বনভোজনের ব্যাপার – প্রশ্ন উত্তর | Bonbhooner Byapar – Question Answer

বিনামূল্যে ইবুকের স্যাম্পল ডাউনলোড করো 👇

to-the-point-ebook
bonbhojoner-byapar-question-answer
শ্রেণি – অষ্টম | বিভাগ – বাংলা | অধ্যায় – বনভোজনের ব্যাপার | Bonbhooner byapar

এই পর্বে রইল অষ্টম শ্রেণির বাংলা গল্প – বনভোজনের ব্যাপার – থেকে সম্পূর্ণ প্রশ্ন উত্তর আলোচনা।

সঠিক উত্তর নির্বাচন কর (MCQ)

[প্রতিটি প্রশ্নের প্রশ্নমান ১]

1। বনভোজন শেষ অবধি পরিণত হয় –
(ক) জলপানে (খ) চা-পানে (গ) ফলভোজনে (ঘ) আমভোজনে

উত্তর – বনভোজন শেষ অবধি পরিণত হয় (গ) ফলভোজনে।

2। কোন্‌ চরিত্রের স্রষ্টা নারায়ণ গঙ্গোপাধ্যায়?
(ক) ঘনাদা (খ) ননিদা (গ) টেনিদা (ঘ) নতুনদা

উত্তর – (গ) টেনিদা চরিত্রের স্রষ্টা নারায়ণ গঙ্গোপাধ্যায়।

3। হাঁসের ডিম দুপুরবেলার বের করে দেবে বলেছিল –
(ক) ক্যাবলা (খ)প্যালা (গ) ভন্টা (ঘ) হাবুল

উত্তর – হাঁসের ডিম দুপুরবেলার বের করে দেবে বলেছিল – (গ) ভন্টা।

4। প্রথম লিস্টে কত প্রকারের কাবাবের কথা ছিল –
(ক) দু-রকম (খ) তিনরকম (গ) চাররকম (ঘ) একরকম

উত্তর – প্রথম লিস্টে (ক) দু-রকমের কাবাবের কথা ছিল।

5। ‘আর দলপতি চলে যাওয়া মানেই আমরা একেবারে অনাথ!’ – বক্তাদের দলপতি ছিল –
(ক) ঘনাদা (খ) টেনিদা (গ) ক্যাবলা (ঘ) প্যালা

উত্তর – ‘আর দলপতি চলে যাওয়া মানেই আমরা একেবারে অনাথ!’ – বক্তাদের দলপতি ছিল (খ) টেনিদা।

6। প্যালা রাজহাঁসের ডিম সংগ্রহ করতে গিয়েছিল –
(ক) ভন্টাদের বাড়িতে (খ) নন্টেদের বাড়িতে (গ) ফন্টেদের বাড়িতে (ঘ) মন্টাদের বাড়িতে

উত্তর – প্যালা রাজহাঁসের ডিম সংগ্রহ করতে গিয়েছিল (ক) ভন্টাদের বাড়িতে।

7। ‘বনভোজনের ব্যাপার’ গল্পটির রচয়িতা হলেন –
(ক) রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর (খ) নারায়ণ স্যানাল (গ) নারায়ণ দেব (ঘ) নারায়ণ গঙ্গোপাধ্যায়

উত্তর – ‘বনভোজনের ব্যাপার’ গল্পটির রচয়িতা হলেন (ঘ) নারায়ণ গঙ্গোপাধ্যায়।

8। ‘বনভোজনের ব্যাপার’ গল্পে কার কণ্ঠে পূর্ববঙ্গের ভাষা শোনা যায়?
(ক) ক্যাবলা (খ) হাবুল (গ) প্যালা (ঘ) টেনিদা

