
শ্রেণি – অষ্টম | বিভাগ – বাংলা | অধ্যায় – হরিচরণ বন্দ্যোপাধ্যায় | Haricharan Bandyopadhyay
এই পর্বে রইল অষ্টম শ্রেণির বাংলা রচনা হরিচরণ বন্দ্যোপাধ্যায় থেকে সম্পূর্ণ প্রশ্ন উত্তর আলোচনা।
সঠিক উত্তর নির্বাচন কর (MCQ)
[প্রতিটি প্রশ্নের প্রশ্নমান ১]
১। ‘শেষ পারনির কড়ি’ নামক গ্রন্থটি রচনা করেন – ক) রবীন্দ্রনাথ খ) দ্বিজেন্দ্রনাথ গ) হীরেন্দ্রনাথ ঘ) হরিনাথ
উত্তর – ‘শেষ পারনির কড়ি’ নামক গ্রন্থটি রচনা করেন গ) হীরেন্দ্রনাথ।
২। হরিচরণ বন্দ্যোপাধ্যায় রচনা করেন – ক) বঙ্গীয় শব্দকোষ খ) বঙ্গীয় সাহিত্যকোষ গ) বঙ্গীয় কাব্যকোষ ঘ) বঙ্গীয় গল্পকোষ
উত্তর – হরিচরণ বন্দ্যোপাধ্যায় রচনা করেন ক) বঙ্গীয় শব্দকোষ।
৩। হীরেন্দ্রনাথ দত্ত যে নামে সমাধিক পরিচিত ছিলেন – ক) ইন্দ্রনাথ খ) ইন্দ্রজিৎ গ) শুভজিৎ ঘ) শ্রীপান্থ
উত্তর – হীরেন্দ্রনাথ দত্ত যে নামে সমাধিক পরিচিত ছিলেন তা হল – খ) ইন্দ্রজিৎ।
আরো পড়ো → ভারতের জাতীয় আন্দোলনের আদর্শ ও বিবর্তন অধ্যায়ের প্রশ্ন উত্তর
৪। হরিচরণ বন্দ্যোপাধ্যায় শান্তিনিকেতনের কাজে যোগ দিয়েছিলেন – ক) ১৩০৯ বঙ্গাব্দে খ) ১৩০১ বঙ্গাব্দে গ) ১৩১৩ বঙ্গাব্দে ঘ) ১৩১২ বঙ্গাব্দে।
উত্তর – হরিচরণ বন্দ্যোপাধ্যায় শান্তিনিকেতনের কাজে যোগ দিয়েছিলেন ক) ১৩০৯ বঙ্গাব্দে।
৫। শান্তিনিকেতনে যোগদানের পূর্বে বিধুশেখর শাস্ত্রী পড়াতেন – ক) টোলে খ) বিদ্যালয়ে গ) মহাবিদ্যালয়ে ঘ) বিশ্ববিদ্যালয়ে
উত্তর – শান্তিনিকেতনে যোগদানের পূর্বে বিধুশেখর শাস্ত্রী পড়াতেন ক) টোলে।
অতিসংক্ষিপ্ত উত্তর ভিত্তিক প্রশ্ন (VSAQ)
[প্রতিটি প্রশ্নের প্রশ্নমান 1]
১। হিরেন্দ্রনাথ দত্ত রচিত দুটি বই-এর নাম লেখো।
উত্তর – হিরেন্দ্রনাথ দত্ত রচিত দুটি বই-এর নাম – ‘অচেনা রবীন্দ্রনাথ’ এবং ‘শেষ পারানির কড়ি’।
২। কোন নামে হরিচরণ বন্দ্যোপাধ্যায় সমাধিক পরিচিত?
উত্তর – ইন্দ্রজিৎ নামে হরিচরণ বন্দ্যোপাধ্যায় সমাধিক পরিচিত।
৩। রবীন্দ্রনাথের কোন অসমাপ্ত পুস্তকের কাজ সমাপ্ত করেন হরিচরণ বন্দ্যোপাধ্যায়?
উত্তর – রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের ‘সংস্কৃত প্রবেশ’ পুস্তকটির অসমাপ্ত কাজ সমাপ্ত করেন হরিচরণ বন্দ্যোপাধ্যায়।
৪। হরিচরণ বন্দ্যোপাধ্যায় অভিধান রচনার কাজ সমাপ্ত করেন কবে?
উত্তর – হরিচরণ বন্দ্যোপাধ্যায় অভিধান রচনার কাজ সমাপ্ত করেন ১৩৩০ বঙ্গাব্দে।
৫। হরিচরণ বন্দ্যোপাধ্যায় সংকলিত অভিধানটির খণ্ড সংখ্যা কত?
হরিচরণ বন্দ্যোপাধ্যায় সংকলিত অভিধানটির ১০৫ খণ্ডে বিভক্ত।
আরো পড়ো → ওশিয়ানিয়া প্রশ্ন উত্তর
৬। অভিধান রচনার সময় হরিচরণ বন্দ্যোপাধ্যায়কে কে আর্থিক সহায়তা প্রদান করেন?
উত্তর – মহারাজ মণীন্দ্রচন্দ্র নন্দী অভিধান রচনার সময় হরিচরণ বন্দ্যোপাধ্যায়কে আর্থিক সহায়তা প্রদান করেন।
৭। হরিচরণ বন্দ্যোপাধ্যায় কোথায় বসে নিবিষ্ট মনে গ্রন্থ রচনার কাজ করতেন?
