জিনগত রোগ – প্রশ্ন উত্তর | Jingoto rog – Question Answer

নিয়মিত প্রশ্ন উত্তরের আপডেট পাও নিজের মোবাইলে 👇

wb porashona.com whatsapp channel
jingoto-rog
শ্রেণি – দশম | বিভাগ – জীবনবিজ্ঞান | অধ্যায় – জিনগত রোগ | Jingoto Rog (Chapter 11)

এই পর্বে রইল দশম শ্রেণির জীবন বিজ্ঞান বিভাগের একাদশ অধ্যায় – জিনগত রোগ থেকে কয়েকটি ভীষণ গুরুত্বপূর্ণ প্রশ্ন – উত্তর আলোচনা।

সঠিক উত্তর নির্বাচন করো। (MCQ)

[প্রতিটি প্রশ্নের প্রশ্নমান 1]

1। থ্যালাসেমিয়া রোগটি যে প্রোটিনের অস্বাভাবিকতার ফলে সৃষ্টি হয়, তা হল –
ক) ফাইব্রিন খ) গ্লোবিন গ) ফ্ল্যাভিন ঘ) থাইমিন

উত্তর-থ্যালাসেমিয়া রোগটি যে প্রোটিনের অস্বাভাবিকতার ফলে সৃষ্টি হয়, তা হল –খ) গ্লোবিন।

2। মানুষের যে ক্রোমোজোমে α গ্লোবিন জিন থাকে, তা হল –
ক) ১১ নং খ) ১২ নং গ) ১৪ নং ঘ) ১৬ নং

উত্তর- মানুষের যে ক্রোমোজোমে α গ্লোবিন জিন থাকে, তা হল –ঘ) ১৬ নং।

3। নীচের যেটি সেক্স ক্রোমোজোম বাহিত বংশগত রোগ নয়, সেটি হল –
ক) অ্যানিমিয়া খ) স্কার্ভি গ) থ্যালাসেমিয়া ঘ) সবকটি ঠিক

উত্তর- যেটি সেক্স ক্রোমোজোম বাহিত বংশগত রোগ নয়, সেটি হল – ঘ) সবকটি ঠিক।

4। কোন রোগটি অটোজোমাল জিন দ্বারা সৃষ্ট নয়?
ক) সিক্‌ল সেল অ্যানিমিয়া খ) হিমোফিলিয়া গ) থ্যালাসেমিয়া ঘ) অ্যালবিনিজম

উত্তর- খ) হিমোফিলিয়া -রোগটি অটোজোমাল জিন দ্বারা সৃষ্ট নয়।

5। হিমোফিলিয়ায় যে প্লাজমা প্রোটিনটি তৈরি হয় না সেটি হল –
ক) অ্যালবুমিন খ) গ্লোবিউলিন গ) ফাইব্রিন ঘ) কাইটিন

উত্তর-হিমোফিলিয়ায় যে প্লাজমা প্রোটিনটি তৈরি হয় না সেটি হল -গ) ফাইব্রিন।


পড়া মনে রাখার সেরা উপায়! ↓

wb-porashona-to-the-point-ebook


6। প্লাজমা থ্রম্বোপ্লাস্টিন অ্যান্টিসিডেন্ট হল –
ক) ফ্যাক্টর VII খ) ফ্যাক্টর VIII গ) ফ্যাক্টর XI ঘ) ফ্যাক্টর X

উত্তর- প্লাজমা থ্রম্বোপ্লাস্টিন অ্যান্টিসিডেন্ট হল –গ) ফ্যাক্টর XI.

7। হিমোফিলিয়ার বাহক মাতা ও স্বাভাবিক পিতার সঙ্গে কন্যাসন্তান হিমোফিলিয়ায় আক্রান্ত হওয়ার সম্ভাবনা হল –
ক) ৭৫% খ) ৫০% গ) ১০০% ঘ) ০%

উত্তর-হিমোফিলিয়ার বাহক মাতা ও স্বাভাবিক পিতার সঙ্গে কন্যাসন্তান হিমোফিলিয়ায় আক্রান্ত হওয়ার সম্ভাবনা হল – ঘ) ০%।

