আয় আরো বেঁধে বেঁধে থাকি কবিতার প্রশ্ন-উত্তর | Aye Aro Bedhe Bedhe Thaki – Question Answer

নিয়মিত প্রশ্ন উত্তরের আপডেট পাও নিজের মোবাইলে 👇

wb porashona.com whatsapp channel
aye-aro-bedhe-bedhe-thaki
শ্রেণি – দশম | বিভাগ – বাংলা | অধ্যায় – আয় আরো বেঁধে বেঁধে থাকি (Aye Aro Bedhe Bedhe Thaki)

এই পর্বে রইল দশম শ্রেণির বাংলা বিভাগের আয় আরো বেঁধে বেঁধে থাকি কবিতা থেকে সম্পূর্ণ প্রশ্ন উত্তর আলোচনা।

সঠিক উত্তরটি নির্বাচন করো

[প্রতিটি প্রশ্নের প্রশ্নমান ১]
১। ‘আয় আরো বেঁধে বেঁধে থাকি’ কবিতাটি কবির কোন কাব্যগ্রন্থের অন্তর্গত?
(ক) নিহিত পাতাল ছায়া (খ) পাঁজরে দাঁড়ের শব্দ (গ) দিনগুলি রাত গুলি (ঘ) জলই পাষাণ হয়ে আছে।

উত্তর – ‘আয় আরো বেঁধে বেঁধে থাকি’ কবিতাটি (ঘ) জলই পাষাণ হয়ে আছে কাব্যগ্রন্থের অন্তর্গত।

২। যাদের শব ছড়ানো রয়েছে কাছে দূরে –
(ক) পশুদের (খ) শত্রুদের (গ) নারীদের (ঘ) শিশুদের

উত্তর – (ঘ) শিশুদের শব ছড়ানো রয়েছে কাছে দূরে।

৩। ‘পায়ে পায়ে হিমানীর বাঁধ’ – হিমানী কথার অর্থ –
(ক) জল (খ) পাহাড় (গ) বরফ (ঘ) আগুন

উত্তর – হিমানী কথার অর্থ (গ) বরফ।

৪।আমাদের কি নেই বলে কবি কবিতায় উল্লেখ করেছেন?
(ক) জীবন (খ) মৃত্যু (গ) ইতিহাস (ঘ) ভূগোল

উত্তর – আমাদের (গ) ইতিহাস নেই বলে কবি কবিতায় উল্লেখ করেছেন।

৫। ‘আমরা ভিখারি ____ মাস’
(ক) বারো (খ) ছয় (গ) তিন (ঘ) দুই

উত্তর – আমরা ভিখারি (ক) বারো মাস।


মাধ্যমিকে নম্বর বাড়াবার সেরা উপায় ↓


অতি সংক্ষিপ্ত প্রশ্ন

[প্রতিটি প্রশ্নের প্রশ্নমান ১]

১। ‘আমাদের পথ নেই আর’- তাহলে আমাদের করণীয় কী? [মাধ্যমিক’১৭]
উত্তর – এই অবস্থায় কবি আমাদের আরো বেঁধে বেঁধে থাকার বা সঙ্ঘবদ্ধ থাকার পরামর্শ দিয়েছেন।

২। ‘আমাদের ডানপাশে’ আর ‘বাঁয়ে’ কী আছে?
উত্তর – আয় আরো বেঁধে বেঁধে থাকি কবিতা অনুযায়ী আমাদের ‘ডান পাশে ধ্বস’ এবং ‘বাঁয়ে গিরিখাদ’ রয়েছে।

৩। “আয় আরো বেঁধে বেঁধে থাকি”। – এ কথা বলার কারণ কী?
উত্তর – বেঁধে বেঁধে থাকার অর্থ একসাথে থাকা বা সঙ্ঘবদ্ধ থাকার কথা বলা হয়েছে।

