ক্রিমিয়ার যুদ্ধের কারণ ও ফলাফল | Crimean War | WBBSE Class 9 History

নিয়মিত প্রশ্ন উত্তরের আপডেট পাও নিজের মোবাইলে 👇

wb porashona.com whatsapp channel
reason-of-crimean-war
শ্রেণি – নবম | বিভাগ – নবম শ্রেণির প্রশ্ন উত্তর | অধ্যায় – ঊনবিংশ শতকের ইউরোপঃ রাজতান্ত্রিক ও জাতীয়তাবাদী সংঘাত

শুরু হল নতুন বিভাগ – প্রশ্ন উত্তর। আজকের প্রশ্ন উত্তর আলোচনায় রইল নবম শ্রেণির ইতিহাস বিভাগ থেকে তৃতীয় অধ্যায়ের একটি অতি গুরুত্বপূর্ণ প্রশ্নের উত্তর আলোচনা।


প্রশ্নঃ ক্রিমিয়ার যুদ্ধের কারণ ও ফলাফল

উত্তরঃ অটোমান সাম্রাজ্যের অন্তর্গত পূর্ব ইউরোপের দানিয়ুব এবং ইজিয়ান সাগরের মধ্যবর্তী পার্বত্য অঞ্চলকে বলকান অঞ্চল বলা হত। এই অঞ্চলের সমস্যা নিয়ে মূলত রাশিয়া এবং তুরস্কের মধ্যে ক্রিমিয়ার যুদ্ধ (1854 – 1856 খ্রিস্টাব্দ) হয়েছিল।

ক্রিমিয়ার যুদ্ধের কারণ

রুশ অগ্রাসন ও গ্রোটোর গির্জার কর্তৃত্ব দখল – রাশিয়া বলকান অঞ্চলকে তুরস্কের শাসন থেকে মুক্ত করার জন্য বিশেষভাবে সচেষ্ট ছিল। এই অঞ্চল রাশিয়ার দখলে এলে বলকান অঞ্চলের জনজাতির উপর রাশিয়ার প্রভাব বৃদ্ধি পেত এবং উপকূল অঞ্চলে রাশিয়ার নিয়ন্ত্রণ স্থাপিত হত। এই অবস্থায় গ্রোটোর গির্জার কর্তৃত্বকে উপলক্ষ্য করে দুটি রাষ্ট্রের মধ্যে যুদ্ধ শুরু হয়। এই গির্জার কর্তৃত্ব নিয়ে গ্রিক ও রোমান ধর্ম যাজকদের মধ্যে বিরোধিতা ছিল। ফ্রান্সের সম্রাট রোমান আধিপত্য বৃদ্ধিতে সচেষ্ট হলে; রাশিয়ার জার ক্ষুব্ধ হন এবং তুরস্কের সুলতানকে গ্রিক ধর্মযাজকদের অধিকার ফিরিয়ে দিতে বলেন। সুলতান এই দাবী অস্বীকার করলে রাশিয়া তুরস্ক আক্রমণ করে।

ইংল্যান্ড তুরস্কে রুশ অগ্রাসনের বিরোধী ছিল; এই যুদ্ধে ইংল্যান্ড তুরস্ককে সমর্থন করে

পিডমন্ড-সার্ডিনিয়া এই যুদ্ধে ইঙ্গ – ফরাসী জোটকে সমর্থন করে। তারা মনে করেছিল ইংল্যান্ড এবং ফ্রান্সের সঙ্গে থাকলে ইটালির ঐক্যের বিষয়ে তারা আন্তর্জাতিক সহযোগিতা পাবে।

ক্রিমিয়ার যুদ্ধের ফলাফল

রাশিয়ার জার নিকোলাসের মৃত্যু হলে রাশিয়া যুদ্ধ করতে উৎসাহ হারায় এবং প্যারিসের সন্ধির মাধ্যমে 1856 খ্রিষ্টাব্দে পরাজয় স্বীকার করে নেয়।

রাশিয়ার আগ্রাসন রোধ – ক্রিমিয়ার যুদ্ধে রাশিয়া মোলদাভিয়া ও ওয়ালাচিয়া দখল করেছিল; যা পুনরায় তুরস্ককে ফিরিয়ে দেয়। এই পরাজয়ে রাশিয়ার অভ্যন্তরে জারের ভাবমূর্তি ক্ষুণ্ণ হয় এবং জারের শাসনের বিরুদ্ধে আন্দোলন শুরু হয়। যার পরিপ্রেক্ষিতে পরবর্তী সময়ে রাশিয়ায় উদারনৈতিক সংস্কার যেমন ভূমিদাস প্রথার উচ্ছেদ হয়।

তুরস্কের অগ্রগতি – যুদ্ধের পরে তুরস্ককে ইউরোপীয় রাষ্ট্রমণ্ডলের অন্তর্গত করা হয় এবং ইউরোপের প্রধান শক্তিধর দেশগুলি তুরস্কের অখণ্ডতা এবং স্বাধীনতার প্রতিশ্রুতি দেয়।

বলকান জাতীয়তাবাদ – বলকান অঞ্চলে জাতীয়তাবাদী ভাবনার বিকাশ ঘটে এবং জনগোষ্ঠীগুলি স্বাধীনতার দাবী জানায়।

ইটালি ও জার্মানির ঐক্য – পিডমণ্ড ও সার্ডিনিয়া ক্রিমিয়ার যুদ্ধে যোগদান করে ইটালির সমস্যাগুলি আন্তর্জাতিক ক্ষেত্রে তুলে ধরার সুযোগ পায় এবং এর ফলেই পরবর্তী সময়ে ইটালি এবং জার্মানি ঐক্যবদ্ধ হয়।

আরো পড়ো → ঊনবিংশ শতকের ইউরোপঃ রাজতান্ত্রিক ও জাতীয়তাবাদী সংঘাত প্রশ্ন উত্তর

WBPorashona.com-এর পোস্ট আপডেট নিয়মিত পাবার জন্য –


আমাদের কাজ থেকে উপকৃত হলে এই লেখাটি বন্ধুদের সাথে শেয়ার করার অনুরোধ রইল।

পড়া মনে রাখার সেরা উপায় 👇

wb-porashona-to-the-point-ebook