নদীর কাজের দ্বারা সৃষ্ট ভূমিরূপ – ব্যখামূলক এবং দীর্ঘ উত্তরভিত্তিক প্রশ্ন – উত্তর আলোচনা

নিয়মিত প্রশ্ন উত্তরের আপডেট পাও নিজের মোবাইলে 👇

wb porashona.com whatsapp channel
nodir-kaaj-long-answer-questions
শ্রেণি – দশম | বিভাগ – ভূগোল | উপঅধ্যায় – নদীর বিভিন্ন কাজ দ্বারা সৃষ্ট ভূমিরূপ | Nodir Kaj – Chapter 1

এই পর্বে রইল দশম শ্রেণির ভূগোল বিভাগের প্রথম অধ্যায় বহির্জাত প্রক্রিয়া ও তাদের দ্বারা সৃষ্ট ভূমিরূপের নদীর কাজ উপঅধ্যায় থেকে কয়েকটি ভীষণ গুরুত্বপূর্ণ সংক্ষিপ্ত  ব্যাখ্যামূলক এবং দীর্ঘ উত্তরভিত্তিক প্রশ্ন উত্তর এবং সেগুলির উত্তর।

সংক্ষিপ্ত ব্যাখ্যামূলক প্রশ্ন – উত্তর

[প্রতিটি প্রশ্নের প্রশ্নমান ৩]

১। গিরিখাত ও ক্যানিয়নের পার্থক্য লেখ।
উত্তর- গিরিখাত ও ক্যানিয়ন সৃষ্টির পদ্ধতি একই হলেও এদের মধ্যে কিছু পার্থক্য বিদ্যমান।

– গিরিখাত এর আকৃতি অত্যন্ত সংকীর্ণ, গভীর ও ‘v’ আকৃতির হয়ে থাকে।
– অন্যদিকে ক্যানিয়ন অপেক্ষাকৃত চওড়া, গভীর ও ‘I’ আকৃতির হয়ে থাকে।
– গিরিখাত মূলত নিম্ন ক্ষয় ও স্বল্প পরিমাণ পার্শ্ব ক্ষয় এর মিলিত কার্যের ফলে সৃষ্টি হয়। কিন্তু, ক্যানিয়ন প্রধানত নিম্ন ক্ষয় এর মাধ্যমেই সৃষ্টি হয়।
– গিরিখাত পার্বত্য ভূমিরূপে খরস্রোতা নদী ও অধিক বৃষ্টিপাত যুক্ত অঞ্চলে গঠিত হয়। চুনাপাথর যুক্ত অঞ্চল চিরপ্রবাহী নদী দ্বারা সৃষ্টি হয়।

২। নদীর গতিপথে কী কী ভাবে জলপ্রপাতের সৃষ্টি হয়?
উত্তর- নদীতে প্রবাহপথে হঠাৎ ভূমিরূপের ঢাল হ্রাস পেলে জলরাশি প্রবল বেগে উপর থেকে নিচে পতিত হয়ে জলপ্রপাতের সৃষ্টি করে।

জলপ্রপাত সৃষ্টি

জলপ্রপাত সৃষ্টির কারণ-
– প্রবাহ পথে কোমল ও কঠিন শিলা অনুভূমিক ভাবে অবস্থান, কোমল শিলার দ্রুত ক্ষয়ের মাধ্যমে ভূমি ঢালের পরিবর্তন।
– প্রবাহ পথে আড়াআড়িভাবে চ্যুতি থাকলেও জলপ্রপাত সৃষ্টি হয়। যেমন নর্মদা নদীর উপর কপিলধারা, ইন্দ্রাবতি নদীর উপর চিত্রকোট, ধুঁয়াধর ইত্যাদি।
– হঠাৎ ভূমি ঢালের পরিবর্তন অর্থাৎ কোনো উচ্চভূমি ও নিম্নভূমি খাড়াভাবে মিলিত হলে জলপ্রপাতের সৃষ্টি হয়। যেমন কর্ণাটকের সরাবতি নদীর উপর গেরোসপ্পা বা যোগ জলপ্রপাত (২৫৩ মি)।
– নদীর নিক বিন্দু অর্থাৎ পুরানো ও নতুন ঢালের মিলনস্থলেও জলপ্রপাত সৃষ্টি হয়। সুবর্ণরেখা নদীর জনা ও দশম জলপ্রপাত হল এই প্রকারের জলপ্রপাত।


