শ্রেণি – দশম | বিভাগ – জীবনবিজ্ঞান| অধ্যায় – স্নায়ুতন্ত্র (প্রাণীদের সাড়াপ্রদান এবং ভৌত সমন্বয়) | Snayutntro
এই পর্বে রইল দশম শ্রেণির জীবন বিজ্ঞান বিভাগের তৃতীয় অধ্যায় – প্রাণীদের সাড়াপ্রদান এবং ভৌত সমন্বয় সমন্বয় থেকে কয়েকটি ভীষণ গুরুত্বপূর্ণ প্রশ্ন – উত্তর আলোচনা।
Table of Contents
সঠিক উত্তর নির্বাচন করো। (MCQ)
[প্রতিটি প্রশ্নের প্রশ্নমান 1]
1। একজন ব্যক্তি দূরের বস্তু স্পষ্ট দেখতে পাচ্ছেন না। ডাক্তারবাবু তাকে মায়োপিয়া হয়েছে বলে জানান। ওই ব্যক্তিটির কোন্ ধরণের চশমা ব্যবহার করা উচিত তা বিচার করো-
ক) বাইফোকাল লেন্সযুক্ত খ) সানগ্লাস গ) অবতল লেন্সযুক্ত ঘ) উত্তল লেন্সযুক্ত
উত্তর- একজন ব্যক্তি দূরের বস্তু স্পষ্ট দেখতে পাচ্ছেন না। ডাক্তারবাবু তাকে মায়োপিয়া হয়েছে বলে জানান। ওই ব্যক্তিটির গ) অবতল লেন্সযুক্ত চশমা ব্যবহার করা উচিত।
2। স্নায়ুতন্ত্রের ধারক কোশ বলা হয় –
ক) নিউরোনকে খ) নিউরোগ্লিয়াকে গ) স্নায়ুকে ঘ) ডেনড্রনকে
উত্তর- স্নায়ুতন্ত্রের ধারক কোশ বলা হয়- খ) নিউরোগ্লিয়াকে।
3। র্যানভিয়ারের পর্ব লক্ষ্য করা যায়-
ক) নিউরোসাইটনে খ) অ্যাক্সনে গ) ডেনড্রনে ঘ) নিউরোগ্লিয়াতে
উত্তর- র্যানভিয়ারের পর্ব লক্ষ্য করা যায়- খ) অ্যাক্সনে।
4। নীচের কোন স্নায়ুর মাধ্যমে স্নায়ুস্পন্দন কেন্দ্রীয় স্নায়ুতন্ত্র থেকে কারকে পৌঁছায়-
ক) সংজ্ঞাবহ স্নায়ু খ) আজ্ঞাবহ স্নায়ু গ) মিশ্র স্নায়ু ঘ) কোনটি নয়
উত্তর- খ) আজ্ঞাবহ স্নায়ুর মাধ্যমে স্নায়ুস্পন্দন কেন্দ্রীয় স্নায়ুতন্ত্র থেকে কারকে পৌঁছায়
5। মানব দেহে করোটি স্নায়ুর সংখ্যা কত?
