পথের দাবী প্রশ্ন উত্তর | Pother Dabi Question Answer| WBBSE Class 10 Bengali

নিয়মিত প্রশ্ন উত্তরের আপডেট পাও নিজের মোবাইলে 👇

wb porashona.com whatsapp channel
pother-dabi-question-answer
শ্রেণি – দশম | বিভাগ – বাংলা | অধ্যায় – পথের দাবী (Pother Dabi)

দশম শ্রেণির বাংলা বিভাগ থেকে শরৎচন্দ্র চট্টোপাধ্যায় রচিত পথের দাবী গদ্য থেকে সম্পূর্ণ প্রশ্ন উত্তর আলোচনা।

সঠিক উত্তর নির্বাচন করো (MCQ)

[প্রতিটি প্রশ্নের প্রশ্নমান ১]

১। দয়ার সাগর! পরকে সেজে দি, নিজে খাইনে। বক্তা হলেন- (ক) জগদীশ বাবু (খ) নিমাইবাবু (গ) অপূর্ব (ঘ) গিরীশ মহাপাত্র
উত্তর – দয়ার সাগর! পরকে সেজে দি, নিজে খাইনে। বক্তা হলেন- (খ) নিমাইবাবু।

২। গিরীশ মহাপাত্রের সাথে অপূর্বর পুনরায় কোথায় দেখা হয়েছিল? (ক) পুলিশ ষ্টেশনে (খ) জাহাজঘাটায় (গ) রেলস্টেশনে (ঘ) বিমানবন্দরে (মাধ্যমিক ১৭)
উত্তর – গিরীশ মহাপাত্রের সাথে অপূর্বর পুনরায় (গ) রেলস্টেশনে দেখা হয়েছিল।

৩। বড়োসাহেব অপূর্বকে পাঠিয়েছিল – (ক) ভামাতে (খ) উত্তর ব্রহ্মদেশে (গ) ম্যানডালে (ঘ) রেঙ্গুনে
উত্তর- বড়োসাহেব অপূর্বকে পাঠিয়েছিল – (ক) ভামাতে।

৪। অপূর্বর পিতার বন্ধু হলেন- (ক) জগদীশ বাবু (খ) রামদাস (গ) নিমাইবাবু (ঘ) গিরীশ মহাপাত্র (মাধ্যমিক ১৯)
উত্তর – অপূর্বর পিতার বন্ধু হলেন- (ক) জগদীশ বাবু

৫। “আপাতত ভামো যাচ্চি।” – বক্তা হলেন – (ক) বড়োসাহেব (খ) অপূর্ব (গ) নিমাইবাবু (ঘ) তলওয়ারকর
উত্তর- “আপাতত ভামো যাচ্চি।” – বক্তা হলেন -(খ) অপূর্ব।

৬। ‘পোলিটিক্যাল’ সাসপেক্ট সব্যসাচী মল্লিকের বয়স – (ক) আটাশ-উনত্রিশের মধ্যে (খ) ত্রিশ-বত্রিশের অধিক নয় (গ) পঁচিশ-ত্রিশ-এর বেশি নয় (ঘ) চল্লিশ-পঞ্চাশের বেশি নয়
উত্তর- ‘পোলিটিক্যাল’ সাসপেক্ট সব্যসাচী মল্লিকের বয়স (খ) ত্রিশ-বত্রিশের অধিক নয়।

৭। “লল্লাটের লেখা তো খণ্ডাবে না।” উক্তিটি করেছেন- (ক) গিরীশ মহাপাত্র (খ) জগদীশবাবু (গ) রামদাস (ঘ) অপূর্ব
উত্তর- “লল্লাটের লেখা তো খণ্ডাবে না।” উক্তিটি করেছেন- (ক) গিরীশ মহাপাত্র।

৮। ‘পোলিটিক্যাল সাসপেক্ট’ কে ছিল? (ক) সব্যসাচী মিত্র (খ) সব্যসাচী মজুমদার (গ) সব্যসাচী মৌলিক (ঘ) সব্যসাচী মল্লিক
উত্তর- ‘পোলিটিক্যাল সাসপেক্ট’ (ঘ) সব্যসাচী মল্লিক।

৯। “আপনাকেই হয়তো আর একদিন তার প্রায়শ্চিত্ত করতে হবে।” – কাকে প্রায়শ্চিত্ত করতে হবে? (ক) সব্যসাচীকে (খ) নিমাইবাবুকে (গ) রামদাসকে (ঘ) অপূর্বকে
উত্তর- “আপনাকেই হয়তো আর একদিন তার প্রায়শ্চিত্ত করতে হবে।” – (ঘ) অপূর্বকে প্রায়শ্চিত্ত করতে হবে।

