডিসেম্বরের রাইটার্স বিল্ডিং অভিযানের সঙ্গে যুক্ত ছিলেন না – ঘ) সূর্য সেন।
১০। রামপ্রসাদ বিশমিল ছিলেন – ক) সূর্য সেনের দলের সদস্য খ) ভগৎ সিং-এর অনুগামী গ) বিনয় বসুর সহযোদ্ধা ঘ) ব্রিটিশ পুলিশের গুপ্তচর
উত্তর – রামপ্রসাদ বিশমিল ছিলেন – খ) ভগৎ সিং-এর অনুগামী।
আরো পড়ো → জাতীয়তাবাদের প্রথমিক বিকাশ প্রশ্ন উত্তর
অতি সংক্ষিপ্ত প্রশ্ন (VSAQ)
[প্রতিটি প্রশ্নের প্রশ্নমান ১]
১। ব্রিটিশ সরকার গান্ধিজিকে কি উপাধিতে ভূষিত করেছিলেন?
উত্তর – ব্রিটিশ সরকার গান্ধিজিকে কাইজার-ই-হিন্দ উপাধিতে ভূষিত করেছিলেন।
২। ‘হিন্দ স্বরাজ’ গ্রন্থটি কার লেখা?
উত্তর – ‘হিন্দ স্বরাজ’ গ্রন্থটি মহত্মা গান্ধির লেখা।
৩। গান্ধিজির কাছে চরকা কিসের প্রতীক ছিল?
উত্তর – গান্ধিজির কাছে চরকা অর্থনৈতিক আত্মনির্ভরশীলতার প্রতীক ছিল।
৪। মন্টেগু-চেমসফোর্ড সংস্কার আইন কত খ্রিস্টাব্দে পাস করা হয়?
উত্তর – মন্টেগু-চেমসফোর্ড সংস্কার আইন ১৯১৯ খ্রিস্টাব্দে পাস করা হয়।
৫। গান্ধি-আরউইন চুক্তির অপর নাম কি?
উত্তর – গান্ধি-আরউইন চুক্তির অপর নাম দিল্লি চুক্তি।
৬। খান আবদুল গফফর খান কি নামে অধিক বিখ্যাত হয়েছিলেন?
উত্তর – খান আবদুল গফফর খান সীমান্ত গান্ধি নামে অধিক বিখ্যাত হয়েছিলেন।
৭। ‘মাস্টারদা’ নামে কোন বিপ্লবী পরিচিত?
উত্তর – ‘মাস্টারদা’ নামে বিপ্লবী সূর্য সেন পরিচিত।
৮। ‘হিন্দুস্তান রিপাবলিকান পার্টি’র প্রতিষ্ঠাতা কে ছিলেন?
উত্তর – ‘হিন্দুস্তান রিপাবলিকান পার্টি’র প্রতিষ্ঠাতা ছিলেন চন্দ্রশেখর আজাদ।
৯। ‘কাকোরি ষড়যন্ত্র’ কি?
উত্তর – ‘কাকোরি ষড়যন্ত্র’ হল কাকোরি স্টেশনে রেলডাকাতির অভিযোগে বিপ্লবীদের বিরুদ্ধে ব্রিটিশ সরকারের রজু করা মামলা।
১০। ভগৎ সিং লাহোরের কোন পুলিশ সুপারকে হত্যা করেন এবং কেন?
উত্তরঃ ভগৎ সিং লালা লাজপত রাইয়ের মৃত্যুর প্রতিশোধ নেওয়ার জন্য লাহোরের পুলিশ সুপার স্যান্ডার্সকে হত্যা করেন।
১১। ভারত ছাড়ো আন্দোলনের বিখ্যাত স্লোগান কি ছিল?
উত্তর – ভারত ছাড়ো আন্দোলনের বিখ্যাত স্লোগান ছিল করেঙ্গে ইয়া মরেঙ্গে।
১২। দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের সময় ইংল্যান্ডের বিরুদ্ধ জোটশক্তি রূপে কোন কোন দেশ ছিল?
উত্তর – দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের সময় ইংল্যান্ডের বিরুদ্ধ জোটশক্তি রূপে জার্মানি, ইটালি ও জাপান ছিল।
১৩। ত্রিপুরি কংগ্রেসে সুভাষচন্দ্র সভাপতি পদের নির্বাচনে কাকে পরাজিত করেন?
