শ্রেণি – দশম | বিভাগ – ভূগোল | অধ্যায় – Bayur Kaaj Question Answer | বহির্জাত প্রক্রিয়া ও তাদের দ্বারা সৃষ্ট ভূমিরূপ প্রশ্ন উত্তর (Chapter 1)
এই পর্বে রইল দশম শ্রেণির ভূগোল বিভাগের প্রথম অধ্যায় – বহির্জাত প্রক্রিয়া ও তাদের দ্বারা সৃষ্ট ভূমিরূপ থেকে বায়ুর কাজের দ্বারা সৃষ্ট ভূমিরূপ সংক্রান্ত সম্পূর্ণ প্রশ্ন উত্তর আলোচনা।
Table of Contents
সঠিক উত্তর নির্বাচন করো (MCQ)
১। সমপ্রায় ভূমিতে কঠিন শিলা গঠিত কিছু অনুচ্চ পাহাড় অবশিষ্টাংশ ভূমিরূপ হিসেবে থেকে যায় তাকে বলে- [মাধ্যমিক’২০]
(ক) ইয়ারর্দাং (খ) জুগ্যান (গ) বালিয়াড়ি (ঘ) ইনসেলবার্জ
উত্তর- সমপ্রায় ভূমিতে কঠিন শিলা গঠিত কিছু অনুচ্চ পাহাড় অবশিষ্টাংশ ভূমিরূপ হিসেবে থেকে যায় তাকে বলে- (ঘ) ইনসেলবার্জ
২। ‘মাশরুম রক’ বলা হয়-
(ক) গৌরকে (খ) ইনসেলবার্জকে (গ) জিউগেনকে (ঘ) ইয়ারদাংকে
উত্তর- ‘মাশরুম রক’ বলা হয়-(ক) গৌরকে।
৩। পাথুরে মরুভূমিকে মিশরে বলা হয়-
(ক) সেরির (খ) আর্গ (গ) কুম (ঘ) রেগ
উত্তর- পাথুরে মরুভূমিকে মিশরে বলা হয়- (ক) সেরির।
৪। লোয়েস শব্দটি প্রথম ব্যবহার করেন-
(ক) ভি.ভি. ডকুচেভ (খ) ভন রিকটোফেন (গ) এইচ জেনি (ঘ) এস পি রায় চৌধুরী
উত্তর- লোয়েস শব্দটি প্রথম ব্যবহার করেন- (খ) ভন রিকটোফেন।
৫।দ্রাস বালিয়াড়ি দেখতে অনেকটা-
(ক) তিমির পিঠের মত (খ) পিরামিডের মত (গ) তারা মাছের মত (ঘ) চিংড়ি মাছের মত
উত্তর- দ্রাস বালিয়াড়ি দেখতে অনেকটা- (ক) তিমির পিঠের মত।
পড়া মনে রাখার সেরা উপায়! ↓
৬। মরু ও মরুপ্রায় অঞ্চলের নিন্মভূমিতে অবস্থিত লবনাক্ত জলের হ্রদকে বলে-
(ক) ধান্দ (খ) কাতারা (গ) প্লায়া (ঘ) ওয়াদি
উত্তর- মরু ও মরুপ্রায় অঞ্চলের নিন্মভূমিতে অবস্থিত লবনাক্ত জলের হ্রদকে বলে- (গ) প্লায়া।
৭। চলমান বালিয়াড়িকে বলা হয়-
(ক) শটস (খ) ওয়াদি (গ) ধ্রিয়ান (ঘ) প্লায়া
উত্তর- চলমান বালিয়াড়িকে বলা হয়- (গ) ধ্রিয়ান।
৮। মরুভূমি অঞ্চলে শুস্ক নদীখাতকে কি বলে?