উত্তর – গ্রন্থাগারের একটি অনতিপ্রসস্থ কক্ষে বসে হরিচরণ বন্দ্যোপাধ্যায় নিবিষ্ট মনে গ্রন্থ রচনার কাজ করতেন।
৮। অভিধান-মুদ্রণ শেষ হওয়ার পরেও হরিচরণের নিত্যকর্ম কি ছিল?
অভিধান – মূদ্রণ শেষ হওয়ার পরেও হরিচরণ বন্দোপাধ্যায়ের নিত্যকর্ম ছিল প্রাতঃভ্রমণ ও সান্ধ্যভ্রমণ।
৯। ইংরেজি ভাষায় প্রথম অভিধান রচনা করেছেন কে?
উত্তর – ইংরেজি ভাষায় প্রথম অভিধান রচনা করেন ডক্টর জনসন।
১০। ‘অভিধান-মূদ্রন শেষ হবার পরেও তাঁকে নিত্য দেখেছি’ – কে, কাকে দেখেছেন?
উত্তর – ‘হরিচরণ বন্দ্যোপাধ্যায়’ প্রবন্ধের লেখক হীরেন্দ্রনাথ দত্ত নিত্য দেখেছেন হরিচরণ বন্দোপাধ্যায়কে।
সংক্ষিপ্ত প্রশ্ন (SAQ)
[প্রতিটি প্রশ্নের প্রশ্নমান ৩]
১। ‘এর কৃতিত্ব অনেকাংশে শান্তিনিকেতনের প্রাপ্য’ – কোন্ কৃতিত্বের কথা বলা হয়েছে? তার বহুলাংশ ‘শান্তিনিকেতনের প্রাপ্য’ বলে লেখক মনে করেছেন কেন?
উত্তর – শান্তিনিকেতন ব্রহ্মচর্য আশ্রম বিদ্যাল্যে প্রথম দিকে শিক্ষকরূপে যারা যোগদান করেছিলেন, তাঁরা সকলেই যে খুব খ্যাতিমান ছিলেন তা নয়; তবে নিজেদের কর্মনিষ্ঠা, শ্রমসাধ্ননার মাধ্যমে তাঁদের অনেকেই নিজেদের উজার করে দিয়েছিলেন এবং সাধারণ হয়েও অসাধারণ হয়ে উঠতে পেরেছিলেন। তাঁদের কৃতিত্বের কথাই এখানে বলা হয়েছে।
‘হরিচরণ বন্দ্যোপাধ্যায়’ নামক প্রবন্ধে লেখক হীরেন্দ্রনাথ দত্ত বলেছেন স্থানমাহাত্য ব্যাক্তিকে অনেক ঊর্ধ্বে স্থান দিতে পারে। শান্তিনিকেতনও তেমনই একটি স্থান। এখানকার প্রকৃতি-পরিবেশ ব্যাক্তিমানুষের অন্তরে সুপ্ত প্রতিভাকে বিকশিত করতে পারে বলে লেখক মনে করেছেন। হরিচরণ বন্দ্যোপাধ্যায়ের মতোই অনেকের প্রতিভার স্ফুরণ ঘটেছে শান্তিনিকেতনেই। একারণেই লেখক আলোচ্য উক্তিটি করেছেন।
২। ‘আমাদের শিক্ষাক্ষেত্রে শান্তিনিকেতনের দান অপরিসীম।’ – লেখক এ প্রসঙ্গে শান্তিনিকেতনের কোন কোন গুরুত্বপূর্ণ অবদানের কথা উল্লেখ করেছেন?
উত্তর – এ কথা নিঃসন্দেহে বলা যায় যে, শিক্ষাক্ষেত্রে শান্তিনিকেতনের অবদান উল্লেখযোগ্য। রবীন্দ্রনাথের আদর্শকে ছাত্রসমাজ তথা জনসমাজে ছড়িয়ে দিতে পেরেছিল শান্তিনিকেতন বিদ্যালয়ের ছাত্র ও শিক্ষকগণ। শান্তিনিকেতন তো বিদ্যাচর্চার কেন্দ্রই শুধু ছিল না, মানবচরিত্রের বিকাশেও তার অবদান কম নয়। শান্তিনিকেতনের উদার-নির্মল পরিবেশ এবং শিক্ষকগণের মানবিক আচার – ব্যবহার শিক্ষার্থীদের মানসলোককে আলোড়িত ও প্রভাবিত করেছিল। এইসকল ছাত্র পরবর্তী সময়ে দেশের বিভিন্ন শিক্ষাক্ষেত্রে আলোক বিকিরণ করেছে। তাই লেখক বলেছেন – তাঁদের শিক্ষাক্ষেত্রে শান্তিনিকেতনের দান অপরিসীম।
আরো পড়ো → আদাব গল্পের প্রশ্ন উত্তর
WBPorashona.com-এর পোস্ট আপডেট নিয়মিত পাওয়ার জন্য –
- ফলো করো → WhatsApp চ্যানেল
- সাবস্ক্রাইব করো → YouTube চ্যানেল
- লাইক করো → Facebook পেইজ
- সাবস্ক্রাইব করো → টেলিগ্রাম চ্যানেল
আমাদের কাজ থেকে উপকৃত হলে এই লেখাটি বন্ধুদের সাথে শেয়ার করার অনুরোধ রইল।