শ্রেণি – দশম | বিভাগ – বাংলা | অধ্যায় – জ্ঞানচক্ষু
এই পর্বে রইল দশম শ্রেণির বাংলা বিভাগের প্রথম গদ্য – ‘জ্ঞানচক্ষু’ থেকে কয়েকটি ভীষণ গুরুত্বপূর্ণ অতি সংক্ষিপ্ত প্রশ্ন (VSAQ) এবং সেগুলির উত্তর।
একটি বাক্যে উত্তর দাও (VSAQ)
১। ‘কথাটা শুনে তপনের চোখ মার্বেল হয়ে গেল!’ – চোখ মার্বেল হয়ে যাওয়ার কারণ কি?
উত্তর – তপনের ছোটমেসো একজন নামী লেখক এবং তার লেখা বই ছেপে বেরোয়, এই কথা শুনে প্রবল বিস্ময়ে তপনের চোখ বড়বড় বা ‘মার্বেল’ হয়ে গিয়েছিল।
২। তপনের গল্প পড়ে ছোটমাসি কি বলেছিল? [মাধ্যমিক’১৭]
উত্তর – তপনের লেখা গল্প পড়ে ছোটমাসি তারিফের সুরে বলেছিলেন “ওমা এতো বেশ লিখেছিস” এবং এর সাথে তিনি জানতে চেয়েছিলেন যে লেখাটি তপনের নিজের লেখা কিনা।
৩। ‘একটু ‘কারেকশান করে ইয়ে করে দিলে ছাপতে দেওয়া চলে’ – কে, কি ছাপানোর কথা বলেছেন? [মাধ্যমিক’১৮]
উত্তর – জ্ঞানচক্ষু গল্পের চরিত্র তপনের ছোট মেসো এই কথা বলেছেন, তিনি তপনের লেখা একটি গল্প ‘কারেকশন’ করে ছাপানোর কথা বলেছেন।
৪। ‘তপন প্রথমটা ভাবে ঠাট্টা’ – কোন কথাটা তপন ঠাট্টা ভেবেছিল?
উত্তর – তপনের লেখা দেখে তার ছোটমেসো লেখাটি ‘কারেকশন’ করে দেবার পরে ছাপতে দেওয়া যেতে পারে বলেছিলেন, বালক তপন ছোটমেসোর এই কথাটি ঠাট্টা ভেবেছিল ।
৫। ‘তা হলে বাপু তুমি ওর গল্পটা ছাপিয়ে দিও’ – কে, কোন প্রসঙ্গে এ কথা বলেছেন?
উত্তর – তপনের ছোটমাসি এই কথাটি বলেছেন। তপনের লেখা একটি গল্প ছাপানো যেতে পারে জেনে, ছোটমাসি তার লেখক স্বামীকে এই কথাটি বলেছেন।
মাধ্যমিকে নম্বর বাড়াবার সেরা উপায় ↓
৬। ‘বিকেলে চায়ের টেবিলে ওঠে কথাটা’’ – চায়ের টেবিলে কি কথা উঠেছিল?
উত্তর – তপনের ছোটমেসো, তপনের একটি লেখা ‘সন্ধ্যাতারা’ পত্রিকায় ছাপিয়ে দেবার কথা বলেছিলেন, বিকেলের চায়ের আসরে সেই কথাই উত্থাপিত হয়েছিল।
৭। ‘সূচীপত্রেও নাম রয়েছে’ – সূচীপত্রে কি লেখা ছিল? [মাধ্যমিক’১৯]
সূচিপত্রে লেখা ছিল – ‘প্রথম দিন’ (গল্প) শ্রী তপন কুমার রায়।
৮। ‘সারা’ বাড়িতে শোরগোল পড়ে যায়’; – বাড়িতে শোরগোল পড়ার কারণ কি?
উত্তর – ‘সন্ধ্যাতারা’ পত্রিকায় তপনের লেখা ছাপা হয়েছে জেনে সারা বাড়িতে শোরগোল পড়ে যায়।
৯। ‘তপন কৃতার্থ হয়ে বসে বসে দিন গোনে।’ – তপন ‘বসে বসে দিন গোনে’ কেন?