(ক) ওয়াদি (খ) বাজাদা (গ) পেডিমেন্ট (ঘ) প্লায়া
উত্তর- মরুভূমি অঞ্চলে শুস্ক নদীখাতকে বলা হয়- (ক) ওয়াদি।
৯। প্রস্তরময় মরুভূমিতে বলে-
(ক) রেগ (খ) হামাদা (গ) ট্যালাস (ঘ) আর্গ
উত্তর- প্রস্তরময় মরুভূমিতে বলে- (খ) হামাদা।
১০। মরু অঞ্চলে বায়ু ও জলধারার সম্মিলিত কার্যের ফলে গঠিত ভূমিরূপ হল-
(ক) পেডিমেন্ট (খ) ইয়ারদাং (গ) লোয়েস (ঘ) বারখান
উত্তর- মরু অঞ্চলে বায়ু ও জলধারার সম্মিলিত কার্যের ফলে গঠিত ভূমিরূপ হল-(ক) পেডিমেন্ট।
আরো পড়ো →সরল সুদ গাণিতিক সমস্যার সমাধান
অতিসংক্ষিপ্ত প্রশ্ন (VSAQ)
[প্রতিটি প্রশ্নের প্রশ্নমান ১]
১। চিনের কোন নদী অববাহিকায় লোয়েস দেখা যায়?
উত্তর- চিনের হোয়াংহো নদী অববাহিকায় লোয়েস দেখা যায়।
২। সাহারায় বালুকাময় মরুভূমির কি নামে পরিচিত? [মাধ্যমিক’18]
উত্তর-সাহারায় বালুকাময় মরুভূমির আর্গ নামে পরিচিত।
৩। বায়ুপ্রবাহের সমান্তরালে গঠিত বালিয়াড়ির নাম কি?
উত্তর- বায়ুপ্রবাহের সমান্তরালে গঠিত বালিয়াড়ির নাম অনুদৈর্ঘ্য বা সিফ বা রৈখিক বালিয়াড়ি বলা হয়।
৪। মরুভূমির শুষ্ক নদীখাতকে কি বলা হয়?
উত্তর- মরুভূমির শুষ্ক নদীখাতকে ওয়াদি বলা হয়।
৫। মরুস্থলী কথার অর্থ কি?
উত্তর-মরুস্থলী কথার অর্থ ‘মৃতের দেশ’।
৬। পৃথিবীর সর্বাধিক লোয়েস কোথায় সঞ্চিত হয়?
উত্তর- পৃথিবীর সর্বাধিক লোয়েস উত্তর চিনের হোয়াংহো নদী উপত্যাকায় সঞ্চিত হয়েছে।
৭। মরু উদ্ভিদ কি নামে পরিচিত?
উত্তর- মরু উদ্ভিদ জেরোফাইট নামে পরিচিত।
৮। কোন বালিয়াড়ি অর্ধচন্দ্র আকৃতির হয়?
উত্তর- বারখান বালিয়াড়ি অর্ধচন্দ্র আকৃতির।
৯। মরু অঞ্চলে ক্ষয়ের নিম্নসীমা কোনটি?
উত্তর- মরু অঞ্চলে ক্ষয়ের নিম্নসীমা প্লায়া।
১০। বায়ুর সঞ্চয় কার্যের ফলে গঠিত একটি ভূমিরূপের নাম লেখ?
উত্তর- বায়ুর সঞ্চয় কার্যের ফলে গঠিত একটি ভূমিরূপের নাম বালিয়াড়ি।
আরো পড়ো → দশম শ্রেণির পঞ্চম অধ্যায়ের প্রশ্ন উত্তর
সংক্ষিপ্ত উত্তর ভিত্তিক প্রশ্ন (SAQ)
[প্রতিটি প্রশ্নের প্রশ্নমান ২]
১। অপসারণ গর্ত কিভাবে সৃষ্টি হয়?
উত্তর- বিস্তীর্ণ অঞ্চল জুড়ে বাধাহীন ভাবে বায়ুপ্রবাহের কারণে মরুভূমির কিছু কিছু স্থানে বালি অপসৃত ও সেই স্থান অবনমিত হয়। এই ভাবেই বিশাল অঞ্চল জুড়ে অপসারণ গর্ত সৃষ্টি হয়। কিছু কিছু ক্ষেত্রে এই অঞ্চলগুলি জলস্তরের খুব কাছাকাছি চলে আসার ফলে মাটির নিচ থেকে জল বেড়িয়ে আসতে দেখা যায়।
২। বার্খান কি?
