ভারতের যোগাযোগ ও পরিবহন ব্যবস্থা – প্রশ্ন উত্তর | Bharater Jogajog o Poribohon bybostha – Question Answer

নিয়মিত প্রশ্ন উত্তরের আপডেট পাও নিজের মোবাইলে 👇

wb porashona.com whatsapp channel
bharater-poribohon-jogajog-bybostha
শ্রেণি – দশম | বিভাগ – ভূগোল | অধ্যায় – ভারতের অর্থনৈতিক পরিবেশ | ভারতের যোগাযোগ ও পরিবহন ব্যবস্থা | Bharater Jogajog o Poribohon bybostha – Question Answer (Chapter 6)

এই পর্বে রইল দশম শ্রেণির ভূগোল বিভাগের ষষ্ট অধ্যায় – ভারতের অর্থনৈতিক পরিবেশ – থেকে ভারতের যোগাযোগ ও পরিবহন ব্যবস্থা সংক্রান্ত সম্পূর্ণ প্রশ্ন উত্তর আলোচনা।

সঠিক উত্তর নির্বাচন কর (MCQ)

[প্রতিটি প্রশ্নের প্রশ্নমান ১]

1। ভারতের দীর্ঘতম জাতীয় সড়ক-
ক) NH 4 খ) NH 9 গ) NH 1 ঘ) NH 7

উত্তর- ভারতের দীর্ঘতম জাতীয় সড়ক ঘ) NH 7.

2। ভারতে প্রথম পাতাল রেলের যাত্রা শুরু হয়-
ক) মুম্বাইয়ে খ) দিল্লিতে গ) কলকাতায় ঘ) চেন্নাইয়ে

উত্তর- ভারতে প্রথম পাতাল রেলের যাত্রা শুরু হয় গ) কলকাতায়।

3। ভারতের দীর্ঘতম রেলপথ-
ক) পূর্ব রেলপথ খ) উত্তর রেলপথ গ) মধ্য রেলপথ ঘ) পশ্চিম রেলপথ

উত্তর- ভারতের দীর্ঘতম রেলপথ খ) উত্তর রেলপথ।

4। পূর্ব রেলওয়ের সদর দপ্তর অবস্থিত-
ক) কলকাতায় খ) কটকে গ) পাটনায় ঘ) হাওড়ায়

উত্তর- পূর্ব রেলওয়ের সদর দপ্তর অবস্থিত ক) কলকাতায়।

5। পশ্চিমবঙ্গে রেলপথ চালু হয় –
ক) 1860 সালে খ) 1845 সালে গ) 1856 সালে ঘ) 1854 সালে

উত্তর- পশ্চিমবঙ্গে রেলপথ চালু হয় ঘ) 1854 সালে।


পড়া মনে রাখার সেরা উপায়! ↓

wb-porashona-to-the-point-ebook


সংক্ষিপ্ত উত্তরভিত্তিক প্রশ্ন (SAQ)

[প্রতিটি প্রশ্নের প্রশ্নমান ২]

1. পুনঃরপ্তানি বন্দর কাকে বলে?
উত্তর- প্রয়োজনের অতিরিক্ত পণ্য যখন কোনো দেশ আমদানি করে এবং সেই আমদানি দ্রব্য আবার অন্য বিদেশে রপ্তানি করে তখন তাকে পুনঃরপ্তানি বাণিজ্য বলে। আর যে বন্দরের সাহায্যে এই বাণিজ্য হয় তাকে পুনঃরপ্তানি বন্দর বলে। যেমন- ভারতের কলকাতা পুনঃরপ্তানি বন্দরের উদাহরণ।

2. ধারণযোগ্য উন্নয়ন বলতে কি বোঝ?
উত্তর- ব্রুন্টল্যান্ড কমিশনের মতে, ভবিষ্যৎ প্রজন্মের প্রয়োজন মেটানোর ক্ষেত্রে কোনো আপস না করে, বর্তমান প্রজন্মের চাহিদা মেটানোর জন্য গৃহীত পরিকল্পনাকে ধারণযোগ্য উন্নয়ন বা (sustainable development) বলে।
ধারণযোগ্য উন্নয়নের উদ্দেশ্য-
• স্থিতিশীল উন্নয়নে অর্থনৈতিক, সামাজিক, সাংস্কৃতিক প্রভৃতি সকল শ্রীবৃদ্ধির ওপর গুরুত্ব দেওয়া হয়েছে।
• এই উন্নয়নের মাধ্যমে বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি ব্যবহারের ওপর জোর দেওয়া হয়েছে।


আরো পড়ো → Sea Fever Question Answer

বিশ্লেষণধর্মী প্রশ্ন উত্তর

[প্রতিটি প্রশ্নের প্রশ্নমান ৩]