উত্তর – ‘বনভোজনের ব্যাপার’ গল্পে (খ) হাবুলের কণ্ঠে পূর্ববঙ্গের ভাষা শোনা যায়।

9। জলপাই গাছের সন্ধান কে দিয়েছিল –
(ক) প্যালা (খ) ফন্টা (গ) হাবুল (ঘ) ক্যাবলা

উত্তর – জলপাই গাছের সন্ধান দিয়েছিল (গ) হাবুল।

10। ‘ওই গাছটায় কীরকম জলপাই পাকছে!’ – জলপাই আবিষ্কার করেছিল –
(ক) হাবুল (খ) ক্যাবলা (গ) টেনিদা (ঘ) রমেশ

উত্তর – ‘ওই গাছটায় কীরকম জলপাই পাকছে!’ – জলপাই আবিষ্কার করেছিল – (ক) হাবুল।


আরো পড়ো – নাটোরের কথা প্রশ্ন উত্তর

অতি সংক্ষিপ্ত প্রশ্ন (VSAQ)

[প্রতিটি প্রশ্নের প্রশ্নমান ১]

1। বনভোজনের জন্য টেনিদা কত চাঁদা দিয়েছিল?
উত্তর – বনভোজনের জন্য টেনিদা ‘ছ-আনা’ চাঁদা দিয়েছিল।

2। বনভোজনে টেনিদা কী রান্না করার দায়িত্ব নিয়েছিল?
উত্তর – বনভোজনে টেনিদা খিচুড়ি রান্না করার দায়িত্ব নিয়েছিল।

3। টেনিদা কোন গাছে হেলান দিয়ে ঘুমোচ্ছিল?
উত্তর – টেনিদা নারকেল গাছে হেলান দিয়ে ঘুমোচ্ছিল।

4। হাবুলের দিদিমা কীসের আচার বানিয়ে দিয়েছিল?
উত্তর- হাবুলের দিদিমা আমের আচার বানিয়ে দিয়েছিল।

5। ‘এবার আমাকে কিছু বলতে হয়।’ – বক্তা কে?
উত্তর- ‘এবার আমাকে কিছু বলতে হয়।’ – বক্তা প্যালা।


আরো পড়ো – বোঝাপড়া প্রশ্ন উত্তর

বিশ্লেষণধর্মী প্রশ্ন উত্তর

[প্রতিটি প্রশ্নের প্রশ্নমান ২]

1। ‘হাঁড়ি চটপটই বেরুল’ – কীসের হাঁড়ি ? তারপর কী হয়েছিল?
উত্তর- নারায়ণ গঙ্গোপাধ্যায় রচিত বনভোজনের ব্যাপার গল্পে টেনিদার আদেশে ট্রেন ছাড়ার পর লেডিকেনির হাঁড়ি চটপট বেরোল।
হাঁড়ি বেরোনোর পর চটপট সমস্ত লেডিকেনি সকলের চোখের সামনেই টেনিদার পেটে চলে গেল।

2। ‘মন খারাপ করে আমি বসে রইলাম।’ – ‘আমি’ কে? মনখারাপের কারণ কী?
উত্তর- নারায়ণ গঙ্গোপাধ্যায় রচিত বনভোজনের ব্যাপার গল্পে আলোচ্য উক্তিটির বক্তা হল প্যালা।
রাজহাঁসের ডিম জোগাড় করতে গিয়ে রাজহাঁসের কামড়ে প্যালার রক্তপাত ঘটা সত্ত্বেও প্যালা মাদ্রাজি ডিম তার নিজের পয়সা খরচ করে কিনে এনেছিল, কিন্তু ক্ষিপ্ত টেনিদা রাজহাঁসের ডিম না পেয়ে প্যালার নামই তার প্রিয় খাবার ডিমের ডালনা থেকে কেটে দেয়। তাই বক্তা প্যালা মনখারাপ করে বসেছিল।

3। ‘মাছের কালিয়া নয় – মাছের হালুয়া।’ – কীভাবে এমন ঘটনা ঘটল?
উত্তর- নারায়ণ গঙ্গোপাধ্যায় রচিত বনভোজনের ব্যাপার গল্পে টেনিদা প্যালার কাঁধে মাছের কালিয়া বানানোর গুরু দায়িত্ব দিয়েছিল। কিন্তু আনকোরা প্যালা জীবনে প্রথমবার রান্না করতে গিয়ে কড়াইতে তেল ঢেলে সেই ঠাণ্ডা তেলেই সব মাছ একসাথে দিয়ে দিয়েছিল। ফলত সমস্ত মাছ একসাথে জড়িয়ে তৈরি হল ‘মাছের হালুয়া’।

