
শ্রেণি – অষ্টম | বিভাগ – ইতিহাস | অধ্যায় – ঔপনিবেশিক অর্থনীতির চরিত্র | Ouponibeshik orthonitir coritro (Chapter 4)
এই পর্বে রইল অষ্টম শ্রেণির ইতিহাস বিভাগের চতুর্থ অধ্যায় – ঔপনিবেশিক অর্থনীতির চরিত্র – থেকে রইল সম্পূর্ণ প্রশ্ন উত্তর আলোচনা।
Table of Contents
সঠিক উত্তর নির্বাচন কর (MCQ)
[প্রতিটি প্রশ্নের প্রশ্নমান ১]
1। চিরস্থায়ী বন্দোবস্ত চালু করেন –
(ক) হেস্টিংস (খ) কর্নওয়ালিশ (গ) ডালহৌসি (ঘ) রিপন
উত্তর – চিরস্থায়ী বন্দোবস্ত চালু করেন (খ) কর্নওয়ালিশ।
2। মহলওয়ারী ব্যবস্থা চালু হয়েছিল –
(ক) বাংলায় (খ) উত্তর ভারতে (গ) দক্ষিণ ভারতে (ঘ) মধ্য ভারতে
উত্তর – মহলওয়ারী ব্যবস্থা চালু হয়েছিল (খ) উত্তর ভারতে।
3। ‘দাদন’ বলতে বোঝায় –
(ক) অগ্রিম অর্থ (খ) আবওয়াব (গ) বেগার শ্রম (ঘ) কোনোটাই নয়
উত্তর – ‘দাদন’ বলতে বোঝায় (ক) অগ্রিম অর্থ।
4। ঔপনিবেশিক ভারতে প্রথম পাটের কারখানা চালু হয়েছিল –
(ক) রিষড়ায় (খ) কলকাতায় (গ) বোম্বাইতে (ঘ) মাদ্রাজে
উত্তর – ঔপনিবেশিক ভারতে প্রথম পাটের কারখানা চালু হয়েছিল (ক) রিষড়ায়।
5। দেশের সম্পদ দেশের বাইরে চলে যাওয়াকে বলে –
(ক) সম্পদের বহির্গমন (খ) অবশিল্পায়ন (গ) বর্গাদারি ব্যবস্থা (ঘ) কোনোটাই নয়
উত্তর – দেশের সম্পদ দেশের বাইরে চলে যাওয়াকে বলে (খ) অবশিল্পায়ন।
পল্লীসমাজ প্রশ্ন উত্তর | Palli Samaj Question Answer | WBBSE Class 8
6। বাংলা, বিহার ও ওড়িশাতে কোন ভূমি বন্দোবস্ত চালু হয়েছিল –
(ক) মহলওয়ারী ব্যবস্থা (খ) রায়তোয়ারী ব্যবস্থা (গ) পাঁচশালা বন্দোবস্ত (ঘ) চিরস্থায়ী বন্দোবস্ত
উত্তর – বাংলা, বিহার ও ওড়িশাতে (ঘ) চিরস্থায়ী বন্দোবস্ত চালু হয়েছিল।
7। ভারতে টেলিগ্রাফ যোগাযোগ ব্যবস্থা চালু হয় –
(ক) 1859 খ্রিঃ (খ) 1845 খ্রিঃ (গ) 1851 খ্রিঃ (ঘ) 1854 খ্রিঃ
উত্তর – ভারতে টেলিগ্রাফ যোগাযোগ ব্যবস্থা চালু হয় (গ) 1851 খ্রিঃ।
8। নীল বিদ্রোহ কোথায় হয়েছিল –
(ক) বাংলায় (খ) বিহারে (গ) দক্ষিণ ভারতে (ঘ) দিল্লীতে
উত্তর – নীল বিদ্রোহ (ক) বাংলায় হয়েছিল।
9। রায়ত কি?
(ক) শ্রমিক (খ) কৃষক (গ) জমিদার (ঘ) পুলিশ
উত্তর – রায়ত হল (খ) কৃষক।
10। চিরস্থায়ী বন্দোবস্ত চালু হয় –
(ক) 1795 খ্রিঃ (খ) 1793 খ্রিঃ (গ) 1796 খ্রিঃ (ঘ) 1791 খ্রিঃ
উত্তর – চিরস্থায়ী বন্দোবস্ত চালু হয় (খ) 1793 খ্রিঃ।
আরো পড়ো → দক্ষিণ আমেরিকা অধ্যায়ের প্রশ্ন উত্তর আলোচনা
অতি সংক্ষিপ্ত প্রশ্ন (VSAQ)
[প্রতিটি প্রশ্নের প্রশ্নমান ১]
১। বাংলায় ভয়াবহ ছিয়াত্তরের মন্বন্তর কত খ্রিস্টাব্দে হয়েছিল?
উত্তর – বাংলায় ভয়াবহ ছিয়াত্তরের মন্বন্তর ১৭৬৯-৭০ খ্রিস্টাব্দে হয়েছিল।
২। কত খ্রিস্টাব্দে বাংলায় ইজারাদারি ব্যবস্থা চালু হয়?