8। হিমোফিলিয়া আক্রান্ত পুরুষ ও বাহক মহিলার সন্তানরা হবে –
ক) সকলেই হিমোফিলিক খ) ৫০% হিমোফিলিক
গ) 33.3% অংশ হিমোফিলিক ঘ) ২৫% অংশ হিমোফিলিক

উত্তর- হিমোফিলিয়া আক্রান্ত পুরুষ ও বাহক মহিলার সন্তানরা হবে –খ) ৫০% হিমোফিলিক।

9। বর্ণান্ধতা রোগে আক্রান্ত ব্যক্তি সাধারণত যে বর্ণগুলি দেখতে পায় না বা শণাক্ত করতে পারে না, তা হল –
ক) বেগুনি – হলদে খ) আকাশি – নীল গ) লাল – সবুজ ঘ) কমলা – হলদে
উত্তর-বর্ণান্ধতা রোগে আক্রান্ত ব্যক্তি সাধারণত যে বর্ণগুলি দেখতে পায় না বা সণাক্ত করতে পারে না, তা হল –গ) লাল – সবুজ।

10। সবুজ বর্ণান্ধতাকে কী বলা হয়?
ক) প্রোটানোপিয়া খ) ডিউটেরানোপিয়া গ) ট্রাইটানোপিয়া ঘ) কোনোটিই নয়

উত্তর-সবুজ বর্ণান্ধতাকে- খ) ডিউটেরানোপিয়া বলা হয়।


আরো পড়ো → Our runaway kite – Question Answer

একটি বাক্যে উত্তর দাও। (VSAQ)

[প্রতিটি প্রশ্নের প্রশ্নমান 1]

1। লাল রং বর্ণান্ধতাকে কি বলে?
উত্তর- লাল রং বর্ণান্ধতাকে বলে প্রোটোনোপিয়া।

2। বিসাদৃশ্য শব্দটি বেছে নিয়ে লেখো – বর্ণান্ধতা, হিমোফিলিয়া, মায়োপিয়া, থ্যালাসেমিয়া।
উত্তর- বিসাদৃশ্য শব্দটি হল মায়োপিয়া, কারণ বাকি তিনটে রোগ জিনগত।

3। ক্রিস্টমাস রোগীদের রক্তে তঞ্চনকারী কোন ফ্যাক্টরটি অনুপস্থিত থাকে?
উত্তর- ক্রিস্টমাস রোগীদের রক্তে তঞ্চনকারী IX ফ্যাক্টরটি অনুপস্থিত থাকে।

4। ক্রিস-ক্রস উত্তরাধিকার দেখায় কোন প্রকার জিনগুলি?
উত্তর- ক্রিস-ক্রস উত্তরাধিকার X লিংকড জিনগুলি।

5। একজন বর্ণান্ধ পুত্র এবং একজন স্বাভাবিক কন্যার জিনোটাইপ কি হবে?
উত্তর- একজন বর্ণান্ধ পুত্রের জিনোটাইপ- XCY

6| থ্যালাসেমিয়া রোগে মানবদেহের কোন তিনটি অঙ্গ ক্ষতিগ্রস্ত হয়?
উত্তর – থ্যালাসেমিয়া রোগে মানবদেহের যে তিনটি অঙ্গ ক্ষতিগ্রস্ত হয়, সেগুলি হল – হৃৎপিণ্ড, যকৃত ও প্লিহা।

7| থ্যালাসেমিয়ার জন্য দায়ী জিন মানুষের কোন ধরনের ক্রোমোজোম বহন করে?
উত্তর – থ্যালাসেমিয়ার জন্য দায়ী জিন মানুষের অটোজোম বহন করে।

8| বর্ণান্ধতার জন্য দায়ী জিনটির একটি বৈশিষ্ট্য লেখ।
উত্তর – বর্ণান্ধতার জন্য দায়ী জিনটির একটি বৈশিষ্ট্য হল – X ক্রোমোজোমাল প্রচ্ছন্নধর্মী।

9| মানুষের জনগোষ্ঠীতে প্রকাশিত হয় এমন দুটি জিনগত রোগের নাম লেখ।
উত্তর – মানুষের জনগোষ্ঠীতে প্রকাশিত হয় এমন দুটি জিনগত রোগের নাম হল – থ্যালাসেমিয়া ও বর্ণান্ধতা।

