জেলখানার চিঠি – প্রশ্ন উত্তর | Jelkhanar Chithi – Question Answer | অষ্টম শ্রেণী | Bengali

মাধ্যমিকে নম্বর বাড়াবার উপায়! 👇

wbporashona-chapter-test-class-10-2026
jelkhanar-chithi-class-8-question-answer
শ্রেণি – অষ্টম | বিভাগ – বাংলা | অধ্যায় –  জেলখানার চিঠি | Jelkhanar Chithi

এই পর্বে রইল অষ্টম শ্রেণির বাংলা রচনা – জেলখানার চিঠি – থেকে সম্পূর্ণ প্রশ্ন উত্তর আলোচনা।

সঠিক উত্তর নির্বাচন কর (MCQ)

[প্রতিটি প্রশ্নের প্রশ্নমান ১]

১। সুভাষচন্দ্র বসু যে শহরে জন্মগ্রহণ করেছিলেন, তা হল – ক) রাঁচি খ) কলকাতা গ) কটক ঘ) ঝাড়গ্রাম
উত্তর – সুভাষচন্দ্র বসু গ) কটক শহরে জন্মগ্রহণ করেছিলেন।

২। সুভাষচন্দ্র ICS পরীক্ষায় অর্জন করেছিলেন – ক) দ্বিতীয় স্থান খ) তৃতীয় স্থান গ) চতুর্থ স্থান ঘ) পঞ্চম স্থান
উত্তর – সুভাষচন্দ্র ICS পরীক্ষায় গ) চতুর্থ স্থান অর্জন করেছিলেন।

৩। সুভাষচন্দ্র বসু জেলখানার চিঠিটি যাকে উদ্দেশ্য করেছিলেন, তিনি হলেন – ক) সত্যজিৎ রায় খ) দিলীপ রায় গ) মনোজ রায় ঘ) সুকুমার রায়।
উত্তর – সুভাষচন্দ্র বসু জেলখানার চিঠিটি খ) দিলীপ রায়-এর উদ্দেশ্য লিখেছিলেন।

৪। যে জেলে বসে নেতাজি, ‘জেলখানার চিঠি’ লিখেছিলেন, তা হল – ক) মান্দালয় জেল খ) সেলুলার জেল গ) সেন্ট্রাল জেল ঘ) প্রেসিডেন্সী জেল।
উত্তর – যে জেলে বসে নেতাজি, ‘জেলখানার চিঠি’ লিখেছিলেন, তা হল ক) মান্দালয় জেল।

৫। কারাগারে বসে গীতার আলোচনা লিখেছিলেন – ক) বিবেকানন্দ খ) লালা লাজপত রায় গ) লোকমান্য গঙ্গাধর তিলক ঘ) নেতাজি সুভাষচন্দ্র বসু।
উত্তর – কারাগারে বসে গীতার আলোচনা লিখেছিলেন গ) লোকমান্য গঙ্গাধর তিলক।

wbporashona-to-the-point-ebook

অতিসংক্ষিপ্ত উত্তর ভিত্তিক প্রশ্ন (VSAQ)

[প্রতিটি প্রশ্নের প্রশ্নমান 1]

১। সুভাষচন্দ্র বসু প্রেসিডেন্সি কলেজ থেকে বিতাড়িত হয়েছিলেন কেন?
উত্তর – সুভাষচন্দ্র বসু ভারত বিদ্বেষী ইংরেজ অধ্যাপক ওটেনকে প্রহারের অভিযোগে প্রেসিডেন্সি কলেজ থেকে বিতাড়িত হয়েছিলেন।

২। রাসবিহারী বসুর কাছ থেকে ‘নেতাজি’ কোন দায়িত্বভার গ্রহণ করেছিলেন?
উত্তর – সুভাষচন্দ্র বসু রাসবিহারী বসুর কাছ থেকে আজাদ হিন্দ ফৌজের দায়িত্বভার গ্রহণ করেন।

৩। ‘জেলখানার চিঠি’ পত্রখানি কে, কোথা থেকে, কাকে লিখেছিলেন?
উত্তর – ‘জেলখানার চিঠি’ পত্রখানি সুভাষচন্দ্র বসু ব্রহ্মদেশের মান্দালয় জেলখানা থেকে বন্ধু দিলীপ রায়কে লিখেছিলেন।

৪। কোন ব্যাপারটিকে পত্রলেখক আধ্যাত্মিক দৃষ্টিতে দেখার কথা বলেছেন?
উত্তর – সুভাষচন্দ্র বসু দেশের পরাধীনতার শিকল মোচন করতে জেলে বন্দী থাকার সমস্ত ব্যাপারটিকে আধ্যাত্মিক দৃষ্টিতে দেখার কথা বলেছেন।