উত্তর – ত্রিপুরি কংগ্রেসে সুভাষচন্দ্র সভাপতি পদের নির্বাচনে পট্টভি সীতারামাইয়া-কে পরাজিত করেন।
১৪। আজাদ হিন্দ ফৌজ কবে, কোথায় গঠিত হয়?
উত্তর – আজাদ হিন্দ ফৌজ ১৯৪২ খ্রিস্টাব্দে, সিঙ্গাপুরে গঠিত হয়।
১৫। INA-এর স্লোগান কি ছিল?
উত্তর – INA-এর স্লোগান ছিল – দিল্লি চলো।
আরো পড়ো → জলবায়ু অঞ্চল প্রশ্ন উত্তর
সংক্ষিপ্ত উত্তরভিত্তিক প্রশ্ন (SAQ)
[প্রতিটি প্রশ্নের প্রশ্নমান ২/৩]
১। গান্ধিজির সত্যাগ্রহ আদর্শের মূল ভাবনা কি ছিল?
উত্তর – দক্ষিণ আফ্রিকায় থাকার সময় বিভিন্ন গ্রন্থ পাঠ করে মহাত্মা গান্ধি সত্যাগ্রহ আদর্শ গড়ে তোলেন। রাজনৈতিক আন্দোলনের নতুন পথ ছিল এই সত্যাগ্রহ।
সত্যাগ্রহ আদর্শের মূল ভাবনাঃ সাধারণ অর্থে সত্যের প্রতি আগ্রহকে সত্যাগ্রহ বলে। গান্ধিজির মতে, যা সত্য এবং ন্যায়সংগত সেই বিশ্বাসে অনড় থেকে শান্ত ও নিরস্ত্রভাবে সংযম ও অহিংসার সঙ্গে অন্যায়ের বিরুদ্ধে প্রতিবাদ করে প্রতিপক্ষের হৃদয় জয় করা হল সত্যাগ্রহ।
গান্ধিজি মনে করতেন, মানুষের জীবনের চূড়ান্ত লক্ষ্য হল সত্য অনুসন্ধান করা। তাই রাজনৈতিক আন্দোলনেরও চূড়ান্ত উদ্দেশ্য হওয়া উচিত সত্যের প্রতি আগ্রহ ও নিষ্ঠা।
২। ভারতীয় রাজনীতির ইতিহাসে ১৯১৯ খ্রিস্টাব্দের গুরুত্ব লেখো।
উত্তর – জাতীয় কংগ্রেস প্রতিষ্ঠার পর গান্ধিজির নেতৃত্বের প্রভাবে ভারতীয় রাজনীতি বিভিন্ন ধারায় প্রবাহিত হয়। এই নিরিখে ১৯১৯ খ্রিস্টাব্দ বিশেষ গুরুত্বপূর্ণ হয়ে ওঠে।
১৯১৯ খ্রিস্টাব্দের গুরুত্বঃ
গান্ধিজির নেতৃত্বঃ ১৯১৭ খ্রিস্টাব্দে চম্পারন, ১৯১৮ খ্রিস্টাব্দে আমেদাবাদ ও খেড়া সত্যাগ্রহের পর গান্ধিজি সর্বভারতীয় নেতায় পরিণত হন। রাওলাট আইনের প্রতিবাদে তিনি সত্যাগ্রহ সভা প্রতিষ্ঠা করেন। কংগ্রেস-খিলাফৎ সমন্বয় কমিটি গঠন করেন।
উপনিবেশ-বিরোধী সংগ্রামঃ রুশ বিপ্লবের প্রভাবে ভারতে বিভিন্ন বামপন্থী সংগঠন গড়ে ওঠে। জালিয়ানওয়ালাবাগ হত্যাকান্ড ঘটে। মন্ট-ফোর্ড আইন পাস হয়। কৃষক, শ্রমিক ও অন্যান্য শ্রেণি উপনিবেশ-বিরোধী সংগ্রামে শামিল হয়।
জাতীয় কংগ্রেসের নরমপন্থী ও চরমপন্থী নেতৃত্বের অবসান ঘটে। ভারতের রাজনীতিতে এক নতুন যুগ– গান্ধি যুগ-এর সূচনা হয়।
৩। ‘রাওলাট আইন’ বলতে কি বোঝায়?
