ইন্দ্রজিতের দেশপ্রেমবোধের পরিচয় | অভিষেক | মাইকেল মধুসূদন দত্ত | WBBSE Class 10 Bengali

বিনামূল্যে ইবুকের স্যাম্পল ডাউনলোড করো 👇

to-the-point-ebook
abhishek-kobita-indrajit
শ্রেণি – দশম | বিভাগ –  দশম শ্রেণির প্রশ্ন উত্তর | অধ্যায় – অভিষেক

শুরু হল নতুন বিভাগ – প্রশ্ন উত্তর। আজকের প্রশ্ন উত্তর আলোচনায় রইল দশম শ্রেণির বাংলা বিভাগ থেকে অভিষেক কবিতা থেকে একটি অতি গুরুত্বপূর্ণ প্রশ্নের উত্তর আলোচনা।


প্রশ্নঃ অভিষেক’ কবিতা অবলম্বনে ইন্দ্রজিতের দেশপ্রেমবোধের পরিচয় দাও।

উত্তরঃ কবি মাইকেল মধুসূদনের ‘মেঘনাদবধ কাব্য’-এর কেন্দ্রে রয়েছেন ইন্দ্রজিৎ, তিনিই কবি মধুসূধনের ‘favourite hero’। রাক্ষসকূলের গৌরব ইন্দ্রজিতের প্রবল বীরত্ব এবং শৌর্য-তেজ আলোচ্য কাব্যাংশে ফুটে উঠেছে।

রাম এবং লঙ্কা নৃপতি রাবণ যুদ্ধে অবতীর্ণ হয়েছেন। এই দীর্ঘ যুদ্ধে ক্লান্ত মেঘনাদ প্রমোদকাননে অবসাদ কাটাতে গিয়েছিলেন এবং তখনই ছোটোভাই বীরবাহুর মৃত্যুসংবাদ পেয়ে উত্তেজিত মহাবলী ইন্দ্রজিৎ নিজেকে ধিক্কার দিতে থাকেন, তার মনে জেগে ওঠে প্রবল প্রতিশোধের ইচ্ছা। তাঁর এই আত্মধিক্কারের মধ্যে লুকিয়ে আছে দেশপ্রেম, আদর্শ বীর এবং আদর্শ ভ্রাতার ধর্ম।


পড়া মনে রাখার সেরা উপায়! ↓

wb-porashona-to-the-point-ebook


সমস্ত ফুলের মালা, কুণ্ডল ছিন্ন করে ইন্দ্রজিৎ শীঘ্র পৌঁছে যান পিতার শিবিরে। দেশের এহেন দুঃসময়ে তাঁর এই বিলাস-ব্যসন মানায় না। বীরের ধর্ম যুদ্ধজয় এবং দেশরক্ষা আর তাই সেই মহান উদ্দেশ্যে প্রমোদকাননে তিনি বলে ওঠেন –

“এ কি সাজে আমারে, দশাননাত্মজ

আমি ইন্দ্রজিৎ? আন রথ ত্বরা করি;

ঘুচাব এ অপবাদ, বধি রিপুকুলে।”

স্বদেশ তাঁর কাছে মায়ের মতো। সেই মায়ের বুকে যখন শত্রুর পদচারণা ঘটে তখন তা প্রতিকার না করে আত্মসুখে মজে থাকা বীরের ধর্ম নয়।

তাই ইন্দ্রজিৎ প্রেয়সী প্রমীলার শত অনুনয় উপেক্ষা করে রনাঙ্গণে গিয়েছেন। তাঁর কাছে পত্নীপ্রেমের থেকেও বড়ো দেশপ্রেম। ছোটোভাই বীরবাহুর মৃত্যুতে ইন্দ্রজিতের মনে যে প্রতিশোধের আগুন জ্বলে উঠেছে তা তাঁর স্বাজাত্যবোধের পরিচয় দেয়। পিতাকে বিরত করে তিনি নিজেই রামকে হত্যা করতে উদ্যত হয়েছেন। এর আগে দু’বার রাঘবকে পরাজিত করেও জয়ী হননি মেঘনাদ তাই শেষবারের মত অনুমতি চেয়েছেন তিনি পিতার কাছে।

সেনাপতি পদে ইন্দ্রজিতের অভিষেক ঘটে, শত্রুর পঙ্কিল হাত থেকে সোনার লঙ্কাকে মুক্ত করতে ইন্দ্রজিৎ বদ্ধপরিকর। রামের প্রতি তাঁর এই সংঘাত যেন দেশের স্বাধীনতার জন্য সংঘাত। অনেক সমালোচক মধুসূদনের এই কাব্যের মধ্যে কবির জাতীয়তাবোধের প্রকাশ খুঁজে পেয়েছেন এবং সেদিক থেকে রাবণ-ইন্দ্রজিতের মতো চরিত্রগুলি বিদ্রোহী পরাধীন ভারতবাসীর আদলে নির্মিত বলে অনুমান করেছেন। সমস্ত কাব্য জুড়েই ইন্দ্রজিতের দেশপ্রেম তাই উজ্জ্বল দৃষ্টান্ত হয়ে উঠেছে, আলোচ্য কাব্যাংশে তার ক্ষুদ্র প্রকাশ আমরা লক্ষ্য করি।

আরো পড়ো অভিষেক কবিতার প্রশ্ন উত্তর

WBPorashona.com-এর পোস্ট আপডেট নিয়মিত পাবার জন্য –


আমাদের কাজ থেকে উপকৃত হলে এই লেখাটি বন্ধুদের সাথে শেয়ার করার অনুরোধ রইল।

নিয়মিত প্রশ্ন উত্তরের আপডেট পাও নিজের মোবাইলে 👇

wbporashona-whatsapp-channel