৪। ‘পৃথিবী হয়তো গেছে মরে’ – এমন ধারণার কারণ কী?
উত্তর – এই কঠিন সময়ে ‘আমরা’ অর্থাৎ সাধারণ মানুষের বেঁচে থাকার অর্থ এবং আনন্দ হারিয়ে গেছে, এই অবস্থা বোঝাতে কবি ‘পৃথিবী হয়তো মরে গেছে’ পংক্তিটি ব্যবহার করেছেন।

৫। “আমরা ভিখারি বারোমাস”-কোন্‌ অনুভূতির বহিঃপ্রকাশ?
উত্তর – বারো মাস কথার অর্থ সারা বছর, সুতরাং ‘ভিখারি বারোমাস’ কথাটি সবসময়ের দুর্দশা / সীমাহীন দুর্দশা বোঝাতে ব্যবহার করা হয়েছে।

৬। ‘আয় আরো বেঁধে বেঁধে থাকি’ কবিতায় ‘আমরা’ কারা?
উত্তর – ‘আয় আরো বেঁধে বেঁধে থাকি’ কবিতায় ‘আমরা’ হল সাধারণ মানুষ।

৭। ‘আমাদের ইতিহাস নেই’ – এ কথা বলা হয়েছে কেন?
উত্তর – ইতিহাস কেবলমাত্র সমাজের শাসকগোষ্ঠীর জন্য সীমাবদ্ধ, ইতিহাসে সাধারণ মানুষের কোন স্থান নেই, তাই কবি বলেছেন ‘আমাদের ইতিহাস নেই’।

৮। ‘ছড়ানো রয়েছে কাছে দূরে’ – কি ছড়ানো রয়েছে?
উত্তর -‘কাছে দূরে’ আমাদের শিশুদের শব ছাড়ানো রয়েছে ।

৯। ‘আমাদের ঘর গেছে উড়ে’ – কেন?
উত্তর – যুদ্ধে আমাদের অর্থাৎ সাধারণ মানুষের ঘর ধ্বংস হয়েছে।


আরো পড়ো → সরল সুদ অধ্যায়ের গাণিতিক সমস্যার সমাধান

ব্যাখ্যা ভিত্তিক সংক্ষিপ্ত প্রশ্ন

[প্রতিটি প্রশ্নের প্রশ্নমান ৩]

১। ‘আমরা ভিখারি বারোমাস’ – ‘আমরা’ বলতে কাদের বোঝানো হয়েছে? তারা নিজেদের সর্বদা ভিখারি বলে মনে করেছেন কেন? (1+2)

উত্তর – আলোচ্য লাইনটি কবি শঙ্খ ঘোষ রচিত ‘আয় আরো বেঁধে বেঁধে থাকি’ কবিতা থেকে নেওয়া হয়েছে। কবি এই কবিতায় ‘আমরা’ বলতে সাধারণ মানুষদের কথা বলেছেন।

ভিখারির কিছু সঞ্চয় থাকে না, ভিক্ষাবৃত্তি করে তার যা জোটে তা দিয়েই সে গ্রাসাচ্ছাদন করে, জীবন যুদ্ধে বেঁচে থাকে। কবি ‘আমরা’ অর্থাৎ সাধারণ মানুষকে ‘ভিখারির’ সঙ্গে তুলনা করেছেন আর ‘বারো মাস’ কথাটি সবসময় বোঝাতে ব্যবহার করা হয়েছে। কারণ, সাম্রাজ্যবাদী ও ধ্বংসাত্মক উগ্র শক্তির সামনে আক্রান্ত হতে হতে আমদের ‘সঞ্চয়’ অর্থাৎ ‘অতীতের গর্বের কথা’ লুণ্ঠিত হয়। আর তার পরিবর্তে আমাদের উপর চাপিয়ে দেওয়া হয় পরিবর্তিত নিয়ম – পট পরিবর্তন হয় কিন্তু অবস্থার পরিবর্তন হয় না। ‘আমরা’ সেই নতুন সময়কেই সর্বদা ‘ভিখারির’ মত মেনে নিই, তা দিয়েই বেঁচে থাকার চেষ্টা করি।