উত্তর – তপনের ছোটমেসো, তপনের লেখা একটি গল্প ছাপতে দেবার জন্য নিয়ে যান, সেই লেখা কবে ছেপে বেরোবে তার জন্য তপন বসে বসে দিন গোনে।
১০। ‘পৃথিবীতে এমন অলৌকিক ঘটনাও ঘটে’ – অলৌকিক ঘটনাটি কি?
উত্তর – ‘সন্ধ্যাতারা’ পত্রিকায় তপনের লেখা ছাপা হয়েছিল; বালক তপনের কাছে এই ঘটনাই ছিল একটি অলৌকিক ঘটনার সামিল।
দশম শ্রেণি থেকে → ইতিহাসের ধারণা অতি সংক্ষিপ্ত প্রশ্ন – উত্তর
১১। ‘বুকের রক্ত ছলকে ওঠে তপনের।’ – কখন তপনের এরকম অবস্থা হয়?
উত্তর – যখন তপনের ছোটমেসো তাদের বাড়ি ‘সন্ধ্যাতারা’ পত্রিকা নিয়ে আসেন, সেই দিন তপনের ‘বুকের রক্ত ছলকে’ ওঠার মত অনুভুতি হয়েছিল।
১২। ‘গল্প ছাপা হলেও যে ভয়ংকর আহ্লাদটা হবার কথা, সে আহ্লাদ খুঁজে পায় না।’ – উদ্দিষ্ট ব্যক্তির আহ্লাদিত হতে না পারার কারণ কি?
উত্তর – তপনের গল্পটি ‘সন্ধ্যাতারা’ পত্রিকায় প্রকাশিত হয়েছিল তার ছোটমেসোর কারণে, তাই তপনের লেখা গল্প নিজের কৃতিত্বে না ছেপে অন্য কারুর কারণে তা প্রকাশিত হয়েছে জেনে তার ‘ভয়ংকর আহ্লাদ’ বা আনন্দ হয় না।
১৩। ‘এর মধ্যে তপন কোথা?’ – উক্তিটিতে কি বোঝানো হয়েছে?
উত্তর – ‘সন্ধ্যাতারা’ পত্রিকায় তপনের নামাঙ্কিত গল্পটির আপাদমস্তক ‘কারেকশন’ করেছিলেন তপনের ছোটমেসো, তাই গল্পটি তপনের নামে প্রকাশিত হলেও তাতে তপনের কোন ভূমিকা ছিল না।
পড়া মনে রাখার সেরা উপায়! ↓
১৪। ‘আজ যেন তার জীবনের সবচেয়ে দুঃখের দিন।’ – বক্তার কাছে কোন দিনটি সবচেয়ে দুঃখের? [মাধ্যমিক’20]
উত্তর – যেদিন তপনের ছোটমেসোর বদান্যতায় তপনের লেখা গল্প সম্পূর্ণ পরিবর্তিত হয়ে সন্ধ্যাতারায় প্রকাশিত হবার পর তপনের হাতে এসে পৌঁছায়, সেই দিনটিই ছিল তপনের সবচেয়ে দুঃখের দিন।
১৫। ‘আর তপনকে যেন নিজের গল্প পড়তে বসে অন্যের লেখা লাইন পড়তে না হয়।’ – তপনের এরূপ অনুভূতির কারণ কি?
উত্তর – তপনের লেখা গল্পটি তপনের নামে প্রকাশিত হলেও তা ছিল তার ছোটমেসোর দ্বারা পরিবর্তিত একটি লেখা, তাই তপনের গল্পটি পড়ার সময় ‘অন্যের লেখা লাইন পড়ছে বলে মনে হয়েছিল।’
দশম শ্রেণি থেকে → পরিবেশের জন্য ভাবনা অধ্যায়ের অতি সংক্ষিপ্ত প্রশ্ন উত্তর
WBPorashona.com-এর পোস্ট আপডেট নিয়মিত পাবার জন্য –
- ফলো করো → WhatsApp চ্যানেল
- সাবস্ক্রাইব করো → YouTube চ্যানেল
- লাইক করো → Facebook পেইজ
- সাবস্ক্রাইব করো → টেলিগ্রাম চ্যানেল
আমাদের কাজ থেকে উপকৃত হলে এই লেখাটি বন্ধুদের সাথে শেয়ার করার অনুরোধ রইল।