পল্লীসমাজ প্রশ্ন উত্তর | Palli Samaj Question Answer | WBBSE Class 8

নিয়মিত প্রশ্ন উত্তরের আপডেট পাও নিজের মোবাইলে 👇

wb porashona.com whatsapp channel
pollisomaj-question-answer
শ্রেণি – অষ্টম | বিভাগ – বাংলা | অধ্যায় – পল্লীসমাজ (Palli Samaj )

অষ্টম শ্রেণির বাংলা বিভাগ থেকে শরৎচন্দ্র চট্টোপাধ্যায় রচিত পল্লীসমাজ থেকে প্রশ্ন উত্তর আলোচনা।

সঠিক উত্তর নির্বাচন করো (MCQ)

[প্রতিটি প্রশ্নের প্রশ্নমান 1]

১। চণ্ডীমণ্ডপে বসে রমেশ জমিদারির হিসাবপত্র দেখছিল – (ক) গোপাল (খ) নেপাল (গ) অলোক (ঘ) পুলক সরকারের কাছে বসে
উত্তর – চণ্ডীমণ্ডপে বসে রমেশ জমিদারির হিসাবপত্র দেখছিল (ক) গোপাল সরকারের কাছে বসে।

২। জলার বাঁধ কেটে দিলে বেণীর মতে – (ক) একশো- দুশো (খ) দু-তিনশো (গ) তিন-চারশো (ঘ) চার-পাঁচশো টাকার মাছ বেরিয়ে যাবে।
উত্তর- জলার বাঁধ কেটে দিলে বেণীর মতে (খ) দু-তিনশো টাকার মাছ বেরিয়ে যাবে।

৩। ‘তুমি অত্যন্ত হীন এবং নীচ।’ – একথা রমেশ বলেছিল – (ক) বেণীকে (খ) রমাকে (গ) আকবরকে (ঘ) গোপালকে
উত্তর – ‘তুমি অত্যন্ত হীন এবং নীচ।’ একথা রমেশ বলেছিল – (খ) রমাকে।

৪। আকবর লাঠিয়ালের ছেলের নাম – (ক) গহর (খ) জহর (গ) হীরক (ঘ) ফজর
উত্তর – আকবর লাঠিয়ালের ছেলের নাম (ক) গহর।

৫। ‘রমেশ অবাক হইয়া কহিল, ব্যাপার কী?’ – রমেশের এই প্রশ্নের উত্তরে চাষিরা বলেছিল – (ক) বেণীর সঙ্গে তারা কোনো বিষয় আলোচনা করতে চায় না, (খ) ছেলেপুলের হাত ধরে তাদের পথে ভিক্ষে করতে হবে (গ) একশো বিঘের মাঠ ডুবে গেছে, জল বার করে না দিলে সমস্ত ধান নষ্ট হয়ে যাবে, গ্রামের কেউই খেতে পাবে না (ঘ) রমা দেবীর কাছে তাদের যাবতীয় আবেদন ব্যর্থ হয়ে গেছে
উত্তর – ‘রমেশ অবাক হইয়া কহিল, ব্যাপার কী?’ – রমেশের এই প্রশ্নের উত্তরে চাষিরা বলেছিল – (গ) একশো বিঘের মাঠ ডুবে গেছে, জল বার করে না দিলে সমস্ত ধান নষ্ট হয়ে যাবে, গ্রামের কেউই খেতে পাবে না।


আরো পড়ো → চন্দ্রগুপ্ত প্রশ্ন উত্তর

অতিসংক্ষিপ্ত উত্তর ভিত্তিক প্রশ্ন (VSAQ)

[প্রতিটি প্রশ্নের প্রশ্নমান 1]

১।গোপাল সরকারের কাছে বসে রমেশ কি করছিল?
উত্তর – গোপাল সরকারের কাছে বসে রমেশ জমিদারির হিসাব দেখছিল।

২।গ্রামের একমাত্র ভরসা কি ছিল?
উত্তর – ‘একশো বিঘার মাঠ’; সমস্ত চাষিদেরি কিছু কিছু জমি এই মাঠে আছে – এটিই ছিল গ্রামের একমাত্র একমাত্র ভরসা।

৩।‘বোধ করি এই কথাই হইতেছিল’ – কোন কথার প্রতি ইঙ্গিত করা হয়েছে?
উত্তর – এখানে ‘এই কথা’ বলতে একশো বিঘার মাঠ ডুবে যাওয়ার কথা বলা হয়েছে।

৪।রমা আকবরকে কোথায় পাহারা দেবার জন্য পাঠিয়েছিল?
উত্তর – রমা আকবরকে বাঁধ পাহারা দেবার জন্য পাঠিয়েছিল।