উত্তর – ১৭৭২ খ্রিস্টাব্দে বাংলায় ইজারাদারি ব্যবস্থা চালু হয়।
৩। পাঁচসালা বন্দোবস্তের প্রবর্তন করেন কে?
উত্তর – পাঁচসালা বন্দোবস্তের প্রবর্তন করেন ওয়ারেন হেস্টিংস।
৪। লর্ড কর্নওয়ালিস কত খ্রিস্টাব্দে ভারতের রাজস্ব বিভাগকে নতুন করে গড়ে তোলার উদ্যোগ নিয়েছিলেন?
উত্তর – লর্ড কর্নওয়ালিস ১৭৮৪ খ্রিস্টাব্দে ভারতের রাজস্ব বিভাগকে নতুন করে গড়ে তোলার উদ্যোগ নিয়েছিলেন।
৫। দশসালা বন্দোবস্ত কত খ্রিস্টাব্দে প্রবর্তিত হয়?
উত্তর – দশসালা বন্দোবস্ত ১৭৮৯ খ্রিস্টাব্দে প্রবর্তিত হয়।
৬। কে, কত খ্রিস্টাব্দে ‘চিরস্থায়ী বন্দোবস্ত’ প্রবর্তন করেন?
উত্তর – লর্ড কর্নওয়ালিস, ১৭৯৩ খ্রিস্টাব্দে ‘চিরস্থায়ী বন্দোবস্ত’ প্রবর্তন করেন।
৭। কোন কোন অঞ্চলে চিরস্থায়ী বন্দোবস্ত চালু হয়?
উত্তর – বাংলা, বিহার এবং উড়িষ্যায় চিরস্থায়ী বন্দোবস্ত চালু হয়।
৮। চিরস্থায়ী বন্দোবস্তের অপর নাম কি?
উত্তর – চিরস্থায়ী বন্দোবস্তের অপর নাম জমিদারি ব্যবস্থা।
৯। মাদ্রাজ অঞ্চলে কোম্পানির প্রবর্তিত ভূমি বন্দোবস্তের নাম কি ছিল?
উত্তর – মাদ্রাজ অঞ্চলে কোম্পানির প্রবর্তিত ভূমি বন্দোবস্তের নাম রায়তওয়ারি বন্দোবস্ত ছিল।
১০। রায়তওয়ারি বন্দোবস্তের অন্যতম রূপকার কে ছিলেন?
উত্তর – রায়তওয়ারি বন্দোবস্তের অন্যতম রূপকার ছিলেন থমাস মানরো।
১১। রায়তওয়ারি বন্দোবস্তের প্রধান শর্ত কি ছিল?
উত্তর – রায়তওয়ারি বন্দোবস্তের প্রধান শর্ত ছিল – নির্দিষ্ট সময়ে রায়তকে ভূমিরাজস্ব জমা দিতে হবে।
১২। মহলওয়ারি বন্দোবস্ত কোন কোন অঞ্চলে প্রবর্তিত হয়?
উত্তর – মহলওয়ারি বন্দোবস্ত উত্তর ও উত্তর-পশ্চিম ভারতে প্রবর্তিত হয়।
১৩। মহলওয়ারি বন্দোবস্ত কত খ্রিস্টাব্দে প্রবর্তিত হয়?
উত্তর – মহলওয়ারি বন্দোবস্ত ১৮২২ খ্রিস্টাব্দে প্রবর্তিত হয়।
১৪। রেলপথ বসানো, পণ্য রপ্তানির হার বৃদ্ধি এবং কৃষির বাণিজ্যকীকরণ প্রক্রিয়াকে একত্রে কি বলা হয়?
উত্তর – রেলপথ বসানো, পণ্য রপ্তানির হার বৃদ্ধি এবং কৃষির বাণিজ্যকীকরণ প্রক্রিয়াকে একত্রে অর্থনীতির আধুনিকীকরণ বলা হয়।
১৫। ঔপনিবেশিক কারণে দুর্ভিক্ষের প্রধান কারণ কি ছিল?
উত্তর – ঔপনিবেশিক কারণে দুর্ভিক্ষের প্রধান কারণ ছিল – জনসংখ্যা বৃদ্ধির সঙ্গে সঙ্গে প্রয়োজনীয় খাদ্যশস্যের উৎপাদন বৃদ্ধি না পাওয়া।
আরো পড়ো → ভৌত পরিবেশ – তাপ অধ্যায়ের প্রশ্ন উত্তর
সংক্ষিপ্ত উত্তরভিত্তিক প্রশ্ন (SAQ)
[প্রতিটি প্রশ্নের প্রশ্নমান ২]
1। অবশিল্পায়ন কী?