পড়া মনে রাখার সেরা উপায়! ↓

wb-porashona-to-the-point-ebook


৩। জলপ্রপাত পশ্চাৎ অপসারণ করে কেন?
উত্তর -জলপ্রপাতের উৎসের দিকে সরে যাওয়াকে জলপ্রপাতের পশ্চাৎঅপসরণ বলা হয়। জলপ্রপাতের উপরের দিকের অংশে কঠিন শিলা এবং নিচের অংশে কোমল শিলা থাকলে জল ওপর থেকে নীচে তীব্র গতিতে আছড়ে পড়ার সময় স্বাভাবিকভাবেই জলের আঘাতে কোমল শিলা, কঠিন শিলা অপেক্ষা দ্রুত ক্ষয়ে যায়। এর ফলে উপরে একটা ঝুলে থাকা অংশ সৃষ্টি হয়। সময়ের সাথে ঐ কঠিন শিলা ভেঙে পড়ে এবং জলপ্রপাত উৎসের দিকে সরে যায়।

৪। অশ্বক্ষুরাকৃতি হ্রদ কীভাবে তৈরি হয়?

অশ্বক্ষুরাকৃতি হ্রদের সৃষ্টি
উত্তর- এই অশ্বক্ষুরাকৃতি হ্রদের সৃষ্টির কারণগুলি হল-
– নদীর বাইরের দিকের ঢাল অর্থাৎ অবতল অংশটি ক্রমাগত ক্ষয় এবং নদীর ভিতরের দিকের ঢালের অত্যাধিক সঞ্চয়ের ফলে নদীর বাঁক অত্যন্ত বক্র হয়ে যায়। এর ফলে নদী বেঁকে প্রবাহিত হয়।
– নদীর এই রকম দুটো বাঁক খুব কাছাকাছি চলে এলে বাঁক দুটির মধ্যবর্তী সরু ভূমি ক্ষয় প্রাপ্ত হলে বাঁক দুটি পরস্পরের সাথে মিশে যায়। ফলে নদী ওই বক্র পথ আর অনুসরণ না করে সোজা পথে বইতে শুরু করে।
– কালক্রমে পরিত্যক্ত বক্র অংশটির দুই মুখে বালি কাদা ও পলি সঞ্চয় হয়ে মূল নদী থেকে সম্পূর্ণ বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়ে এবং অর্ধচন্দ্র আকৃতি বিশিষ্ট একটি হ্রদের সৃষ্টি করে, যা অশ্বক্ষুরাকৃতি হ্রদ নামে পরিচিতি লাভ করে।