উত্তর- বায়ুপ্রবাহের সাথে আড়াআড়িভাবে গঠিত অর্ধচন্দ্রাকৃতি তির্যক বালিয়াড়িকে বার্খান বলে।
বার্খানের উচ্চতা 15 – 30 মিটার ও বিস্তার 5 – 200 মিটার হতে পারে। বার্খান-এর প্রতিবাদ ঢাল উত্তল হয়ে থাকে ও অনুবাদ ঢাল অবতল হয়ে থাকে। ক্রমশ বর্ধমান বারখনগুলি একে অপরের সাথে জুড়ে বার্খানয়েড গঠন করে। একে মেগা বারখান ও বলা হয়।
৩। দক্ষিন গোলার্ধের দুটি উষ্ণ মরুভূমির নাম কি?
উত্তর- দক্ষিন গোলার্ধের দুটি উষ্ণ মরুভূমির নাম- ক) কালাহারি ও খ) অস্ট্রেলিয়া মরুভূমি।
৪। গৌর কি?
উত্তর- মরু অঞ্চলে কোন বৃহৎ শিলাখন্ডের নিম্নাংশে কোমল শিলা ও উপরের অংশে কঠিন শিলা থাকলে নীচের কোমল শিলা অধিক ক্ষয়প্রাপ্ত হয়ে ব্যাঙের ছাতার ন্যায় যে ভূমিরূপের সৃষ্টি করে তাকেই গৌর বলে।
৫। লোয়েস সমভূমি কাকে বলে? [মাধ্যমিক 12, 14]
অথবা, লোয়েস এর সংজ্ঞা দাও। [মাধ্যমিক ২০]
উত্তর- বায়ুর বহন কার্যের ফলে পরিবাহিত কোয়ার্টজ, অভ্র, ক্যালসাইট, ডলোমাইট, ফেল্ডস্পার ও অন্যান্য খনিজ গঠিত হলদে বা ধূসর হলদে রং-এর বালিকণার সঞ্চয়কে লোয়েস বলা যায়।মধ্য এশিয়ার গোবি মরুভূমির লোয়েস দ্বারা উত্তর পশ্চিম চীনের হোয়াংহো নদী উপত্যকায় লোয়েস সমভূমি গড়ে উঠেছে।
৬। জিউগেন কি?
উত্তর- কঠিন শিলা ও কোমল শিলা অনুভূমিক ভাবে অবস্থান করলে, বায়ুর প্রভাবে কঠিন শিলা অপেক্ষা কোমল শিলা বেশি ক্ষয়প্রাপ্ত হয়। এই ভাবে মরু অঞ্চলে জে ভূমিরূপ গড়ে ওঠে তাকে জিউগেন বলে।
৭। ধ্রিয়ান কি? ভারতের কোথায় দেখা যায়?
উত্তর- বায়ু প্রবাহের অভিমুখ ও গতি মরু অঞ্চলে বারেবারে পরিবর্তিত হয় বলে বালিয়াড়িগুলির স্থানও বারংবার পরিবর্তিত হয়। এই অস্থায়ী বা চলমান বালিয়াড়ি গুলিকে ধ্রিয়ান বলে। ভারতের রাজস্থানে এইরূপ ধ্রিয়ান দেখা যায়।
৮। বায়ু কি কি প্রক্রিয়ায় ক্ষয় কাজ করে?
উত্তর-বায়ুর ক্ষয় কাজ মূলত তিনটি প্রক্রিয়া দ্বারা সম্পন্ন হয় সেগুলি হলো,
অবঘর্ষ প্রক্রিয়া, ঘর্ষণ প্রক্রিয়া, অবনমন বা অপসারণ প্রক্রিয়া।
৯। বালিয়াড়ি কি?
উত্তর- মরু অঞ্চলে বালিপূর্ণ বায়ু বাধাহীন ভাবে প্রবাহিত হওয়ার সময় হঠাৎ বাধার (অর্থাৎ গাছপালা, বড় শিলাখণ্ড) সম্মুখীন হলে বায়ু ঐ অংশেই স্তুপের ন্যায় সঞ্চিত হতে থাকে একেই বালিয়াড়ি বলে।
১০। ডেজার্ট পেভমেন্ট কি?