৫।‘পারবি নে কেন?’ – উদ্দিষ্ট ব্যাক্তি কোন কাজটি করতে পারবে না?
উত্তর – বেণী ঘোষাল, লাঠিয়াল আকবরকে মিথ্যা সাক্ষী দেবার কাজ করার জন্য অনুরোধ করছিল।


আরো পড়ো → ঔপনিবেশিক কর্তৃত্ব প্রতিষ্ঠা অধ্যায়ের প্রশ্ন উত্তর আলোচনা

সংক্ষিপ্ত উত্তর ভিত্তিক প্রশ্ন (SAQ)

[প্রতিটি প্রশ্নের প্রশ্নমান ২/৩]

১। কুড়িজন কৃষক রমেশের কাছে এসে কেঁদে পড়ল কেন?
উত্তর – দুইদিন অবিশ্রান্ত বৃষ্টি হওয়ার ফলে ‘গ্রামের একমাত্র ভরসা’ একশো বিঘার মাঠে জল জমেছে। একশো বিঘার মাঠে গ্রামের সমস্ত চাষিদেরই কিছু কিছু জমি আছে। জল বার না করে দিলে সমস্ত ধান নষ্ট হয়ে যাবে এবং সেক্ষেত্রে সকল চাষিদের সারা বছরের রোজগার শেষ হয়ে যাবে। তাই বাঁধ কেটে জল বার করে দেওয়ার অনুরোধ করতে চাষিদের দল গ্রামের অন্যতম জমিদার রমেশের কাছে এসে কেঁদে পড়েছিল।

২। রমেশ বেণীর কাছে জল বার করে দেবার হুকুম দেওয়ার জন্য অনুরোধ করল কেন?
উত্তর – একশো বিঘার মাঠের জমা জল বের করার একমাত্র উপায় মাঠের দক্ষিণের বাঁধ কাটা। ঐ বাঁধের মালিকানা গ্রামের দুই সম্ভ্রান্ত পরিবার যথা ঘোষাল ও মুখুজ্জেদের। তাই চাষিদের জমি রক্ষার করার তাগিদে রমেশ তার দাদা বেণীর কাছে জল বার করে দেবার হুকুম দেওয়ার অন্য অনুরোধ করেছিল।


পল্লীসমাজ গল্পের কিছু গুরুত্বপূর্ণ প্রশ্ন উত্তর ↓


৩। বেনি জল বার করতে চায়নি কেন?
উত্তর – একশো বিঘার মাঠের জমা জল বের করার একমাত্র উপায় মাঠের দক্ষিণের বাঁধ কাটা। ঐ বাঁধের ধারে একটি জলায় মাছ চাষ হয়; যার মালিকানা গ্রামের দুই সম্ভ্রান্ত পরিবার যথা ঘোষাল ও মুখুজ্জেদের। বাঁধ কাটলে জলার মাছ নষ্ট হবে এবং যার ফলে দুই পরিবারের আর্থিক ক্ষতি হবে। তাই বেণীবাবু বাঁধ কেটে জল বার করে দিতে চাননি।

৪।‘ঘৃণায়, লজ্জায়, ক্রোধে, ক্ষোভে রমেশের চোখমুখ উত্তপ্ত হইয়া উঠিল’ – রমেশের এমন অবস্থা হয়েছিল কেন?
উত্তর – বাঁধ কেটে দিলে চাষিদের জমি বেঁচে যাবে, কিন্তু জমিদারদের দুইশত টাকা ক্ষতি হবে। আর বাঁধ না কাটলে সেক্ষেত্রে একশো বিঘার মাঠের সব ফসল নষ্ট হয়ে যাবে এবং গ্রামের সব কৃষক পরিবারের বার্ষিক রোজগার শেষ হয়ে যাবে। সেক্ষেত্রে তারা জমি বন্দক রেখে জমিদার বেণীর কাছ থেকে চড়া সুদে ধার নিতে বাধ্য হবে। চাষিদের বিপদের সময়েও বেণী ঘোষালের এই অনৈতিক স্বার্থচিন্তা শুনে ক্ষোভে, ঘৃণায়, লজ্জায় ও ক্রোধে রমেশের চোখমুখ উত্তপ্ত হয়ে যায়।