৫। বন্দিদশায় মানুষের মনে শক্তি সঞ্চারিত হয় কিভাবে?
উত্তর – বন্দিদশায় কয়েদি জীবনে দার্শনিক ভাব মানুষের অন্তরে শক্তি সঞ্চারিত হয়।


আরো পড়ো → দক্ষিন আমেরিকা প্রশ্ন উত্তর

৬। মান্দালয় জেল কোথায় অবস্থিত?
উত্তর – মান্দালয় জেল বর্তমানে মিয়ানমারে অবস্থিত।

৭। ভারতীয় জেল বিষয়ে একটি পুস্তক সুভাষচন্দ্রের লেখা হয়ে ওঠেনি কেন?
উত্তর – আলোচ্য চিঠিতে সুভাষচন্দ্র বসু জানিয়েছেন যে তাঁর বেশি উদ্যম ও শক্তি থাকলে জেলের অভিজ্ঞতা নিয়ে তিনি একখানা বই লেখার চেষ্টা করতেন, কিন্তু সে চেষ্টার উপযুক্ত সামর্থ্যও তাঁর নেই।

৮। সুভাষচন্দ্র বসু কেন দিলীপ রায়ের প্রেরিত বইগুলি ফেরত পাঠাতে পারেননি?
উত্তর – সুভাষচন্দ্র বসু দিলীপ রায়ের প্রেরিত বইগুলি ফেরত পাঠাতে পারেননি তার কারণ হল, বইগুলির অনেক পাঠক জুটেছিল। অর্থাৎ বইগুলি নেতাজির হাত থেকে অন্যান্য পাঠকের হাতে চলে যাওয়ায় সুভাষচন্দ্র দিলীপ রায়ের প্রেরিত বইগুলি আর ফেরত পাঠাতে পারেননি।

৯। ‘আমি নিঃসন্দেহে বলতে পারি যে -’ বক্তা কি বলতে পারেন?
উত্তর – বক্তা বলতে পারেন যে – লোকমান্য তিলক কারাগারে মনের দিক থেকে সুখে কাটিয়েছেন।

১০। ‘জেলখানার চিঠি’ রচনার উৎস কি?
উত্তর – নেতাজি সুভাষচন্দ্র বসু রচিত ‘জেলখানার চিঠি’ রচনাটির উৎস ‘তরুণের স্বপ্ন’ নামক গ্রন্থ।

সংক্ষিপ্ত প্রশ্ন (SAQ)

[প্রতিটি প্রশ্নের প্রশ্নমান ৩]

১। নেতাজি ভবিষ্যতের কোন কর্তব্যের কথা এই চিঠিতে বলেছেন? কেন এই কর্তব্য স্থির করেছেন? কারাশাসন প্রণালী বিষয়ে কাদের পরিবর্তে কাদের প্রণালীকে তিনি অনুসরণযোগ্য বলে মনে করেছেন?
উত্তর – নেতাজি সুভাষচন্দ্র বসু ভবিষ্যতের কারাশাসনের আমুল সংস্কারকে নিজের কর্তব্য বলে তাঁর ‘জেলখালার চিঠি’ রচনায় উল্লেখ করেছেন।
নেতাজি সুভাষচন্দ্র বসু দীর্ঘদিন মান্দালয় জেলে কারাবাস কালে অনুভব করেছেন যে জেলখানার সমস্ত আবহাওয়া মানুষকে যেন বিকৃত অমানুষ করে তোলার উপযোগী। অপরাধীদের অধিকাংশেরই কারাবাস কালে নৈতিক উন্নতি হয় না, তারা আরো হীন হয়ে পড়ে। এই জন্য নেতাজি কারাশাসনের সংস্কার করতে চেয়েছেন।
কারাশাসন প্রণালী বিষয়ে নেতাজি সুভাষচন্দ্র বসুর মনে হয়েছে ভারতীয় কারাশাসন প্রণালী একটা খারাপ অর্থাৎ ব্রিটিশ প্রণালীর অনুকরণ মাত্র। আমাদের উচিৎ আমেরিকার মতো উন্নত দেশগুলির কারা শাসনপ্রণালীকেই অনুসরণযোগ্য বলে মনে হয়।

২। ‘সেজন্য খুবই খুশি হয়েছি’ – বক্তা কে? তিনি কি জন্য খুশি হয়েছেন?
উত্তর – উল্লেখ্য উক্তিটির বক্তা হলেন লেখক সুভাষচন্দ্র বসু। তাঁর খুশি হওয়ার কারণ হল নেতাজি তাঁর বন্ধু দিলীপ রায়ের লেখা চিঠি পেয়েছেন। সেইসময়ের রীতি অনুযায়ী রাজনৈতিক বন্দীদের কাছে কোনো চিঠি পৌছাতে হলে তা জেল কর্তৃপক্ষের দ্বারা ‘double distillation’ হয়ে পৌছাত। বন্ধু দিলীপ রায়ের উক্ত চিঠিটি সেইরূপ কোনো পরীক্ষার মুখোমুখী হতে হয় নি, এইকারণেই নেতাজি খুশি হয়েছেন।