ক) 10 জোড়া খ) 12 জোড়া গ) 31 জোড়া ঘ) 33 জোড়া
উত্তর- মানব দেহে করোটি স্নায়ুর সংখ্যা- খ) 12 জোড়া ।
পড়া মনে রাখার সেরা উপায়! ↓
6 । গুরুমস্তিস্কের গোলার্ধ দুটি যে স্নায়ু যোজক দ্বারা যুক্ত থাকে তা হল-
ক) ভারমিস খ) করপাস ক্যালোসাম গ) সালকাস ঘ) জাইরাস
উত্তর- গুরুমস্তিস্কের গোলার্ধ দুটি যে স্নায়ু যোজক দ্বারা যুক্ত থাকে তা হল- খ) করপাস ক্যালোসাম ।
7। দৈহিক উষ্ণতা নিয়ন্ত্রণের সঙ্গে যুক্ত মানবমস্তিস্কের অংশটি হল-
ক) থ্যালামাস খ) লঘু মস্তিস্ক গ) হাইপোথ্যালামাস ঘ) সুষুম্নাশীর্ষক
উত্তর- দৈহিক উষ্ণতা নিয়ন্ত্রণের সঙ্গে যুক্ত মানবমস্তিস্কের অংশটি হল- গ) হাইপোথ্যালামাস ।
8 । মানব চক্ষুর যে অংশে কোনও বস্তুর প্রতিবিম্ব গঠিত হয়, তা হল-
ক) কোরয়েড খ) আইরিশ গ) স্ক্লেরা ঘ) রেটিনা
উত্তর- মানব চক্ষুর যে অংশে কোনও বস্তুর প্রতিবিম্ব গঠিত হয়, তা হল- ঘ) রেটিনা ।
9 । কোন ক্ষেত্রে অক্ষিগোলকের আকার স্বাভাবিক অপেক্ষা বড় হয়-
ক) প্রেসবায়পিয়া খ) মায়পিয়া গ) হাইপারপিয়া ঘ) হিমোফিলিয়া
উত্তর- গ) হাইপারপিয়ার-ক্ষেত্রে অক্ষিগোলকের আকার স্বাভাবিক অপেক্ষা বড় হয়।
10 । প্রতিবত ক্রিয়ার নিয়ন্ত্রক হল-
(ক) মস্তিষ্ক (খ) স্নায়ুতন্ত্র (গ) নিউরোগ্লিয়া (ঘ) সুষুম্নাকাণ্ড
উত্তর- প্রতিবত ক্রিয়ার নিয়ন্ত্রক হল (ঘ) সুষুম্নাকাণ্ড ।
আরো পড়ো → প্রাণী হরমোন প্রশ্ন – উত্তর আলোচনা
একটি বাক্যে উত্তর দাও। (VSAQ)
[প্রতিটি প্রশ্নের প্রশ্নমান 1]
1। দূরের বস্তু কাছে দেখতে গেলে লেন্সের ফোকাস দৈর্ঘ্যে কি পরিবর্তন করতে হয়?
উত্তর- দূরের বস্তু কাছে দেখতে গেলে লেন্সের ফোকাস দৈর্ঘ্য বাড়াতে হয়।
2। রেটিনার রড কোশে অবস্থিত রঞ্জক পদার্থের নাম কি?
উত্তর- রেটিনার রড কোশে অবস্থিত রঞ্জক পদার্থের নাম হল রোডোপসিন।
3। রেটিনায় কোথায় প্রতিবিম্ব গঠন হয় না?
উত্তর – রেটিনায় অন্ধবিন্দুতে প্রতিবিম্ব গঠন হয় না।
4। অক্ষিগোলকের কোন অংশটি লেন্সে আলো পড়া নিয়ন্ত্রণ করে?
উত্তর- অক্ষিগোলকের আইরিশ লেন্সে আলো পড়া নিয়ন্ত্রণ করে।
5। রেটিনার মাঝে অবতলাকার হলুদ অংশকে কি বলে?
উত্তর- রেটিনার মাঝে অবতলাকার হলুদ অংশকে ফোভিয়া সেন্ট্রালিস বলে।
UPDATE:মাধ্যমিক পরীক্ষার ভীতি কাটাবার সেরা উপায়↓
6। কর্নিয়ার একটি কাজ লেখ।
উত্তর- কর্নিয়ার একটি কাজ হল বস্তু থেকে আসা আলোকে প্রতিসৃত করে অক্ষিগোলকে প্রবেশ করানো। কর্নিয়া হল চোখের প্রথম প্রতিসারক মাধ্যম।
7। চোখের দুটি প্রতিসারক মাধ্যমের নাম লেখ।
উত্তর- চোখের দুটি প্রতিসারক মাধ্যমের নাম হল- i)কর্নিয়া ও ii) ভিট্রিয়াস হিউমার।
8। রেটিনাতে কি কি স্নায়ুকোশ থাকে?