১০। সব্যসাচী মল্লিক পেশায় ছিলেন – (ক) পুলিশ (খ) কেরানি (গ) শিক্ষক (ঘ) ডাক্তার
উত্তর- সব্যসাচী মল্লিক পেশায় ছিলেন – ঘ) ডাক্তার।


পড়া মনে রাখার সেরা উপায়! ↓

WBP-to-the-point-banner-v1


১১। “আমি বাবু ধর্মভীরু মানুষ।” – ধর্মভীরু মানুষটি হলেন- (ক) তেওয়ারি (খ) অপূর্ব (গ) জগদীশবাবু (ঘ) গিরীশ মহাপাত্র
উত্তর- “আমি বাবু ধর্মভীরু মানুষ।” – ধর্মভীরু মানুষটি হলেন-(ঘ) গিরীশ মহাপাত্র ।

১২। বাবুটির স্বাস্থ্য গেলেও শখ কত আনা বজায় আছে? (ক) তেরো আনা (খ) ষোলো আনা (গ) পনেরো আনা (ঘ) দশ আনা
উত্তর- বাবুটির স্বাস্থ্য গেলেও শখ (খ) ষোলো আনা আনা বজায় আছে।

১৩। “দুজন বন্ধু নোক আসার কথা ছিল”, (ক) ম্যানডালে থেকে (খ) এনাঞ্জাং থেকে (গ) ভামো থেকে (ঘ) মিক্‌থিলা থেকে
উত্তর- “দুজন বন্ধু নোক আসার কথা ছিল” (ঘ) মিক্‌থিলা থেকে ।

১৪। ‘কেবল আশ্চর্য’ – আশ্চর্য বিষয়টি কী? (ক) বার্নিশ করা পাম্পশু (খ) দুটি চোখের দৃষ্টি (গ) শক্ত সবল শরীর (ঘ) দুটি হাতের শক্তি
উত্তর- ‘কেবল আশ্চর্য’ – আশ্চর্য বিষয়টি (খ) দুটি চোখের দৃষ্টি।

১৫। “তাহার দুই চোখ ছলছল করিয়া আসিল।” – কার? (ক) রামদাসের (খ) তেওয়ারির (গ) দেশপ্রেমিকের (ঘ) অপূর্বর
উত্তর- “তাহার দুই চোখ ছলছল করিয়া আসিল।” – (ক) রামদাসের।


মাধ্যমিকে নম্বর বাড়াবার সেরা উপায় ↓


১৬। বর্মা অয়েল কোম্পানি অবস্থিত ছিল- (ক) তিব্বতে (খ) ভামো শহরে (গ) রেঙ্গুনে (ঘ) উত্তর বহ্মদেশে
উত্তর- বর্মা অয়েল কোম্পানি অবস্থিত ছিল- (ঘ) উত্তর বহ্মদেশে।

১৭। গিরীশ মহাপাত্রের সঙ্গে অপূর্বর পুনরায় কোথায় দেখা হয়েছিল? (ক) জাহাজঘাটায় (খ) বিমানবন্দরে (গ) পুলিশস্টেশনে (ঘ) রেলস্টেশনে
উত্তর- গিরীশ মহাপাত্রের সঙ্গে অপূর্বর পুনরায় (ঘ) রেলস্টেশনে দেখা হয়েছিল।

১৮। “বুড়ো মানুষের কথাটা শুনো।” – বুড়ো মানুষটি হলেন- (ক) নিমাইবাবু (খ) অপূর্ব (গ) গিরীশ মহাপাত্র (ঘ) জগদীশ
উত্তর- “বুড়ো মানুষের কথাটা শুনো।” – বুড়ো মানুষটি হলেন (ক) নিমাইবাবু।

১৯। তেওয়ারি বর্মা নাচ দেখতে যে স্থানে গিয়েছিল, তার নাম – (ক) এনাঞ্জং (খ) ভামো (গ) ফয়া (ঘ) মিক্‌থিলা
উত্তর- তেওয়ারি বর্মা নাচ দেখতে যে স্থানে গিয়েছিল, তার নাম -(গ) ফয়া।

২০। গিরীশ মহাপাত্রের রুমালে কীসের ছবি আঁকা ছিল? (ক) রামধনু (খ) বাঘ (গ) ফুল (ঘ) সিংহ
উত্তর- গিরীশ মহাপাত্রের রুমালে (খ) বাঘ ছবি আঁকা ছিল।