২। ‘আয় আরো হাতে হাত রেখে’ – হাতে হাত রাখা বলতে কি বোঝায়? এক্ষেত্রে ‘আরো শব্দটির প্রয়োগের তাৎপর্য লেখো। (1+2)

উত্তর – হাতে হাত রাখা সংঘবদ্ধতার প্রতীক; হাতে হাত রাখা বলতে কবি সংঘবদ্ধ থাকার কথা বলেছেন।

কবি শঙ্খ ঘোষ রচিত ‘আয় আরো বেঁধে বেঁধে থাকি’ কবিতায় কবি সাম্রাজ্যবাদী শক্তির দ্বারা শোষিত এবং নিপীড়িত সাধারণ মানুষের কথা তুলে ধরেছেন। সাম্রাজ্যবাদী শাসকগোষ্ঠী, সাম্রাজ্য বিস্তারের লালসায় একের পর এক সভ্যতা – নগর ধ্বংস করে, পদদলিত হয় সাধারণ মানুষ। কবি এই চরম বিপদ থেকে বাঁচার উপায় হিসাবে একতা বা সংঘবদ্ধতার বার্তা দিয়েছেন। ‘আরো’ শব্দটির উপর জোর দিয়ে আরো বেশি করে ঐক্যবদ্ধ হবার কথা, আরো বেশি নৈকট্যের কথা  বোঝাতে চাওয়া হয়েছে। কবি বলেছেন এই বিপদের সময়ে যারা একতার কথা কথা বলছেন, তারা যেন কাজের প্রাবল্য আরো বৃদ্ধি করেন, তারা যেন আরো বেশি করে সংঘবদ্ধ থাকার কথা বলেন।

৩। “আমরাও তবে এইভাবে / এ মুহূর্তে মরে যাব না কি?” এই শঙ্কার কারণ কি? ৩
উত্তর – আলোচ্য অংশটি কবি শঙ্খ ঘোষ রচিত ‘আয় আরো বেঁধে বেঁধে থাকি’ কবিতা থেকে নেওয়া হয়েছে। কবি এই কবিতায় সাম্রাজ্যবাদী শক্তির দ্বারা শোষিত এবং নিপীড়িত সাধারণ মানুষের কথা তুলে ধরেছেন। কবি বলেছেন, সাধারণ মানুষ এক বিষম বিপদের সম্মুখীন হয়েছে, তাদের ‘ডান পাশে ধ্বস’, ‘বাঁয়ে গিরিখাদ’ মাথার উপর মৃত্যুর পরোয়ানা নিয়ে ‘বোমারু’ বিমান উরছে, তাদের পায়ে ‘হিমানীর বাঁধ’। তাদের আর কোথাও যাবার নেই; এমনকি তাদের আশ্রয়স্থলও ধ্বংস হয়েছে। তাদের ভবিষ্যৎ অনিশ্চিত, তারা জানে না যে তারা আর কত সময় বেঁচে থাকতে পারবে। কবি সাধারণ মানুষের এই অসহায়তার কথাই কবিতায় ব্যাক্ত করেছেন।


পড়া মনে রাখার সেরা উপায়! ↓

WBP-to-the-point-banner-v1


৪।“আমরা ফিরেছি দোরে দোরে’ আমরা বলতে কাদের কথা বলা হয়েছে? তাদের দোরে দোরে ফিরতে হচ্ছে কেন? (১+২)
উত্তর – আমরা বলতে কবি সাধারণ মানুষের কথা বলেছেন।