10| হিমোগ্লোবিনের গ্লোবিন প্রোটিনে কয়টি পলিপেপটাইড শৃঙ্খল বর্তমান?  
উত্তর – হিমোগ্লোবিনের গ্লোবিন প্রোটিনে চারটি পলিপেপটাইড শৃঙ্খল যথা – দুটি α ও দুটি β শৃঙ্খল বর্তমান।


আরো পড়ো → বংশগতি অধ্যায়ের প্রশ্ন উত্তর

সংক্ষিপ্ত উত্তরভিত্তিক প্রশ্ন (SAQ)

[প্রতিটি প্রশ্নের প্রশ্নমান 2/3]

1। একজন থ্যালাসেমিয়া আক্রান্ত হওয়ার সম্ভাবনা রোধে জেনেটিক কাউন্সেলিং এর সময় তুমি কোন কোন বিষয়ে খোঁজ নেবে?
উত্তর- ক) পারিবারিক ইতিহাসে থ্যালসেমিয়া কখনও দেখা গিয়েছিল কিনা তা পর্যালোচনা করা।
খ) যদি পরিবারের কেউ থ্যালাসেমিয়া আক্রান্ত হয়ে থাকে, তাহলে সেই থ্যালাসেমিয়া কি ধরনের ছিল (তীব্রতা) তা আলোচনা করতে হবে।
গ) যদি এই পরিবারে কোন ব্যক্তি থ্যালাসেমিয়ার বাহক হয় তবে বৈবাহিক সম্পর্ক স্থাপনকালে যে পরিবারে বৈবাহিক সম্পর্ক স্থাপিত হতে চলেছে সেই পরিবারে পারিবারিক ইতিহাসে কখনও কোনো ব্যক্তির থ্যালাসেমিয়া হয়েছিল কিনা তা জানতে হবে এবং পরবর্তীকালে ওই পরিবারে কখনও কারোর থ্যালাসেমিয়া হয়েছিল কিনা সেটাও জানতে হবে।
ঘ) যার সঙ্গে বৈবাহিক সম্পর্ক স্থাপিত হতে চলেছে সেই ব্যক্তির থ্যালাসেমিয়া টেস্ট করা অত্যন্ত জরুরী। কারণ পাত্র এবং পাত্রী উভয়ই যদি থ্যালাসেমিক হন তবে 25% সন্তান থ্যালাসেমিয়ায় আক্রান্ত হতে পারে কিন্তু একজন স্বাভাবিক ব্যক্তি ও একজন থ্যালাসেমিয়া বাহকের মধ্যে বিবাহ সম্পর্ক হয়, তাহলে উৎপন্ন সন্তানরা কেউই থ্যালাসেমিয়া আক্রান্ত হবে না কিন্তু 50% বাহক হতে পারে।

2। একজন হিমোফিলিক পুরুষ স্বাভাবিক মহিলাকে বিবাহ করলো। তাদের একটি পুত্রসন্তান হলো। এই পুত্রসন্তানের হিমোফিলিক হওয়ার সম্ভাবনা কতটা তা বিশ্লেষণ করো।
উত্তর- হিমোফিলিয়া হল X ক্রোমোজোম বাহিত প্রচ্ছন্ন জিনঘটিত রোগ। পুত্র সন্তানের ক্ষেত্রে অটোজোমের সঙ্গে একটি X ক্রোমোজোম ও একটি Y ক্রোমোজোম থাকে। যার মধ্যে X ক্রোমোজোমটি মাতার কাছ থেকে লাভ করে এবং Y ক্রোমোজোমটি পিতার কাছ থেকে লাভ করে। এখানে মাতা স্বাভাবিক হওয়ায় পুত্র মাতার কাছ থেকে X ক্রোমোজোমটি লাভ করে, তাই পুত্রের হিমোফিলিক হওয়ার সম্ভাবনা নেই অর্থাৎ হিমোফিলিক হওয়ার সম্ভাবনা 0%।