wb porashona to the point geography

৫। স্বাভাবিক বাঁধ ও প্লাবনভুমি পাশাপাশি অবস্থান করে কেন?
উত্তর- বর্ষাকালে বন্যার মাধ্যমে প্রচুর জল ও পলি নদীতে এসে মেশে। কিন্তু নদীর বহন ক্ষমতা কম থাকায় নদী সেই অতিরিক্ত জল ও পলি বহন করে নিয়ে যেতে পারে না। এই অবস্থায় নদীর জল নদীর দুকুল ছাপিয়ে উপত্যকা প্লাবিত করে।দীর্ঘদিন ধরে নদীবাহিত পলি এই সকল অঞ্চলে ছড়িয়ে পড়ে তাই এই অঞ্চলই প্লাবনভূমি হিসাবে পরিচিত। কিন্তু নদীর জলে মিশ্রিত বড় দানার পলি বেশি দূর পরিবাহিত হতে পারেনা এবং নদীর পাড়ের কাছেই তাড়াতাড়ি থিতিয়ে পড়ে। এভাবে সময়ের সাথে সাথে বার বার প্লাবনের ফলে নদীর দুই পাড়ে অর্থাৎ প্লাবন ভূমির পাশেই পলি জমে উচুঁ হয়ে নদীর পাড় বরাবর বাঁধের মত দেখতে ভূমিরূপ তৈরি হয় যাকে স্বাভাবিক বাঁধ বলা হয়। এই কারণে স্বাভাবিক বাঁধ ও প্লাবনভুমি পাশাপাশি অবস্থান করে। উদাহরণ – ভাগীরথী হুগলী নদীর নিম্নগতিতে এরকম অনেক স্বাভাবিক বাঁধ দেখা যায়।


আরো পড়ো → উদ্ভিদের চলন প্রশ্ন – উত্তর আলোচনা

৬। সব নদীতে বদ্বীপ গঠিত হয় না কেন?
উত্তর- নদী তার গতিপথের শেষ সীমায় প্রচুর শাখা প্রশাখায় বিভক্ত হয়ে সাগরে মিলিত হয়। সাধারণত এই শাখা প্রশাখার মধ্যবর্তী অঞ্চলে দীর্ঘদিন ধরে পলি সঞ্চয়ের ফলে বাংলার মাত্রাহীন ‘ব ‘এর মত বা গ্রীক অক্ষর ∆ (ডেল্টা) এর মত যে ভূভাগ সৃষ্টি হয় তা ব-দ্বীপ নামে পরিচিত। কিন্তু সব নদীর মোহনায় বদ্বীপ গঠিত হয় না, এর অন্যতম কারণগুলি হল-
ক – সমুদ্রের জলের লবণতা ঘনত্ব কম হলে নদীবাহিত পলি দ্রুত থিতিয়ে পড়তে পারেনা। সেক্ষেত্রে বদ্বীপ গঠিত হয় না।
খ – পলি সঞ্চয়ের তুলনায় সমুদ্র স্রোতের অপসারনের হার বেশি হলে বদ্বীপ গঠিত হয় না।
গ – নদী অববাহিকা ক্ষুদ্র হলে অপর্যাপ্ত পলির কারণে বদ্বীপ গঠিত হয় না।


মাধ্যমিকে নম্বর বাড়াবার সেরা উপায় ↓


৭। গঙ্গা – পদ্মা মেঘনার বদ্বীপের সক্রিয় অংশের পৃথিবীব্যাপী জলবায়ুর পরিবর্তনের প্রভাব।
উত্তর- পৃথিবীব্যাপী জলবায়ুর পরিবর্তন পদ্মা মেঘনার বদ্বীপ অঞ্চলে প্রত্যক্ষ প্রভাব ফেলছে।
ক – মেরু অঞ্চলের বরফ গলে যাওয়ার ফলে জলতলের উচ্চতা বৃদ্ধি পাচ্ছে। ফলে সুন্দরবন অঞ্চলের অনেকগুলি দ্বীপ জলের তলায় ক্রমশ হারিয়ে যাচ্ছে। যেমন সুন্দরবন অঞ্চলের একটি ‘লোহাচরা’ বদ্বীপটি সম্পূর্ণভাবে জলে ডুবে গেছে।
খ – উপকূল অঞ্চল ডুবে যাওয়ায় বহু ম্যানগ্রোভ উদ্ভিদই চিরতরে লুপ্ত হয়ে যাচ্ছে। এর ফলে প্রকৃতিতে বিরুপ প্রভাব পড়ছে।
গ – সমুদ্রের জলতল বৃদ্ধির জন্য জোয়ার ভাঁটার তীব্রতর হচ্ছে। ফলে খাঁড়ি চওড়া হয়ে যাচ্ছে ও সমুদ্রের নোনাজল উপকূলভাগকে প্লাবিত করে চাষাবাদে ক্ষতি করছে।