উত্তর- মরু অঞ্চলে বিভিন্ন আকৃতি বিশিষ্ট শিলাখন্ড দিয়ে গঠিত ভূমিরূপকে ডেজার্ট পেভমেন্ট বলা হয়। এই শিলাখন্ডগুলি বিভিন্ন আকৃতি যেমন গোলাকার ত্রিকোণাকার প্রভৃতি হতে পারে।
মাধ্যমিকে নম্বর বাড়াবার সেরা উপায় ↓
বিশ্লেষণধর্মী প্রশ্ন
[প্রতিটি প্রশ্নের প্রশ্নমান ৩]
১। মরূদ্যান কি? মরূদ্যান কিভাবে সৃষ্টি হয়?
উত্তর- বহুদিন ধরে বালির অপসারণের ফলে মরুভূমির কোনো কোনো অঞ্চল বিরাট এলাকা জুড়ে অবনমিত হয়ে যায়, এবং অবনমন ঘটতে ঘটতে তা বহু নীচে জলস্তরের কাছাকাছি নেমে আসে, এবং সেখানে কিছু কিছু উদ্ভিদ জন্মায় এই শুষ্ক নিষ্প্রাণ মরুভুমির মাঝে সবুজের উদ্যানকেই মরুদ্যান বলে।
২। বায়ু কোন কোন প্রক্রিয়ায় বহন কাজ করে?
উত্তর- বায়ুর ক্ষয় কাজের মত বহন বহন কার্যও তিনটি প্রক্রিয়া দ্বারা সম্পন্ন হয়। –
ভাসমান প্রক্রিয়া, লম্ফ দান প্রক্রিয়া, গড়ানো প্রক্রিয়া।
৩। মরু সম্প্রসারণ রোধের তিনটি উপায় লেখ।
উত্তর- মরুভূমির প্রসার প্রতিরোধের উপায়
মরুকরণ রোধের জন্য কিছু পদক্ষেপ গ্রহণ করলে মরুকরণ অনেকাংশে আটকানো সম্ভব হয়। সেগুলো হলো –
● শুষ্ক জলবায়ু সহ্য করতে পারে এরকম উদ্ভিদ মরুভূমির সীমায় রোপণ করা।
● বিভিন্ন উদ্ভিদ রোপণের মাধ্যমে শেল্টার বেড তৈরি করতে হবে যা তীব্র গতিতে প্রবাহিত বায়ুকে প্রতিহত করতে পারবে।
● নির্বিচারে বৃক্ষচ্ছেদন বন্ধ করতে হবে ও নতুন বৃক্ষরোপণ কর্মসূচি গ্রহণ করতে হবে।
৪। মরুভূমিতে ও উপকূল অঞ্চলে বালুকাকণা কীভাবে সৃষ্টি হয়?
উত্তর-মরুভূমি ও সমুদ্র উপকূলবর্তী অঞ্চলে মূলত আবহবিকারের কারণে বালুকাকণা সৃষ্টি হয়। মরু অঞ্চলে দীর্ঘকাল যাবৎ শুষ্ক পরিবেশ দিন ও রাতের তাপমাত্রার ব্যাপক পার্থক্য যান্ত্রিক আবহবিকারকে ত্বরান্বিত করে।যার ফলে শিলাস্তর চূর্ণ বিচূর্ণ হয়।এই ভাবে বহুদিন ধরে এই প্রক্রিয়া চলতে চলতে মরু অঞ্চলে এতো পরিমাণ বালির সৃষ্টি হয়েছে। আবার সমুদ্র উপকূলবর্তী অঞ্চলেও বায়ু প্রবাহ সমুদ্র তরঙ্গ জনিত ক্ষয়ের দ্বারা উপকূল ভাগের শিলাকে চূর্ণ করে। এই ভাবেই এই রূপ বালুকাময় ভূমি গড়ে উঠেছে।
৫। মরুকরণের তিনটি কারণ লেখ।
উত্তর-মরুভূমির প্রসারের কারণসমূহ
১। জলবায়ু পরিবর্তন: মরুভূমি অঞ্চলের আবহাওয়া অত্যন্ত রুক্ষ ও শুষ্ক হওয়ার দরুন যান্ত্রিক আবহবিকার বেশি হয় ফলে উৎপন্ন বালি ও পাথর চূর্ণ সহজেই বায়ু দ্বারা বাহিত হয়ে সংলগ্ন এলাকায় সঞ্চিত হয়ে মরুভূমির প্রসার ঘটে।