দোর কথার অর্থ দুয়ার বা দরজা। আশ্রয়হীন মানুষ সাধারণত অন্য বাড়ির দুয়ারে দুয়ারে গিয়ে আশ্রয় বা সাহায্য প্রার্থনা করেন। আলোচ্য পদ্যাংশটি কবি শঙ্খ ঘোষ রচিত ‘আয় আরো বেঁধে বেঁধে থাকি’ কবিতা থেকে নেওয়া হয়েছে। এই কবিতায় কবি যুদ্ধবাজ – লোভী সাম্রাজ্যবাদী শক্তির সামনে সাধারণ মানুষের অসহায়তার কথা তুলে ধরেছেন। কবি বলেছেন সাম্রাজ্যবাদী শক্তির নির্মম আক্রমণে সাধারণ মানুষ নিপীড়িত, তাদের জীবন বিপন্ন এমনকি তাদের আশ্রয়ের ঘরটিও ‘গেছে উড়ে’। তাই অসহায় সাধারণ মানুষ আশ্রয়ের জন্য দোরে দোরে সাহায্য প্রার্থনা করছেন।

৫।‘আমাদের পথ নেই কোনো’ – পথ না থাকার কারণ কি?
উত্তর – আমরা অর্থাৎ ‘সাধারণ মানুষ’ এক সর্বগ্রাসী পরিস্থিতির মাঝে বাস করছি। সাম্রাজ্যবাদী শক্তির গ্রাস, ধার্মিক ও সামাজিক অস্থিরতা ইত্যাদির মধ্যে ক্রমশ অস্তিত্ব হারাচ্ছে সাধারণ মানুষ। আজকের সময়ে এই অস্থিরতাকে অগ্রাহ্য করে চোখ বুঝে বসে থাকা সম্ভব নয়। তাই আমাদের সামনে এই ধ্বংসের তাণ্ডব অগ্রাহ্য করার আজ আর কোন ‘পথ’ খোলা নেই।

৬। ‘আমাদের ইতিহাস নেই’ কোন কবিতার অংশ? ইতিহাস নেই বলতে কবি কি বুঝিয়েছেন?
উত্তর – আলোচ্য অংশটি কবি শঙ্খ ঘোষ রচিত ‘আয় আরো বেঁধে বেঁধে থাকি’ কবিতা থেকে নেওয়া হয়েছে।

কবি বলেছেন, সাধারণ মানুষের কোন ইতিহাস নেই। সেই সাধারণ মানুষেরা যারা সর্বদা সাম্রাজ্যবাদী শক্তির দ্বারা শোষিত হয়, যাদের কৃষ্টি – সংস্কৃতি নষ্ট হয়, ইতিহাসের পাতায় তাদের কথা লেখা হয় না। ইতিহাস তৈরি হয় রাষ্ট্রনায়কদের নিয়ে, সাধারণ মানুষ সেখানে বঞ্চিত হয়। তাদের অত্যাচারে সাধারণ মানুষেরা নিজেদের অস্তিত্ব ভুলে, চাপিয়ে দেওয়া ইতিহাস মেনে নিতে বাধ্য হয়। তাই তাদের কোন ইতিহাস থাকে না।

৭। ‘আমাদের ঘর গেছে উড়ে’ তাৎপর্য বিশ্লেষণ করো।
উত্তর – ঘর কথার অর্থ আশ্রয়।

আলোচ্য উক্তিটি কবি শঙ্খ ঘোষ রচিত ‘আয় আরো বেঁধে বেঁধে থাকি’ কবিতা থেকে নেওয়া হয়েছে। কবি এই কবিতায় সাধারণ মানুষের দুর্দশার কথা তুলে ধরেছেন। প্রাচিন কাল থেকেই মানব সভ্যতা সাম্রাজ্যবাদী শক্তির সামনে অসহায়; তাদের করাল গ্রাসের দ্বারা অসংখ্য সভ্যতা ধ্বংস হয়েছে। এই সাম্রাজ্যবাদী শক্তির আক্রমণে সবচেয়ে বেশি ক্ষতি হয় সাধারণ মানুষের, তারা লুন্ঠিত হয়, ধ্বংস হয়, সভ্যতা লাঞ্চিত হয়, কৃষ্টি- সংস্কৃতি দলিত হয়। তারা বিতাড়িত হতে বাধ্য হয় তাদের নিজেদের ঘর বা আশ্রয় থেকে। তাই কবি যুদ্ধ বিরোধী এই কবিতায় সাধারণ মানুষদের আশ্রয়হীন হওয়াকে ‘আমাদের ঘর গেছে উড়ে’ বলে চিহ্নিত করেছেন।