জিনগত রোগ অধ্যায়ের গুরুত্বপূর্ণ প্রশ্ন উত্তর আলোচনা↓


3। থ্যালাসেমিয়া রোগ সৃষ্টির ক্ষেত্রে জিনগত পটভূমিকা কি?
উত্তর- থ্যালাসেমিয়া একটি অটোজোমাল প্রচ্ছন্ন জিনঘটিত রোগ। হিমগ্লোবিনে দুটি আলফা গ্লোবিন শৃঙ্খল ও দুটি বিটা গ্লোবিন শৃঙ্খল থাকে। আলফা গ্লোবিন শৃঙ্খলের গঠন নির্ধারিত হয় ১৬নং সমসংস্থ ক্রোমোজোম জোড়ায় অবস্থিত চারটি জিনের উপর। যদি একটি বা দুটি জিনের গঠনগত ত্রুটি হয়, তবে আলফা থ্যালাসেমিয়া মাইনর দেখা গেলেও ততটা ভয়াবহ নয় কিন্তু তিনটি জিনের গঠনগত ত্রুটি থাকলে তখন থ্যালাসেমি রোগী আলফা থ্যালাসেমিয়া মেজরে পরিণত হন।
বিটা গ্লোবিন শৃঙ্খলের গঠন নির্ধারিত হয় ১১নং সমসংস্থ ক্রোমোজোম জোড়ায় অবস্থিত দুটি জিনের উপর। একটি জিনের গঠনগত ত্রুটির জন্য বিটা থ্যালাসেমিয়া মাইনর দেখা যায় ও দুটি জিনের গঠনগত ত্রুটির জন্য বিটা থ্যালাসেমিয়া মেজর দেখা যায়।

4। থ্যালাসেমিয়া রোগে বার বার রক্ত পরিবর্তনের জন্য কি কি উপসর্গ দেখা যায়?
উত্তর- ক) বার বার রক্ত পরিবর্তনের জন্য লোহিত রক্তকণিকা গুলি ভেঙে যাওয়ার ফলে প্লীহা আয়তনে বৃদ্ধি পায় যাকে স্প্লিনোমেগালিক বলে।
খ) বার বার রক্ত দিতে হয় তার ফলে রক্তে হিমোগ্লোবিনের হিম অংশ দেহে সঞ্চিত হতে থাকে হিমোসিডারিন হিসাবে। যার ফলে হৃৎপিণ্ড তার ছন্দবন্ধতা হারায়।

5। X ক্রোমোজোম বাহিত একটি প্রচ্ছন্ন জিনঘটিত রোগের নাম ও একটি লক্ষণ লেখ।
উত্তর- X ক্রোমোজোম বাহিত একটি প্রচ্ছন্ন জিনঘটিত রোগের নাম হল বর্ণান্ধতা।
এটির লক্ষণ হল এই রোগে রোগীরা লাল, সবুজ, নীল বর্ণ চিনতে পারে না, তারা সেই রঙগুলিকে অন্য রঙ বা ফ্যাকাসে দেখে।

6। একজন শিক্ষার্থীরা খবরের কাগজে থ্যালাসেমিয়া নিয়ে একটি নিয়ে একটি প্রবন্ধ পড়ল এবং একজন থ্যালাসেমিয়া আক্রান্ত ব্যক্তির পরিণতি জেনে ভীত হলেন। জনগোষ্ঠী থেকে এই রোগ দূর করার জন্য কি কি উদেগ নিতে পারে তা লেখ।

উত্তর- ক) জনগণকে থ্যালাসেমিয়া রোগ সম্বন্ধে সচেতন ও সতর্ক করবে। পারিবারিক ইতিহাস সম্পর্কে জানতে হবে।
খ) থ্যালাসেমিয়া রোগের লক্ষণ নিয়ে আলোচনা করবে এবং দেখতে হবে তাদের পরিবারে এই লক্ষণ কারোর আছে কিনা।
গ) প্যাথলজিক্যাল টেস্ট করে নিশ্চিত হওয়ার কথা বলতে হবে।
ঘ) ছোট ছোট পথ নাটিকার মাধ্যমে জনগোষ্ঠীকে জানাতে হবে।