উত্তর – প্রথম বিশ্বযুদ্ধের সময় ভারত রক্ষা আইন চালু ছিল। যুদ্ধশেষে এই আইনের মেয়াদ শেষ হয়। যুদ্ধোত্তর অশান্ত পরিস্থিতি মোকাবিলার জন্য সরকার স্যার সিডনি রাওলাটের প্রতিবেদনের ভিত্তিতে এক দমনমূলক আইন পাস করে (মার্চ। ১৯১৯ খ্রি.)।
রাওলাট আইন-এর ধারণাগুলি ছিল–
ক) সরকার বিরোধী যে কোনো প্রচার দণ্ডনীয় বলে বিবেচিত হবে।
খ) যে কোনো ব্যক্তিকে সন্দেহভাজন মনে হলে তাকে গ্রেফতার করা যাবে। যে কোনো বাড়ি পরোয়ানা ছাড়া তল্লাশি করা যাবে।
গ) গ্রেফতার হওয়া ব্যক্তিদের বিনা বিচারে ২ বছর আটক রাখা যাবে।
ঘ) অপরাধীদের বিশেষ আদালতে বিচার করা হবে। তাদের আত্মপক্ষ সমর্থনের সুযোগ থাকবে না। সাক্ষ্যপ্রমাণ ছাড়াই বিচারকদের সিদ্ধান্ত চূড়ান্ত বলে গণ্য হবে।
ঙ) প্রেস সেন্সর করা যাবে।
এই আইন ছিল স্বৈরাচারী ও দমনমূলক। গান্ধিজি এ প্রসঙ্গে বলেছিলেন। “উকিল নেহি, আপীল নেহি, দলিল নেহি”।
৪। ‘জালিয়ানওয়ালাবাগ হত্যাকান্ড’ বলতে কি বোঝায়?
উত্তর – প্রথম বিশ্বযুদ্ধের পর সেনাবাহিনী থেকে ছাঁটাই, খাদ্যশস্য ও অন্যান্য দ্রবের মূলবৃদ্ধি প্রভৃতি কারণে পাঞ্জাব অশান্ত হয়ে ওঠে। এই পরিস্থিতিতে দমনমূলক রাওলাট আইন এবং সত্যাগ্রহী সৈফুদ্দিন কিচলু ও সত্যপালের গ্রেফতারির বিরুদ্ধে জালিয়ানওয়ালাবাগে প্রতিবাদ সভা আহূত হয়।
পাঞ্জাবের অমৃতসর শহরের জালিয়ানওয়ালাবাগ নামক উদ্যানে ১৯১৯ খ্রিস্টাব্দের ১৩ এপ্রিল ১০ হাজার মানুষের এক শান্তিপূর্ণ প্রতিবাদ সভা অনুষ্ঠিত হয়েছিল। ব্রিটিশবাহিনী জেনারেল ডায়ারের নেতৃত্বে এই নিরস্ত্র শান্তিপূর্ণ জনতার উপর গুলিবর্ষণ করে। ফলে সহস্রাধিক লোক হতাহত হয়। এই ঘটনা ইতিহাস জালিয়ানওয়ালাবাগ হত্যাকান্ড নামে পরিচিত। পৃথিবীর জঘন্যতম অপরাধগুলির অন্যতম ছিল জালিয়ানওয়ালাবাগ হত্যাকান্ড। রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর এই হত্যাকাণ্ডের প্রতিবাদে ইংরেজ সরকারের দেওয়া নাইট উপাধি ত্যাগ করেন।
৫. ‘খুদা ই-খিদমতগার’ কাদের বলা হত?
উত্তরঃ খুদা ই-খিদমতগারঃ ভারতের উত্তর-পশ্চিম সিমান্ত অঞ্চলে খান আবদুল গফফর খানের নেতৃত্বে আইন অমান্য আন্দোলন তীব্র আকার ধারণ করেছিল। গান্ধিবাদী এই নেতা সীমান্ত গান্ধি নামে পরিচিত ছিলেন। তাঁর নেতৃত্বে যে দল গড়ে উঠেছিল, তার নাম ছিল ‘খুদা ই-খিদমতগার’।
‘খুদা ই-খিদমতগার’ দলের সদস্যরা লাল রঙের কুর্তা পরতেন বলে, এই দল লালকুর্তা বাহিনী নামেও পরিচিত ছিল।
WBPorashona.com-এর পোস্ট আপডেট নিয়মিত পাওয়ার জন্য –
- ফলো করো → WhatsApp চ্যানেল
- সাবস্ক্রাইব করো → YouTube চ্যানেল
- লাইক করো → Facebook পেইজ
- সাবস্ক্রাইব করো → টেলিগ্রাম চ্যানেল
আমাদের কাজ থেকে উপকৃত হলে এই লেখাটি বন্ধুদের সাথে শেয়ার করার অনুরোধ রইল।