আরো পড়ো → নদীর কাজ সংক্ষিপ্ত উত্তরধর্মী প্রশ্ন – উত্তর

দীর্ঘ উত্তরভিত্তিক প্রশ্ন – উত্তর

[প্রতিটি প্রশ্নের প্রশ্নমান ৫]

১। নদীর ক্ষয়কার্যের ফলে সৃষ্ট তিনটি ভূমিরূপ।
উত্তর- নদীর উচ্চগতি বা পার্বত্য প্রবাহে ভূমির ঢাল অত্যন্ত বেশি ও ভূমিরূপের বন্ধুরতার জন্য নদীর জলরাশির বেগ খুব তীব্র হয়। এর ফলে নদী তার গতিপথের যে কোনো বাধাকেই সহজে চূর্ণ বিচূর্ণ করে স্থানচ্যুত করে ফেলতে পারে।ফলে ভূমিরূপের পরিবর্তন ঘটে। এইভাবেই নদীর ক্ষয় প্রক্রিয়ায় নতুন ভূমিরূপ সৃষ্টি হয়। নদীর দ্বারা ক্ষয় কাজ দুই ভাবে সম্পন্ন হয়, যথা নিম্নক্ষয় ও পার্শ্বক্ষয়।

নদীর ক্ষয়কার্যের ফলে সৃষ্ট তিনটি ভূমিরূপ

নদীর ক্ষয়কার্যের ফলে সৃষ্ট তিনটি ভূমিরূপ হল –

ক – V আকৃতির উপত্যকা
নদীর পার্বত্য প্রবাহে নদীর বেগ অত্যন্ত বেশি থাকায় নদীর সম্পূর্ণ শক্তি মূলত নিম্নক্ষয় করতেই খরচ করে, পার্শ্বক্ষয় খুব কম হয়। নদী খাতের পার্শ্বক্ষয় অপেক্ষা নিম্নক্ষয় অনেক বেশি হওয়ায় ইংরেজি v অক্ষরের মতো নদী উপত্যকার সৃষ্টি হয়।মনে রাখতে হবে, অতি খরস্রোতা নদী, পুঞ্জ ক্ষয়, খাঁড়া ভূমি ঢাল V আকৃতির উপত্যকা তৈরির সহায়ক।

খ – প্রপাতকূপ বা প্লাঞ্জপুল
জলপ্রপাতের নিচে জলের ক্রমাগত চাপ এবং জলের সাথে বয়ে আসা নুড়ি ও পাথরের ঘর্ষণের ফলে যে নিচু গর্তের মত অংশের সৃষ্টি হয়,তাকে প্রপাতকূপ বলা হয়। উদাহরণ, চেরাপুঞ্জির নহকালিকাই জলপ্রপাতে প্লাঞ্জপুল দেখা যায়।

গ- মন্থকূপ বা পটহোল
নদীর গতিপথে কোমল শিলা থাকার ফলে নদীর জলস্রোতের বয়ে আনা নুড়ি-পাথরের ক্রমাগত ঘর্ষণ ও পাক খায়, এর ফলে নদী গর্ভে গোলাকার গর্তের সৃষ্টি হয় যাকে মন্থ কূপ বা পটহোল বলা হয়। অনেকগুলি মন্থকুপ একসাথে পাশাপাশি অবস্থান করলে তাকে পটহোল কলোনি বলা হয়।
উদাহরণ, ঘাটশিলাতে সুবর্ণরেখা নদীতে এরকম অনেক মন্থকূপ দেখা যায়।