৫। ‘রমেশ বিস্ময়ে হতবুদ্ধি হইয়া গেল’ – রমেশের বিস্ময়ের কারণ কি ছিল?
উত্তর – বেণী ঘোষাল বাঁধ কাটতে অসম্মত হলে, রমেশ বাঁধের আর এক অংশীদার রমার কাছে আসে এবং বাঁধ কাটাবার অনুমতি প্রার্থনা করে। রমা চাষিদের ক্ষতির দিকটা বিবেচনা করলেও, জলার মাছ নষ্ট হবার আর্থিক ক্ষতি স্বীকারে অসম্মত হয়। রমেশ, রমার থেকে এই অসস্মতি আশা করেনি তাই রমার উত্তরে প্রথমিক ভাবে রমেশ হতবুদ্ধি হয়ে যায়।


আরো পড়ো → জলবায়ু অঞ্চল প্রশ্ন উত্তর

৬। রমা রমেশের অনুরোধে রাজি হয়নি কেন?
উত্তর – গ্রামের চাষিদের ফসল রক্ষার জন্য রমেশ, রমাকে বাঁধ কাটাবার অনুমতির অনুরোধ করেছিল। কিন্তু বাঁধ কাটলে জলা ভেসে যাবে এবং তার ফলে জলার মাছ নষ্ট হবে এবং ফলত আর্থিক ক্ষতি হবে। রমা এই আর্থিক ক্ষতির স্বীকার করতে রাজি হয় না। তাই রমেশের অনুরোধ রমা ফিরিয়ে দেয়।

৭। ‘মানুষ খাঁটি কি না, চেনা যায় শুধু টাকার সম্পর্কে’ – কে, কার সম্পর্কে একথা বলেছিল? সে কেন একথা বলেছিল?
উত্তর – আলোচ্য উক্তিটি পল্লীসমাজ গল্পের প্রধান চরিত্র রমেশের।

রমেশ এই উক্তি রমার সম্পর্কে করেছিল।

বাঁধ কাটলে গ্রামের চাষিদের ফসল বেঁচে যাবে কিন্তু এর ফলে রমা এবং ঘোষাল পরিবারের আর্থিক ক্ষতি হবে। রমেশের একাধিক অনুরোধের পরেও রমা তা করতে রাজি না হলে রমেশ রমা সম্পর্কে এই উক্তি করেছিল।

৮। ‘রমা বিহ্বল হতবুদ্ধির ন্যায় ফ্যালফ্যাল করিয়ে চাহিয়া রহিল’ – রমার এমন অবস্থা হয়েছিল কেন?
উত্তর – গ্রামের চাষিদের ফসল রক্ষার তাগিদে রমেশ, রমাকে বাঁধ কাটার অনুমতি চায়। কিন্তু রমা এই আর্থিক ক্ষতি স্বীকার করতে অসম্মত হয়। রমা জানায়, বাঁধ কাটার ফলে তাদের যে আর্থিক ক্ষতি হবে তা যদি রমেশ দিয়ে দেয় সে ক্ষেত্রে রমা বাঁধ কাটার সম্মতি দেবে। রমার এই সিদ্ধান্তে রমেশ অপমানিত হয়, এবং সে জানায় “সংসারে যত পাপ আছে মানুষের দয়ার উপর জুলুম করাটা সবচেয়ে বেশি”। রমা এবং রমেশের কথোপকথনের পরিপ্রেক্ষিতে রমা বিহ্বল হতবুদ্ধির ন্যায় ফ্যালফ্যাল করে তাকিয়ে থাকে।

৯। রমা আকবরকে ডেকে এনেছিল কেন?
উত্তর – আকবর রমাদের পিরপুরের প্রজা এবং তাদের বিশ্বস্ত লাঠিয়াল। রমেশ জোরপূর্বক বাঁধ কাটতে পারে এই অনুমান করে রমা আকবরকে ডেকে বাঁধ পাহারা দেবার জন্য ডেকে এনেছিল।

১০। ‘মোরা নালিশ করতি পারবো না’ – কে একথা বলেছে? সে নালিশ করতে পারবে না কেন?
উত্তর – লাঠিয়াল সর্দার আকবর এই কথা বলেছিল।

বাঁধ কাটার সময় বাঁধা দিতে গিয়ে রমেশের হাতে আকবর ও তার দুই ছেলে প্রহত হয় এবং ফিরে আসতে বাধ্য হয়। বেণী ঘোষাল, রমেশকে বিপাকে ফেলার উদ্দেশ্যে আকবরকে পুলিশের কাছে মিথ্যা সাক্ষী দিতে প্রলুব্ধ করে। কিন্তু আকবর তাতে রাজি হয় না।


WBPorashona.com-এর পোস্ট আপডেট নিয়মিত পাবার জন্য –


আমাদের কাজ থেকে উপকৃত হলে এই লেখাটি বন্ধুদের সাথে শেয়ার করার অনুরোধ রইল।

পড়া মনে রাখার সেরা উপায় 👇

wb-porashona-to-the-point-ebook