উত্তর- রেটিনাতে দুই ধরণের স্নায়ুকোশ থাকে, যথা রড কোশ এবং কোন কোশ।
9। পীতবিন্দু কাকে বলে?
উত্তর- রেটিনার যে অংশে কোন কোশের সংখ্যা বেশি থাকে, সেখানে সবচেয়ে ভালো প্রতিবিম্ব গঠিত হয়, রেটিনার সেই অংশকে পীতবিন্দু বলে। এই অংশটি সরাসরি লেন্সের বিপরীত বিন্দুতে থাকে।
10। চোখের প্রতিসারক মাধ্যমগুলির নাম লেখ।
উত্তর- চোখের প্রতিসারক মাধ্যমগুলি হল কর্নিয়া, অ্যাকুয়াস হিউমার, লেন্স ও ভিট্রিয়াস হিউমর।
সংক্ষিপ্ত উত্তরভিত্তিক প্রশ্ন (SAQ)
[প্রতিটি প্রশ্নের প্রশ্নমান 2/3]
1। বাস্তব জীবনে উপযোজন কিভাবে সাহায্য করে তার একটি উদাহরণ দাও।
উত্তর- স্থান পরিবর্তন না করে অক্ষিগোলকের পেশি ও লেন্সের সাহায্যে যে পদ্ধতিতে বিভিন্ন দূরত্বে থাকা বস্তুকে স্পষ্টভাবে দেখা যায় তাকে উপযোজন বা Accomodation বলে।
উদাহরণ- পথচারীরা দূরের ট্রাফিক সিগন্যাল দেখে সাবধানে রাস্তা পারাপার করে চোখের উপযোজন ঘটিয়েই। আবার গাড়ি চালককের গাড়ি চালানোর সময় এবং সাইকেল চালানোর সময় চোখের উপযোজন ঘটে।
2। হাইপারমেট্রোপিয়া রোগের কারণ কি? কিভাবে এটি সংশোধিত হয়?
উত্তর- হাইপারমেট্রোপিয়া অর্থাৎ নিকট দৃষ্টির ত্রুটি। হাইপারমেট্রোপিয়ায় ব্যক্তি কাছের জিনিস দেখতে পায় না, কিন্তু দূরের জিনিস দেখতে অসুবিধা হয় না।
হাইপারমেট্রোপিয়া রোগের কারণ- অক্ষিগোলকের ব্যাস স্বাভাবিকের থেকে কমে গেলে বস্তুর প্রতিবিম্ব গঠিত হয় রেটিনার পিছনে। এর ফলে দূরে থাকা বস্তু ঠিকভাবে দেখা গেলেও কাছে থাকা বস্তু দেখার ক্ষেত্রে সমস্যা হয়।
সংশোধনঃ উত্তল লেন্স যুক্ত চশমা পরলে এই ত্রুটি দূর হয়।
3। দূরের বস্তুকে দেখার জন্য চোখে কি পরিবর্তন হয়?/ চোখের কি উপযোজন হয়?
উত্তর- দূরের (৬ মিটারের অধিক) কোনো বস্তু দেখার সময়, চোখের লেন্সের দুপাশে থাকা সিলিয়ারি পেশি প্রসারিত হয় ও লেন্স সরু হয়ে যায় এবং ফোকাস দৈর্ঘ্য বেড়ে যায়। বস্তু থেকে আসা সমান্তরাল আলোক রশ্মি, লেন্স দ্বারা প্রতিসৃত হয়ে রেটিনায় প্রতিবিম্ব গঠন করে। ফলে দূরে থাকা বস্তুটিকে আমরা স্পষ্টভাবে দেখতে পাই।
4। অন্ধবিন্দু কাকে বলে?