UPDATE:মাধ্যমিক পরীক্ষার ভীতি কাটাবার সেরা উপায়↓

madhymik-mock-test


7। থ্যালাসেমিয়াকে কেন মাইক্রোসাইটিক অ্যানিমিয়া বলা হয়?
উত্তর- মাইক্রো কথার অর্থ হল ক্ষুদ্র এবং সাইটিক কথার অর্থ হল সেল। যখন স্বাভাবিক লোহিত কণিকার আকারের থেকে উৎপন্ন লোহিতকণিকার আকার ক্ষুদ্র হয় >৬০ মাইক্রোমিটার হয়, তখন এই ধরনের লোহিতকণিকাকে মাইক্রোসাইটিক বলা হয়। হিমোগ্লোবিনের পরিমাণও এক্ষেত্রে কমে যায়। এক্ষেত্রে অ্যানিমিয়া দেখা যায়। থ্যালাসেমিয়ার ক্ষেত্রে জিনগত ত্রুটির কারণে ত্রুটিপূর্ণ গ্লোবিন শৃঙ্খল উৎপন্ন হওয়ায় স্বাভাবিকের থেকে হিমোগ্লোবিনে RBC কমে যায়। তার কারণে লোহিতকণিকার আকার ক্ষুদ্র হয় তাই থ্যালাসেমিয়াকে মাইক্রোসাইটিক অ্যানিমিয়া বলা হয়।

wb-porashona-to-the-point-ebook

8। কখন কন্যা সন্তান হিমোফিলিয়া রোগে আক্রান্ত হবে?
উত্তর- হিমোফিলিয়া হল X ক্রোমোজোম বাহিত প্রচ্ছন্ন জিনঘটিত রোগ। কন্যা সন্তানের ক্ষেত্রে অটোজোমের সঙ্গে আরও দুটি X ক্রোমোজোম থাকে। যার মধ্যে একটি X ক্রোমোজোম মাতার কাছ থেকে লাভ করে এবং আর একটি X ক্রোমোজোম পিতার কাছ থেকে লাভ করে। যখন পিতা ও মাতা উভয়ই হিমোফিলিক হলে, তখন কন্যা সন্তান হিমোফিলিয়া রোগে আক্রান্ত হবে।
আবার পিতা হিমোফিলিক এবং মাতা হিমোফিলিয়া রোগের বাহক হলে যখন কন্যা সন্তানরা মায়ের থেকে হিমোফিলিয়া যুক্ত X ক্রোমোজোমটি লাভ করবে, তখনও কন্যা সন্তান হিমোফিলিয়া রোগে আক্রান্ত হবে।


আরো পড়ো → বিশ শতকের ভারতে কৃষক, শ্রমিক ও বামপন্থী আন্দোলন অধ্যায়ের প্রশ্ন ও উত্তর

দীর্ঘভিত্তিক প্রশ্ন উত্তর (LA)

[প্রতিটি প্রশ্নের প্রশ্নমান ৫]

1। একজন স্বাভাবিক পুরুষ ও হিমোফিলিয়া বাহক স্ত্রীর সন্তানরা কেউই হিমোলিফিক নয় কারণ কি চেকারবোর্ডের সাহায্যে দেখাও।
উত্তর- একজন স্বাভাবিক পুরুষ ও হিমোফিলিয়া বাহক স্ত্রীর সন্তানরা কেউই হিমোলিফিক নয় কারণ কন্যাসন্তানরা কেউই হিমোলিফিক হবে না তারা বাহক হলেও হতে পারে। পুত্র সন্তানদের ক্ষেত্রে 50% স্বাভাবিক এবং 50% হিমোফিলিক হওয়ার সম্ভাবনা থাকে কিন্তু কোনো পুত্র সন্তান যদি মায়ের হিমোফিলিক বাহক XH জিনটি না পেয়ে থাকে তাহলে কেউই হিমোফিলিক হবে না।

সুতরাং দেখা যাচ্ছে যে পুত্ররা কেউই মায়ের হিমোফিলিক জিনটি পায়নি, তাই সবাই স্বাভাবিক সন্তান হয়েছে।

আরো পড়ো → ভারতের কৃষি অধ্যায়ের প্রশ্ন ও উত্তর

WBPorashona.com-এর পোস্ট আপডেট নিয়মিত পাওয়ার জন্য –


আমাদের কাজ থেকে উপকৃত হলে এই লেখাটি বন্ধুদের সাথে শেয়ার করার অনুরোধ রইল।

পড়া মনে রাখার সেরা উপায় 👇

wb-porashona-to-the-point-ebook