আরো পড়ো → জাতীয়তাবাদের প্রাথমিক ইতিহাস প্রশ্ন উত্তর

৩। ‘আমার পক্ষে এর উত্তর দেওয়া সুকঠিন’ – কে, কাকে একথা বলেছেন? কীসের উত্তর দেওয়ার কথা বলা হয়েছে?
উত্তর – লেখক সুভাষচন্দ্র বসু এই কথা পত্র মারফত বন্ধু দিলীপ রায়কে বলেছেন।
সুভাষচন্দ্র বসু বন্ধু দিলীপ রায়ের পত্র পড়ে হৃদয়তন্ত্রীর কোমল ভাব স্পর্শ অনুভব করেন, চিন্তা ও অনুভুতিকে অনুপ্রাণিত করে তাঁর পক্ষে উত্তর দেওয়া সুকঠিন। পত্রটি Censor-এর হাত দিয়ে যেতে হবে। সেখানে খোলাখুলি সব কথা লেখা অসম্ভব।

৪। ‘পরের বেদনা সেই বুঝে শুধু যেজন ভুক্তভোগী’ – উদ্ধৃতির সমার্থক বাক্য পত্রটি থেকে খুঁজে নিয়ে লেখো। সেই বাক্যটি থেকে লেখকের কোন মানসিকতার পরিচয় পাও?
উত্তর – আলোচ্য উদ্ধৃতির সমার্থক বাক্য হিসেবে উল্লেখ করা যেতে পারে – ‘আমার মনে হয় না, আমি যদি স্বয়ং কারাবাস না করতাম তাহলে একজন কারাবাসী বা অপরাধীকে ঠিক সহানুভূতির চোখে দেখতে পারতাম’।
আলোচ্য বাক্যটি থেকে বোঝা যায় লেখক মানবদরদি। জেলের সাধারণ মানুষদের দুঃখ-যন্ত্রণা অনুভব করে তার নিরসনের ব্যবস্থার কথা ভেবেছেন।

৫। ‘জেলখানার চিঠি’ রচনায় কারাবন্দী অবস্থাতেও দুঃখকাতর, হতাসাগ্রস্থ নয় বরং আত্মবিশ্বাসী ও আশাবাদী নেতাজির পরিচয়ই ফুটে উঠেছে। – পত্রটি অবলম্বনে নিজের ভাষায় মন্তব্যটির যথার্থ পরিস্ফুট করো।
উত্তর – মিয়ানমারের মান্দালয় জেলে দীর্ঘদিন ধরে নেতাজি সুভাষচন্দ্র বসু বন্দি জীবনযাপন করেন। এই সময় লেখক সুভাষচন্দ্র বসু তাঁর বন্ধু দিলীপ রায়কে একটি পত্র লেখেন। পত্রের প্রতি ছত্রে ছত্রে আত্মবিশ্বাস ও আশাবাদের গান শুনিয়েছেন। কারাবাসের নির্জনতার মধ্যে জীবন কাটাতে হয়, সে নির্জনতাই জীবনের চরম সমস্যাগুলি সমাধান করতে সাহায্য করে। নেতাজি দীর্ঘদিন কারাবাসে থেকে অনুভব করেছেন বন্দি-জীবনের যন্ত্রণাকাতর প্রতিচ্ছবি। সেজন্য কারাশাসনের আমুল সংস্কার সাধন করতে চেয়েছেন। এই আবহাওয়া মানুষকে বিকৃত অমানুষ গড়ে তুলতে পারে। কারাবাসে বন্দীদের নৈতিক উন্নতি না হয়ে তার যেন আরো হীন হয়ে উঠছে। কয়েদিদের প্রতি সহানুভূতিশীল হয়ে বন্দি-জীবনে আমেরিকার ইউনাইটেড স্টেটস-এর মতো ব্যবস্থা অনুসরণ করার কথা বলেছেন। এমনকি বন্ধুর পাঠানো বইগুলি অন্য কেয়েদিদের পড়বার সু-ব্যবস্থা করে দিয়েছেন।


WBPorashona.com-এর পোস্ট আপডেট নিয়মিত পাওয়ার জন্য –


আমাদের কাজ থেকে উপকৃত হলে এই লেখাটি বন্ধুদের সাথে শেয়ার করার অনুরোধ রইল।

সম্পূর্ণ সিলেবাসের শর্ট নোটস! 👇

wbporashona.com-to-the-point-ebook