উত্তর – দেশের শিল্পাঞ্চলগুলি অসম প্রতিযোগিতা, কাঁচামাল ও মূলধনের অভাব, বিক্রির সঠিক বাজারের অভাব ইত্যাদি বিভিন্ন কারণে টিকে থাকতে না পেরে বন্ধ হয়ে যায় এবং ঐ শিল্পের সাথে জড়িত মানুষ যখন কাজের প্রয়োজনে অন্য পেশায় সরে যায়, তখন তাকে অবশিল্পায়ন বলা হয়।
2। সম্পদের বহির্গমন বলতে কী বোঝ?
উত্তর – ব্রিটিশরা যখন ভারতে আসে তখন তারা ছিলেন বণিক, মূলত ইংল্যান্ডে শিল্পবিপ্লবে উৎপন্ন পণ্য বাজারজাত করাই ছিল তাদের উদ্দেশ্য। কিন্তু 1757 সালে পলাশীর যুদ্ধে জিতে বাংলা, বিহার ও উড়িষ্যার দেওয়ানি লাভের পর থেকেই ব্রিটিশ কোম্পানি ভারতের বিরাট অর্থনৈতিক সমৃদ্ধির স্বাদ পায়। একই সাথে তারা বুঝতে পারে, ভারতীয়দের মধ্যে জমে রয়েছে অশিক্ষা, কুসংস্কার, ভেদাভেদ এবং দূরদৃষ্টির অভাব ইত্যাদি। এইসবের সুযোগ নিয়ে ব্রিটিশরা নানা অজুহাতে যথেচ্ছ পরিমাণ অর্থ, বিভিন্ন মূল্যবান ধাতু, রত্ন ইত্যাদি সামগ্রী ব্রিটেনে প্রেরণ করে। এই ঘটনাকেই সম্পদের বহির্গমন বলা হয়।
3। ‘সূর্যাস্ত আইন’ কাকে বলে?
উত্তর – চিরস্থায়ী বন্দোবস্ত লর্ড কর্নওয়ালিশের আমলের অন্যতম কীর্তি হলেও, এতে কৃষক জমিদার উভয়ের কেউই বিশেষ উপকৃত হয়নি। জমির মালিকানা জমিদারদের ওপর ন্যাস্ত থাকলেও মূলত ব্রিটিশ কোম্পানি একটি নির্দিষ্ট তারিখ দিয়ে দিত। সেই তারিখে সূর্যাস্তের মধ্যে সমস্ত জমির কর দিয়ে দিতে হত, সূর্যাস্তের মধ্যে দিতে না পারলে জমির মালিকানা চলে যেত। এই আইন ‘সূর্যাস্ত আইন’ নামে পরিচিত।
4। কৃষির বাণিজ্যিকীকরণ বলতে কি বোঝ?
উত্তর – ব্রিটিশ কোম্পানির শাসনকালে কৃষি ছিল মূল অর্থনৈতিক ভিত্তি। মূলত ধান, গম, সবজি, ডাল ইত্যাদি বিভিন্ন খাদ্য সামগ্রী কৃষকরা বেঁচে থাকার তাগিদে উৎপাদন করতেন। কিন্তু ইংল্যান্ডে শিল্পবিপ্লব ও ব্রিটিশ কোম্পানির শাসন শুরু হওয়ার পর থেকে কৃষি ব্যবস্থায় পরিবর্তন আসে। ব্রিটেনে প্রয়োজনীয় শিল্পবিপ্লবের কাঁচামাল ভারতীয় উপনিবেশ থেকে খুব কম খরচে যোগান দেওয়ার উদ্দেশ্যে তুলো, পাট, চা, নীল ইত্যাদি বাণিজ্যিক ফসলের চাষ শুরু হয়। একে কৃষির বাণিজ্যিকিকরণ বলে।
5। ‘দাক্ষিণাত্য হাঙ্গামা’ কেন হয়েছিল?
উত্তর – কৃষির বাণিজ্যিকিকরণের প্রভাবে দাক্ষিণাত্যের বিভিন্ন রাজ্যে তুলোর দাম হঠাৎ খুব কমে যায়। এই অবস্থায় উৎপাদিত দ্রব্যের দাম কমে যাওয়া এবং সাহুকার মহাজনেদের কৃষকদের ওপর অতিরিক্ত করের বোঝা এই উভয়ের চাপে চাষিরা বিদ্রোহে সামিল হয়। 1875 খ্রিঃ মে থেকে সেপ্টেম্বর মাস অবধি চলা এই বিক্ষোভ ‘দাক্ষিণাত্য হাঙ্গামা’ নামে পরিচিত।
আরো পড়ো → ঔপনিবেশিক কর্তৃত্ব প্রতিষ্ঠা – প্রশ্ন উত্তর আলোচনা
WBPorashona.com-এর পোস্ট আপডেট নিয়মিত পাবার জন্য –
- ফলো করো → WhatsApp চ্যানেল
- সাবস্ক্রাইব করো → YouTube চ্যানেল
- লাইক করো → Facebook পেইজ
- সাবস্ক্রাইব করো → টেলিগ্রাম চ্যানেল
আমাদের কাজ থেকে উপকৃত হলে এই লেখাটি বন্ধুদের সাথে শেয়ার করার অনুরোধ রইল।