আরো পড়ো – অসুখী একজন কবিতার প্রশ্ন – উত্তর আলোচনা

২। নদীর সঞ্চয়কার্যের ফলে গঠিত তিনটি ভূমিরূপ।
উত্তর- পার্বত্য প্রবাহ থেকে অপেক্ষাকৃত সমতল ভুমিতে আসার ফলে হঠাৎ ভূমি ঢালের পরিবর্তন ও নদীর ‘বোঝা’ বৃদ্ধি হওয়ায় মধ্য ও নিম্নগতিতে নদীর ক্ষয় কাজ অপেক্ষা সঞ্চয় কাজ এর পরিমাণ বৃদ্ধি পায়। সেই জন্য মধ্য ও নিম্ন গতিতে নদীতে সঞ্চয়জাত ভূমিরূপের গঠনের প্রবণতা দেখা যায়।

নদীর সঞ্চয়কার্যের ফলে গঠিত তিনটি ভূমিরূপ

ক – কর্তিত নদী বাঁক
হঠাৎ ভূভাগের পুনর্যৌবন-এর ফলে নদীর ক্ষয় কার্যের শক্তি বৃদ্ধি পায় ফলে নদী তার খাত আরো বেশি ক্ষয় করতে থাকে ও নদী খাত আরো গভীর হয়ে ওঠে ও দুপাশে খাড়া ঢাল তৈরি করে। এই ভূমিরূপকে কর্তিত নদী বাঁক বলা হয়।

খ – অশ্বক্ষুরাকৃতি হ্রদ
সমভূমির উপর দিয়ে নদী বয়ে যাওয়ার সময় মাঝে মাঝে নিজের বক্র গতিপথ পরিবর্তন করে সোজা পথে প্রবাহিত হয়। এরফলে নদীর বক্র গতিপথের মুখটি আস্তে আস্তে বন্ধ হয়ে যায় এবং ওই অংশটা মূল প্রবাহমান নদী থেকে আলাদা হয়ে অবস্থান করে। এই অংশটি দেখতে অনেকটা ঘোড়ার ক্ষুরের মত দেখতে হওয়ায় একে অশ্বক্ষুরাকৃতি হ্রদ বলা হয়। মূল নদী থেকে বিচ্ছিন্ন হওয়াতে এই হ্রদ নদীর জলের যোগান থেকেও সম্পূর্ণ বিচ্ছিন্ন হয়ে যায়। উদাহরণ – ভাগীরথী হুগলী নদীর প্লাবনভূমিতে কাটোয়া ও কালনার মাঝে এরকম অনেক অশ্বক্ষুরাকৃতি হ্রদ দেখা যায়।


পড়া মনে রাখার সেরা উপায়! ↓

wb-porashona-to-the-point-ebook


গ – প্লাবনভূমি
নদীর নিম্নগতিতে অবস্থিত নদীর দ্বারা প্লাবিত উপত্যকার শেষ সীমা পর্যন্ত বিস্তৃত সমভূমিকে প্লাবন ভূমি বলা হয়। প্লাবনভূমি নদীর দুই পাড় থেকে শুরু হয়ে বন্যার জল যতটুকু অঞ্চল প্লাবিত করে সেই সীমা পর্যন্ত বিস্তৃত হয়। উদাহরণ – ভারতে গঙ্গা, ব্রহ্মপুত্র, যমুনা, সিন্ধু এরকম বহু নদীর নিম্নগতিতে বিস্তীর্ণ প্লাবনভূমি দেখা যায়।

আরো পড়ো  → ইতিহাসের ধারণা সংক্ষিপ্ত উত্তরধর্মী প্রশ্ন – উত্তর

WBPorashona.com-এর পোস্ট আপডেট নিয়মিত পাবার জন্য –

আমাদের কাজ থেকে উপকৃত হলে এই লেখাটি বন্ধুদের সাথে শেয়ার করার অনুরোধ রইল।

পড়া মনে রাখার সেরা উপায় 👇

wb-porashona-to-the-point-ebook