২। লবণ সঞ্চয়: শুষ্ক অঞ্চলে অতিরিক্ত বাষ্পীভবনের কারণে মাটিতে অবস্থিত লবণ কৈশিক প্রক্রিয়ায় মাটির উপরে উঠে আসে ও লবণের পুরু আস্তরণ তৈরি করে। এরফলে উদ্ভিদ জন্মাতে পারেনা ও ভূমি চাষ আবাদের অনুপযুক্ত হয়ে পড়ে এবং ধীরে ধীরে এই স্থানটি মরুভূমিতে পরিণত হয়ে যায়।
৩। নির্বিচারে বৃক্ষচ্ছেদন: জ্বালানি এবং অনান্য কারণে নির্বিচারে গাছ কাটার জন্য পরবর্তীকালে এই উদ্ভিদহীন অঞ্চল মরুভূমিতে পরিণত হয়।
পড়া মনে রাখার সেরা উপায়! ↓
ব্যাখ্যামূলক প্রশ্ন (LA)
[প্রতিটি প্রশ্নের প্রশ্নমান ৫]
১। শুষ্ক অঞ্চলে বায়ু ও জলধারার মিলিত কার্যের ফলে সৃষ্ট ভূমিরূপগুলি চিত্রসহ ব্যাখ্যা করো।
উত্তর- মরুভুমিতে বায়ু ও জলের মিলিত কাজের ফলে সৃষ্ট ভূমিরূপগুলির উৎপত্তির মূল কারন হল মরু অঞ্চলের স্বল্প অথচ তীব্র বৃষ্টিপাত। মরু অঞ্চলে বায়ুর কাজ চলে সারাবছর। কিন্তু জল ও বায়ুর মিলিত কাজ চলে বছরের খুব স্বল্প পরিসর সময়ের মধ্যে।
মরুভুমিতে বায়ু ও জলের মিলিত কাজের ফলে সৃষ্ট ভূমিরূপগুলির উৎপত্তির মূল কারন হল মরু অঞ্চলের স্বল্প অথচ তীব্র বৃষ্টিপাত। মরু অঞ্চলে বায়ুর কাজ চলে সারাবছর। কিন্তু জল ও বায়ুর মিলিত কাজ চলে বছরের খুব স্বল্প পরিসর সময়ের মধ্যে।
বায়ু ও জলধারার মিলিত কাজের ফলে গঠিত ভূমিরূপগুলি হল নিম্নরুপঃ
ক। পলল ব্যজনি
উচ্চভুমি থেকে জলধারার দ্বারা বয়ে আনা নুড়ি কাঁকর বালি উচ্চভূমির পাদদেশে সঞ্চিত হয়ে যে ত্রিকোনাকার ভূমিরূপ গঠিত করে তা পলল ব্যজনি নামে পরিচিত।
খ। পেডিমেন্ট
মরু অঞ্চলে উচ্চভূমি থেকে নিম্নভূমির মিলনস্থলে সংগঠিত স্বল্প ঢাল যুক্ত ভূমিরূপ হল পেডিমেন্ট। ইহা ক্ষয় ও সঞ্চয় কাজের মিলিতি রুপ । অনেকগুলি পেডিমেন্ট একসাথে মিলিত হয়ে গঠিত হয় পেডিপ্লেন। পেডিমেন্টের পিছনে কিছু অনুচ্চ টিলা দেখা যায় যা ‘ইন্সেলবারজ’ নামে পরিচিত।
গ। প্লায়া
মরু অঞ্চলের পাহাড় ঘেরা আবনমিত ভুমিতে জল সঞ্চয়ের ফলে যে লবনাক্ত হ্রদ তৈরি হয় তা প্লায়া নামে পরিচিত।
আরো পড়ো → উদ্ভিদ হরমোন প্রশ্ন উত্তর আলোচনা
WBPorashona.com-এর পোস্ট আপডেট নিয়মিত পাবার জন্য –
- ফলো করো → WhatsApp চ্যানেল
- সাবস্ক্রাইব করো → YouTube চ্যানেল
- লাইক করো → Facebook পেইজ
- সাবস্ক্রাইব করো → টেলিগ্রাম চ্যানেল
আমাদের কাজ থেকে উপকৃত হলে এই লেখাটি বন্ধুদের সাথে শেয়ার করার অনুরোধ রইল।