আয় আরো বেঁধে বেঁধে থাকি কবিতার প্রশ্ন উত্তর আলোচনা ↓

রচনাধর্মী প্রশ্ন

[প্রতিটি প্রশ্নের প্রশ্নমান ৫]

১। ‘আয় আরো বেঁধে বেঁধে থাকি’ কবিতার বিষয়বস্তু সংক্ষেপে লেখ।

উত্তর – কবি শঙ্খ ঘোষ রচিত ‘আয় আরো বেঁধে বেঁধে থাকি’ একটি যুগোপযোগী যুদ্ধবিরোধী কবিতা। এই কবিতায় কবি মানব সভ্যতার সবচেয়ে নির্মম এবং কলঙ্কিত অধ্যায়টির কথা বলেছেন।

মানব সভ্যতা গড়ে ওঠার সাথে সাথে জন্ম নিয়েছে সাম্রাজ্যবাদী শক্তি। সেই প্রাচীন কাল থেকে মানব সভ্যতাকে বার বার ধ্বংসের মুখে নিয়ে এসেছে এই শক্তি। তারা নিজেদের স্বার্থের অর্থাৎ সাম্রাজ্যবৃদ্ধির দিকে লক্ষ্য রেখে একে একে সভ্যতাকে গ্রাস করেছে। এই আক্রমণে সবচয়ে বেশি ক্ষতি হয় সাধারণ মানুষের, তারা লুন্ঠিত হয়, ধ্বংস হয়, সভ্যতা লাঞ্চিত হয়, কৃষ্টি- সংস্কৃতি দলিত হয়। কবির ভাষায় ‘আমরা’ হল সাধারণ মানুষ। সাধারণ মানুষের সর্বত্র বিপদ, ডান পাশে ‘ধ্বস’, বাম পাশে ‘গিরিখাদ’, মাথায় উপর ‘বোমারু বিমান’ আর পায়ে ‘হিমানী’ অর্থাৎ বরফের বাঁধ।, অর্থাৎ ‘আমাদের’ আর কোথাও যাবার জায়গা নেই।

কবি এর থেকে মুক্তির দিশা আমাদের দেখিয়েছেন, ‘আয় আরো বেঁধে বেঁধে থাকি…’ কথার মধ্যে দিয়ে। ‘বেঁধে’ থাকার অর্থ সঙ্ঘবদ্ধ থাকা। ‘আমরা’ বা সাধারণ মানুষ আজ বেঁচে আছে ধ্বংসের মাঝে, তাদের ভবিষ্যৎ প্রজন্ম বা ‘শিশুরা’ ক্রমশ ‘শবে’ বা মৃতদেহে পরিণত হচ্ছে। সাধারণ মানুষের কোন ইতিহাস হয় না, কারণ ‘চোখ – মুখ’ ঢাকা ইতিহাস শুধুমাত্র ‘রাষ্ট্রনায়ক’ দের জন্য রক্ষিত। সাধারণ মানুষের বাঁচা মরার হিসাব সে ইতিহাস রাখে না। তাই তাদের হারাবার আর কিছুই নেই, তারা হয় মরে যাবে বা দল বাঁধবে।

কবি বলেছেন, এই সময়েও আমাদের মধ্যেও কিছু মানুষ আছেন যারা মনুষ্যত্ব, একতা ও সম্প্রীতির কথা বলেন। তাই কবির ভাষায় যারা ‘কজন বাকি আছি’ তারা দল বেঁধে ‘হাতে হাত রেখে’ সঙ্ঘবদ্ধ ভাবে ভবিষ্যতের পথ খুঁজবো।