আরো পড়ো → আয়নীয় বন্ধন ও সমযোজী বন্ধন অধ্যায়ের প্রশ্ন – উত্তর

অতি সংক্ষিপ্ত উত্তরধর্মী প্রশ্ন (VSAQ)

[প্রতিটি প্রশ্নের প্রশ্নমান ১]

১। ‘মনে হল দুঃখে লজ্জায় ঘৃণায় নিজেই যেন মাটির সঙ্গে মিশিয়ে যাই।’ কোন কথা মনে করে অপূর্বের এই মনোবেদনা?
উত্তর – একবার বিনাদোষে অপূর্বকে কিছু ফিরিঙ্গিরা লাথি মেরে প্ল্যাটফর্ম থেকে বের করে দেয় এবং এরপর সে ষ্টেশনমাস্টারের কাছে অভিযোগ জানাতে গেলে তিনি সেই অভিযোগ গ্রহণ করতে অস্বীকার করেন; এই ঘটনার কথা মনে পড়লে অপূর্বর ‘দুঃখে লজ্জায়, ঘৃণায় মাটির সঙ্গে মিশে যেতে ইচ্ছ করে।’

৩। ইহা যে কত বড়ো ভ্রম তাহা কয়েকটা স্টেশন পরেই সে অনুভব করিল। ভ্রম টি কি?
উত্তর – রেঙ্গুন থেকে ভামা যাবার রেলপথে রাত্রিবাসের সময় তার ধারণা ছিল যে প্রভাতকাল পর্যন্ত তার নিদ্রার ব্যাঘাত ঘটবে না, কিন্তু তা যে এই ভাবনা ভুল বা ভ্রম বলে সাবস্ত্য হয়।

৩। তবে এ বস্তুটি পকেটে কেন?- কোন বস্তুটি পকেটে ছিল? (মাধ্যমিক ১৮)
উত্তর – ‘এ বস্তু’ বলতে’ গিরীশ মহাপাত্রের পকেটে গাঁজার কলকে-কে নির্দেশ করা হয়েছে।

৪। ভামো যাত্রায় ট্রেনে অপূর্বর কে কে সঙ্গী হয়েছিল? (মাধ্যমিক ১৯)
উত্তর – ভামো যাত্রার সময় অপূর্বের সঙ্গী হয়েছিল একজন আরদালি এবং একজন অফিসের হিন্দুস্তানি ব্রাহ্মণ পিয়াদা।

৫। বুড়ো মানুষের কথাটা শুনো। বুড়ো মানুষের কোন কথা শুনতে বলা হয়েছে? (মাধ্যমিক ২০)
উত্তর – এখানে বুড়ো মানুষ বলতে নিমাইবাবুর কথা বলা হয়েছে, তিনি গিরীশ মহাপাত্র-কে গাঁজার নেশা করতে বারন করেছেন।

৬। “মুখ ফিরাইয়া হাসি গোপন করিল” – কে, কেন হাসি গোপন করেছিল?
উত্তর – ‘পোলিটিক্যাল সাসপেক্ট’ গিরীশ মহাপত্রের বিচিত্র পোশাক পরিচ্ছদ দেখে অপূর্ব হাসি গোপন করেছিল।

৭। “পুলিশ স্টেশনে প্রবেশ করিয়া দেখা গেল,” – কে কী দেখল?
উত্তর – পুলিশ স্টেশনে প্রবেশ করে অপূর্ব দেখেছিল যে – সামনের হলঘরে জন – ছয়েক বাঙালি মোট – ঘাট নিয়ে বসে আছে এবং জগদীশবাবু তাদের মালপত্র খুলে তদারক করা শুরু করেছেন। ’

৮। “তা হতে পারে, কিন্তু এই জানোয়ারটাকে ওয়াচ করবার দরকার নেই বড়োবাবু।” – কথাটি কে বলেছে?
উত্তর – এই কথাটি বলেছেন জগদীশবাবু।

৯। “নিমাইবাবু চুপ করিয়া রহিলেন।” – নিমাইবাবু কেন চুপ করে থাকলেন?
উত্তর – অপূর্ব গিরীশ মহাপাত্রের পোষক – পরিচ্ছদ দেখে তাকে ছেড়ে দেবার জন্য নিমাইবাবুকে অনুরোধ করেছিলেন, এর প্রত্যুতরে নিমাইবাবু চুপ করেছিলেন।