উত্তর- রেটিনার যে অংশে অপটিক স্নায়ু মিলিত হয়, সেই অংশে কোনো প্রতিবিম্ব গঠিত হয় না। এখানে আলোক সুবেদী কোনো কোশও (কোন ও রড কোশ) থাকে না। এই অংশকে অন্ধবিন্দু বলে।
5। দ্বিনেত্র দৃষ্টি কাকে বলে?
উত্তর- যখন দুটি চোখের Visual field বা দর্শনক্ষেত্র সমাপতিত হবার ফলে দুটি চোখে একই বস্তুর ত্রিমাত্রিক প্রতিবিম্ব দেখা যায়, তখন সেই প্রকার দৃষ্টিকে দ্বিনেত্র দৃষ্টি বলে। যেমন- মানুষ, বানর, শিকারি পাখিদের দৃষ্টি।
6। উপযোজন কি? তিনটি উদাহরণের সাহায্যে ব্যাখ্যা করো।
উত্তর- স্থান পরিবর্তন না করে অক্ষিগোলকের পেশি ও লেন্সের সাহায্যে যে পদ্ধতিতে বিভিন্ন দূরত্বে থাকা বস্তুকে স্পষ্টভাবে দেখা যায় তাকে উপযোজন বা Accomodation বলে।
উদাহরণ- i) গাড়িচালকেরা গাড়ি চালানোর সময় চোখের উপযোজন ঘটিয়ে, দূর থেকে আসা গাড়ি ও তার গাড়ির সামনে দিয়ে হেঁটে যাওয়া পথচারী উভয়কেই লক্ষ্য করে নিরাপদভাবে গাড়ি চালাতে পারে।
ii) পথচারীরা দূরের ট্রাফিক সিগন্যাল দেখে সাবধানে রাস্তা পারাপার করে চোখের উপযোজন ঘটিয়েই।
iii) কম্পিউটারের সামনে কাজ করলে বা গেম খেললে, চোখ উপযোজন ঘটিয়ে সেটি সঠিকভাবে দেখতে সাহায্য করে।
7। চোখের বাইরের থেকে ভিতরের তিনটি স্তর কি কি?
উত্তর- চোখের বাইরের থেকে ভিতরের তিনটি স্তর হল-
i) তন্তুময় বহিস্তর বা শ্বেতমন্ডল – অক্ষিগোলকের সর্বাপেক্ষা বাইরের স্তর। তন্তুময় সংযোজক কলা দ্বারা আবৃত।
ii) রক্ত জালক সমৃদ্ধ মধ্যস্তর বা কোরয়েড বা কৃষ্ণমন্ডল – এটি অক্ষিগোলকের মধ্য স্তর এবং স্ক্লেরার ভিতরের অংশ। অক্ষিগোলকের বাইরে থেকে দ্বিতীয় আবরণ।
iii) স্নায়বিক অন্তঃস্তর বা রেটিনা – এটি হল অক্ষিগোলকের সবচেয়ে ভিতরের অংশ। এই অংশে দুই প্রকার কোশ থাকে। রোডপসিন রঞ্জক যুক্ত দন্ডাকার রড কোশ এবং সায়ানপসিন বা আয়োডপসিন রঞ্জক যুক্ত শঙ্কু আকৃতির কোন কোশ।
আরো পড়ো → অনুপাত ও সমানুপাত অধ্যায়ের গাণিতিক সমস্যার সমাধান
WBPorashona.com-এর পোস্ট আপডেট নিয়মিত পাওয়ার জন্য –
- ফলো করো → WhatsApp চ্যানেল
- সাবস্ক্রাইব করো → YouTube চ্যানেল
- লাইক করো → Facebook পেইজ
- সাবস্ক্রাইব করো → টেলিগ্রাম চ্যানেল
আমাদের কাজ থেকে উপকৃত হলে এই লেখাটি বন্ধুদের সাথে শেয়ার করার অনুরোধ রইল।