২। ‘আয় আরো বেঁধে বেঁধে থাকি’ – কবিতায় কবি কাদের বেঁধে বেঁধে থাকতে বলেছেন? তিনি একথা বলেছেন কেন? (১ +৪)
উত্তর – ‘আয় আরো বেঁধে বেঁধে থাকি’ কবিতায় কবি সাধারণ মানুষদের ‘বেঁধে বেঁধে’ থাকার অর্থাৎ সঙ্ঘবদ্ধ থাকার কথা বলেছেন।

কবি এই কবিতায় সাম্রাজ্যবাদী শক্তির দ্বারা শোষিত এবং নিপীড়িত সাধারণ মানুষের কথা তুলে ধরেছেন। কবি বলেছেন, সাধারণ মানুষ এক বিষম বিপদের সম্মুখীন হয়েছে, তাদের ‘ডান পাশে ধ্বস’, ‘বাঁয়ে গিরিখাদ’ মাথার উপর মৃত্যুর পরোয়ানা নিয়ে ‘বোমারু’ বিমান উড়ছে, তাদের পায়ে ‘হিমানীর বাঁধ’। তাদের আর কোথাও যাবার নেই; এমনকি তাদের আশ্রয়স্থলও ধ্বংস হয়েছে। সাধারণ মানুষ অর্থাৎ কবির ভাষায় ‘আমরা’ আজ বেঁচে আছি ধ্বংসের মাঝে, তাদের ভবিষ্যৎ প্রজন্ম বা ‘শিশুরা’ ক্রমশ ‘শবে’ বা মৃতদেহে পরিণত হচ্ছে। তাই সাধারণ মানুষের হারাবার আর কিছুই নেই, তারা হয় মরে যাবে বা দল বাঁধবে। তাই কবি সকল সমমনস্ক মানুষদের ‘বেঁধে বেঁধে’ অর্থাৎ সঙ্ঘবদ্ধ থাকার কথা বলেছেন।

৩। আমাদের শিশুদের শব / ছড়ানো রয়েছে কাছে দূরে!’ এটি কার লেখা এবং কোন কবিতার অংশ? মূলগ্রন্থের নাম কি? পঙতি দুটির তাৎপর্য আলোচনা করো।
উত্তর – আলোচ্য পঙতি দুটি কবি শঙ্খ ঘোষ রচিত আয় আরো বেঁধে বেঁধে থাকি কবিতা থেকে নেওয়া হয়েছে।

এই কবিতাটি কবি শঙ্খ ঘোষের ‘জলই পাষাণ হয়ে আছে’ কাব্যগ্রন্থ থেকে নেওয়া হয়েছে।

কবিতায় ‘শিশু’ কথাটির অর্থে ভবিষ্যতকে ইঙ্গিত করা হয়েছে। আমরা জানি সাধারণ মানুষেরা তাদের ভবিষ্যতের ছাপ রেখে যায় তাদের ভবিষ্যৎ প্রজন্মের মধ্য দিয়ে। কিন্তু সাম্রাজ্যবাদী শক্তির দ্বারা সৃষ্ট ধ্বংসের দাবানলে সেই সাধারণ মানুষের ভবিষ্যৎ আজ অন্ধকার, তাদের ভবিষ্যৎ সম্ভবনা আজ মৃতপ্রায় (শব) হয়ে ছড়িয়ে আছে আমাদের অর্থাৎ বর্তমান সভ্যতার সামনে। কবি সাধারণ মানুষের এই অসহায়তার কথাই কবিতায় ব্যাক্ত করেছেন।

আরো পড়ো → উদ্ভিদ্ভের চলন অধ্যায়ের প্রশ্ন উত্তর

WBPorashona.com-এর পোস্ট আপডেট নিয়মিত পাবার জন্য –


আমাদের কাজ থেকে উপকৃত হলে এই লেখাটি বন্ধুদের সাথে শেয়ার করার অনুরোধ রইল।

পড়া মনে রাখার সেরা উপায় 👇

wb-porashona-to-the-point-ebook