১০। গিরীশ মহাপাত্রের বুক পকেটে কী ছিল?
উত্তর – গিরীশ মহাপাত্রের বুক পকেটে একটি বাঘ – আঁকা রুমাল ছিল।


দেখে নাও পথের দাবী গল্পের প্রশ্ন উত্তর আলোচনা↓


১১। “অপূর্ব মুগ্ধ হইয়া সেইদিকে চাহিয়া ছিল” – কোন্‌দিকে চেয়েছিল?
উত্তর – গিরীশ মহাপাত্রের পোষক – পরিচ্ছদ হাস্যকর হলেও, তার চোখের দীপ্ততা ছিল উজ্জ্বল ও গভীর, অপূর্ব মুগ্ধ হয়ে তাই লক্ষ্য করছিল।

১২। “তবে এ বস্তুটি পকেটে কেন? কোন্‌ ‘বস্তুটি’ পকেটে ছিল?
উত্তর – ‘এ বস্তুটি’ বলতে গাঁজার কলকের কথা বলা হয়েছে।

১৩। “জগদীশবাবু চটিয়া উঠিয়া কহিলেন, দয়ার সাগর!” – জগদীশবাবু কাকে, কেন ‘দয়ার সাগর’ বলেছেন?
উত্তর – গিরীশ মহাপাত্র বলেন যে তিনি নিজে গাঁজা খাননা, ‘তবে ইয়ার বন্ধু কেউ তৈরি করে দিতে বললে দিই’; এই কথা শুনে জগদীশ বাবু চটে গিয়ে গিরীশ মহাপাত্র-কে ‘দয়ার সাগর’ বলেন।

১৪। “লোকটি কাশিতে কাশিতে আসিল” – লোকটি কে?
উত্তর – লোকটি হল ‘পোলিটিক্যাল সাসপেক্ট’ গিরীশ মহাপাত্র।

১৫। “আজ বাড়ি থেকে কোনো চিঠি পেয়েছেন নাকি?” তলওয়ারকরএ প্রশ্ন করেছিল কেন?
উত্তর – পুলিশ ষ্টেশন থেকে বাড়ি ফেরার পর চিন্তামগ্ন এবং অন্যমনস্ক অপূর্বকে দেখে তলওয়ারকর এই প্রশ্ন করেছিল।


আরো পড়ো → বংশগতি অধ্যায়ের প্রশ্ন উত্তর আলোচনা

ব্যাখ্যাভিত্তিক সংক্ষিপ্ত উত্তর ভিত্তিক প্রশ্ন (SAQ)

[প্রতিটি প্রশ্নের প্রশ্নমান ৩]

১। “বুড়ো মানুষটির কথা শুনো” – এখানে বুড়ো মানুষটি কে? তিনি কাকে কোন কথা শুনতে অনুরোধ করেছেন?

উত্তর – আলচ্য উক্তিটি শরৎচন্দ্র চট্টোপাধ্যায় রচিত ‘পথের দাবী’ পাঠ্যাংশে পুলিশের উচ্চপদস্ত কর্মচারি নিমাইবাবু করেছেন।

‘পোলিটিক্যাল সাসপেক্ট’ সব্যসাচী মল্লিক অনুমান করে রেঙ্গুনের পুলিশ স্টেশনে গিরীশ মহাপাত্রকে জিজ্ঞাসাবাদ চলছিল। সেই সময় তার বিচিত্র সাজ-পোশাকের মধ্য থেকে পাওয়া যায় একটি গাঁজার কলকে। গিরীশ মহাপাত্র গাঁজা সেবন করার কথা অস্বীকার করলেও, তার রুগ্ন চেহারায় নিয়মিত গাঁজা সেবনের স্পষ্ট ছাপ লক্ষ্য করেন নিমাইবাবু। এই প্রসঙ্গেই গিরীশ মহাপাত্রের স্বাস্থ্য চিন্তা করে নিমাইবাবু তাকে গাঁজা সেবন না করতে অনুরোধ করেন।

২।“কেবল আশ্চর্য সেই রোগা মুখের অদ্ভুদ দুটি চোখের দৃষ্টি” – কার চোখের কথা বলে হয়েছে? সে চোখের বর্ণনা দাও।

উত্তর – আলোচ্য উক্তিটি শরৎচন্দ্র চট্টোপাধ্যায় রচিত ‘পথের দাবী’ পাঠ্যাংশের অন্তর্গত চরিত্র অপূর্বের। এই উক্তিটি গিরীশ মহাপাত্রের উদ্দেশ্যে করা হয়েছে।