1। ভারতে নগরায়নের প্রধান তিনটি সমস্যা উল্লেখ কর।
উত্তর- ভারত পৃথিবীর দ্বিতীয় জনবহুল দেশ, ভারতের মোট জনসংখ্যার মাত্র 30% শহরের বাস করে তবুও বর্তমান দিনে দাঁড়িয়ে নগরায়ণ একটি বড়ো সমস্যা হয়ে দাঁড়িয়েছে।
নগরায়ণের সমস্যাগুলি নিম্মলিখিত,
• পরিকাঠামোগত সমস্যা- অত্যধিক জনসংখ্যা শহরের বসতির তীব্র অভাব তৈরি করেছে। বর্তমান জনসংখ্যার চাহিদা মেটাতে গেলে প্রতি বছর প্রচুর গৃহের প্রয়োজন যা বাস্তবায়িত করা সম্ভব হচ্ছেনা।
• অপরিকল্পতি নগরায়ণ- অপরিকল্পতি নগরায়ণের কারণে স্থানীয় অর্থনৈতিক ভিত্তি মারাত্মক চাহিদার কারণে দুর্বল হয়ে পড়েছে। বর্তমানে ধনবান ব্যক্তিরা শহরের কেন্দ্রের তুলনায় শহরের প্রান্ত বরাবর পাড়ি দিচ্ছে। এইভাবেই অপরিকল্পনীয়ভাবে শহরের আয়তন বেড়ে চলেছে।
• জলনিকাশী ব্যবস্থার সমস্যা- সমস্ত শহরের মানুষেরা দৈনন্দিন জীবনে উপযুক্ত জলনিকাশী ব্যবস্থা ব্যবহার করে থাকে, কিন্তু অন্যদিকে আবার শহরের নোংরা আর্বজনা সমস্ত কিছু শহরের নিকটবর্তী জলাশয় নদীতে গিয়ে পড়ে, জলদূষন ঘটে। দীর্ঘদিন এই দূষিত জল ব্যবহারের ফলে শহরের মানুষজন জলবাহিত রোগে আক্রান্ত হয়ে পড়ছে যা বর্তমানে বড় সমস্যা হয়ে দাঁড়িয়েছে।


মাধ্যমিকে নম্বর বাড়াবার সেরা উপায় ↓


2। আধুনিক যোগাযোগ ব্যবস্থা বলতে কি বোঝ?
উত্তর- যে যোগাযোগ ব্যবস্থার মাধ্যমে পৃথিবীর এক প্রান্ত থেকে অপর প্রান্ত অতি দ্রুত সংবাদ আদানপ্রদান করা যায় এবং খরচ খুবই কম হয় তাকে আধুনিক যোগাযোগ ব্যবস্থা বলে।
আধুনিক যোগাযোগ ব্যবস্থার মাধ্যমগুলি হল, টেলিফোন, মোবাইল, ই-মেল, বেতার, ভিডিও কনফারেন্স।
আধুনিক যোগাযোগ ব্যবস্থার সুবিধা-
• অযথা শ্রমের অপচয় হয়না।
• অতি দ্রুত সংবাদ আদানপ্রদান করা যায়।
• খরচ খুবই কম হয়।


বিনামূল্যে প্রশ্ন উত্তর মোবাইলে পেতে↓


WBPorashona Telegram


3। ভারতের সড়কপথ ও রেলপথের প্রতিটির সুবিধাগুলি তিনটি করে আলোচনা করো।
উত্তর- ভারতের সড়ক পথের সুবিধাগুলি হল,
• প্রাথমিক ব্যয়- রেলপথ বা আকাশ পথের তুলনায় প্রাথমিক ব্যয় খুবই কম।
• বাণিজ্য- অভ্যন্তরীণ বাণিজ্যের ক্ষেত্রে প্রধানত সড়কপথ ব্যবহার করা হয়।
• দ্রব্য, পণ্য ও যাত্রী পরিবহণ- হালকা মাঝারি দ্রব্য ও পণ্য পরিবহণ করা যায় আর তুলনায় অনেক যাত্রী বেশী বহন করা হয়।
ভারতীয় রেলপথের সুবিধা,
• গতিবেগ- অতি দ্রুত গতিবেগ সম্পন্ন।
• পণ্য ও যাত্রী- ভারী থেকে অতি ভারী পণ্যবহন করার সুবিধা আছে। এবং সেই সঙ্গে অত্যধিক যাত্রী ও বেশি পরিমানে বহন করা যায়।
• নিরাপত্তা- অত্যন্ত নিরাপদ জনিত যোগাযোগ মাধ্যম এটি।


আরো পড়ো → পরিবেশ দূষণ প্রশ্ন উত্তর

দীর্ঘ উত্তরভিত্তিক প্রশ্ন (LA)

[প্রতিটি প্রশ্নের প্রশ্নমান ৫]