দীর্ঘ উত্তরভিত্তিক প্রশ্ন (LA)

[প্রতিটি প্রশ্নের প্রশ্নমান ৫]

1। বনভোজন কাকে বলে? বনভোজনের জন্য কী কী দরকার হয়? এই গল্পে কীভাবে বনভোজনের প্রস্তাব বাস্তবায়িত হল তা লেখো।

উত্তর- গ্রাম বাংলায় শীতকালে রোজকার একঘেয়েমি জীবনে খানিক আনন্দ, মুক্তির স্বাদ পেতে মানুষ একসাথে দলবদ্ধভাবে গাছপালা, পুকুর সংলগ্ন ফাঁকা স্থানে রান্না করে জমিয়ে দুপুরের আহার গ্রহণ করে। এই সকলে মিলে খাওয়া-দাওয়া বা আনন্দ করার বিষয়টি “বনভোজন” নামে পরিচিত।
বনভোজনে প্রয়োজন হয় যে সকল জিনিসের সেগুলি হল-
বাসস্থান থেকে দূরে ফাঁকা গাছপালায় ঘেরা জমি, রান্না করার সকল উপকরণ ও বিভিন্ন সরঞ্জাম এবং অবশ্যই বহু মানুষ (একা একা বনভোজন সম্ভব নয়)।
নারায়ণ গঙ্গোপাধ্যায় এই গল্পে চার বন্ধুর দুষ্টুমি ও ভালবাসায় ভরা এক বনভোজনের বর্ণনা করেছেন। এই চার বন্ধু যথাক্রমে টেনিদা, হাবুল, ক্যাবলা ও প্যালার মধ্যে টেনিদা ছিলেন দলপতি। খাদ্য পেটুক টেনিদা বনভোজনের আলোচনা শুরু হলেই হাবুল সেনের ‘লিস্টের’ সাথে জুড়ে দেয় মুর্গ মসল্লম, বিরিয়ানি, পোলাও, সামি কাবাব, দোসা ইত্যাদি রকমারি খাবারের নাম। কিন্তু, মাত্র ১০ টাকা চাঁদায় এতো বিলাসিতা যে সম্ভব নয় তা বুঝেই ‘মেনু’ কাটছাঁট হয়। যাইহোক শেষমেশ রাজহাঁসের বদলে মাদ্রাজি ডিম, চাল, আলু, স্পঞ্জের মত রসগোল্লা, লেডিকেনি, আচার ইত্যাদি নিয়েই রওনা দিল চার বন্ধু। কিন্তু গন্তব্যে পৌছতে পৌছতেই লেডিকেনি গেল টেনিদার পেটে আর বাকি খাবারের অধিকাংশই কাদায় ভরা পিছল রাস্তায় ‘দেহ’ রাখল। শেষ অবধি যেটুকু চাল ডাল ছিল সেগুলোও গেল একদল বাঁদরের পেটে।
এই পরিস্থিতিতে হাবুল সেনের খুঁজে পাওয়া জলপাই দিয়েই এই গল্পে লেখক চারবন্ধুর ‘বনভোজনকে, বনে ফলভোজনের’ মাধ্যমে বাস্তবায়িত করিয়েছেন।


আরো পড়ো – চন্দ্রগুপ্ত প্রশ্ন উত্তর

WBPorashona.com-এর পোস্ট আপডেট নিয়মিত পাবার জন্য –


আমাদের কাজ থেকে উপকৃত হলে এই লেখাটি বন্ধুদের সাথে শেয়ার করার অনুরোধ রইল।

নিয়মিত প্রশ্ন উত্তরের আপডেট পাও নিজের মোবাইলে 👇

wbporashona-whatsapp-channel