1। ভারতের আর্থসামাজিক উন্নতিতে পরিবহন ব্যবস্থার গুরুত্বগুলি উল্লেখ করো।
উত্তর- ভারতের আর্থসামাজিক উন্নতিতে পরিবহন ব্যবস্থার গুরুত্বগুলি হল
• শিল্পোন্নতি- পরিবহণ ব্যবস্থার উন্নতি শিল্পের উপর প্রভাব বিস্তার করে। অন্যদিকে আবার শিল্পোন্নতির অন্যতম শর্ত হল পরিবহণ ব্যবস্থা। শিল্পের কাঁচামাল, যন্ত্রপাতি, শ্রমিক সরবরাহ এবং শিল্পজাত পণ্য বাজারে প্রেরণের ক্ষেত্রে পরিবহন ব্যবস্থার গুরুত্ব অপরিসীম।
• উন্নত কৃষি- ভারতের অর্থনীতি কৃষিজ দ্রব্যের উৎপাদন ও সুষ্ঠু বন্টনের ওপর নির্ভরশীল।উন্নত বীজ, সার, কীটনাশক, আধুনিক কৃষি যন্ত্রপাতি প্রভৃতি কিছু কৃষিক্ষেত্রে পৌঁছে দিতে এবং শিল্প কারখানায় ও বিদেশে রপ্তানি করতে সড়কপথ, রেলপথ, জলপথ এমনকি আকাশপথের গুরুত্ব যথেষ্ঠ।
• বাণিজ্যিক প্রসার- বাণিজ্যের প্রধান একটি দিক হল পরিবহণ অর্থাৎ বিভিন্ন দ্রব্যের আমদানি- রপ্তানিতে সড়কপথ, রেলপথ, জলপথ ও আকাশপথের গুরুত্ব অপরিসীম।
• জাতীয় আয়- পরিবহণ সুবিধাদানের মাধ্যমে করসংগ্রহ এবং পরিবহণের কৃষি, শিল্প, ব্যবসা বাণিজ্যের প্রসার দেশের জাতীয় আয় বৃদ্ধিতে বিশেষ ভূমিকা গ্রহন করে।
• অন্যান্য গুরুত্ব- ক) শিক্ষা-সংস্কৃতির প্রসার, খ) কর্মসংস্থান বৃদ্ধি, গ) সামাজিক, রাজনৈতিক, প্রশাসনিক সুস্থিরতা দান প্রভৃতি ক্ষেত্রে সড়কপথের গুরুত্ব অনস্বীকার্য।

wb porashona to the point geography

2। ভারতের নগরায়নের প্রধান সমস্যাগুলি আলোচনা করো।
উত্তর- ভারত পৃথিবীর দ্বিতীয় জনবহুল দেশ, ভারতের মোট জনসংখ্যার মাত্র 30% শহরের বাস করে তবুও বর্তমান দিনে দাঁড়িয়ে নগরায়ণ একটি বড় সমস্যা হয়ে দাঁড়িয়েছে।
নগরায়ণের সমস্যাগুলি নিম্মলিখিত-
• পরিকাঠামোগত সমস্যা- অত্যধিক জনসংখ্যা শহরের বসতির তীব্র অভাব তৈরি করেছে। বর্তমান জনসংখ্যার চাহিদা মেটাতে গেলে প্রতি বছর প্রচুর গৃহের প্রয়োজন যা বাস্তবায়িত করা সম্ভব হচ্ছেনা।
• অপরিকল্পতি নগরায়ণ- অপরিকল্পতি নগরায়ণের কারণে স্থানীয় অর্থনৈতিক ভিত্তি মারাত্মক চাহিদার কারণে দুর্বল হয়ে পড়েছে। বর্তমানে ধনবান ব্যক্তিরা শহরের কেন্দ্রের তুলনায় শহরের প্রান্ত বরাবর পাড়ি দিচ্ছে। এইভাবেই অপরিকল্পনীয়ভাবে শহরের আয়তন বাড়ছে।
• জলনিকাশী ব্যবস্থার সমস্যা- শহরবাসী মানুষেরা দৈনন্দিন জীবনে উপযুক্ত জলনিকাশী ব্যবস্থা ব্যবহার করে থাকে, অন্যদিকে আবার শহরের নোংরা আর্বজনা সমস্ত কিছু শহরের নিকটবর্তী জলাশয় নদীতে গিয়ে পড়ে এবং জলদূষন ঘটায়। আর দীর্ঘদিন এই দূষিত জল ব্যবহারের ফলে শহরের মানুষজন জলবাহিত রোগে আক্রান্ত হয়ে পড়ছে যা বর্তমানে বড় সমস্যা হয়ে দাঁড়িয়েছে।
• শহরমুখী প্রবণতা- আর্কষনীয় জীবনযাত্রাই হোক বা জীবিকা যে কোনো কিছুর বিনিময়ে শহরমুখী জনস্রোত বেড়েই চলেছে, যারফলে অনেক সংখ্যক মানুষকে খুব কম জায়গার মধ্যে থাকতে হচ্ছে। যার ফলে শিক্ষা, পরিবহণ, স্বাস্থ্য সব বিষয়ে জটিলতার সৃষ্টি হচ্ছে।

আরো পড়ো → ভারতের জনসংখ্যা অধ্যায়ের প্রশ্ন উত্তর

WBPorashona.com-এর পোস্ট আপডেট নিয়মিত পাওয়ার জন্য –


আমাদের কাজ থেকে উপকৃত হলে এই লেখাটি বন্ধুদের সাথে শেয়ার করার অনুরোধ রইল।

পড়া মনে রাখার সেরা উপায় 👇

wb-porashona-to-the-point-ebook