গিরীশ মহাপাত্রের পোষাক – পরিচ্ছদ বেমানান এবং তার স্বাস্থ্য রুগ্ন হলেও, তার চোখের দৃষ্টি ছিল দিপ্তময়। গভীর জলাশয়ের মতো গভীর দৃষ্টি, তাকে অন্য মানুষের থেকে আলাদা করে দিয়েছিল। ঐ দুটি চোখের কোনো অতল তলে তার ক্ষীণ প্রাণশক্তিটুকু লুকানো আছে, মৃত্যুও সেখানে প্রবেশ করতে সাহস করে না। কেবল এই জন্যই যেন সে আজও বেঁচে আছে। অপূর্ব ঐ চোখের দৃষ্টি দেখে মুগ্ধ হয়ে যায়।

৩। “আমি ভীরু, কিন্তু তাই বলে অবিচারে দণ্ডভোগ করার অপমান আমাকে কম বাজে না”- বক্তা কাকে এ কথা বলেছিলেন? কোন অবিচারের দন্ডভোগ তাঁকে ব্যাথিত করেছিল?

উত্তর – আলোচ্য উক্তিটি শরৎচন্দ্র চট্টোপাধ্যায় রচিত ‘পথের দাবী’ পাঠ্যাংশের অন্তর্গত চরিত্র অপূর্বের। অপূর্ব এই কথাটি তার বন্ধু রামদাস তলওয়ারকরের উদ্দেশ্যে বলেছিল।

কোনো এক সময়, অপূর্ব রেল ষ্টেশনে ফিরিঙ্গি ছেলের দলের কাছে লাঞ্চিত হয়। তারা তাকে বিনা কারণে লাথি মেরে প্ল্যাটফর্মের বাইরে বের করে দেয়। এই ঘটনাটি সম্পর্কে ষ্টেশন মাস্টারের কাছে অপূর্ব অভিযোগ জানাতে গেলে বিদেশী ষ্টেশন মাস্টার, কেবল মাত্র দেশীয় হবার অপরাধে অপূর্বকে কুকুরের মতো তাড়িয়ে দেয়। বিনাদোষে এই অবিচারের দণ্ডভোগ অপূর্বকে ব্যাথিত করেছিল।


মাধ্যমিকে নম্বর বাড়াবার সেরা উপায় ↓


৪। বাবাই একদিন এর চাকরি করে দিয়েছিলেন। বক্তা কে? তাঁর বাবা কাকে, কি চাকরি করে দিয়েছিলেন? (মাধ্যমিক ১৮)

উত্তর – আলোচ্য উক্তিটি শরৎচন্দ্র চট্টোপাধ্যায় রচিত ‘পথের দাবী’ পাঠ্যাংশের অন্তর্গত চরিত্র অপূর্বের।
অপূর্বের বাবা পুলিশের বড় কর্তা নিমাইবাবুকে, পুলিশের চাকরী পাইয়ে দিয়েছিলেন।

৫।‘তার লাঞ্চনা এই কালো চামড়ার নীচে কম জ্বলে না’ কে কাকে, কোন লাঞ্চনা করেছিল?

উত্তর – আলোচ্য উক্তিটি শরৎচন্দ্র চট্টোপাধ্যায় রচিত ‘পথের দাবী’ পাঠ্যাংশের অন্তর্গত চরিত্র অপূর্বের। অপূর্ব তার বন্ধু ও সহকর্মী রামদাস তলওয়ারকর-কে তার সাথে ঘটে যাওয়া একটি ঘটনার কথা বলে।

কোনো এক সময়, অপূর্ব রেল ষ্টেশনে ফিরিঙ্গি ছেলের দলের কাছে লাঞ্চিত হয়। তারা তাকে বিনা কারণে লাথি মেরে প্ল্যাটফর্মের বাইরে বের করে দেয়। এই ঘটনাটি সম্পর্কে ষ্টেশন মাস্টারের কাছে অপূর্ব অভিযোগ জানাতে গেলে বিদেশী ষ্টেশন মাস্টার, কেবল মাত্র দেশীয় হবার অপরাধে অপূর্বকে কুকুরের মতো তাড়িয়ে দেয়। এই সমগ্র ঘটনায় অপূর্বর কোন দোষ ছিল না, কেবলমাত্র পরাধীন ভারতের নাগরিক হওয়ার কারণে এবং তার সাথে যারা অন্যায় করে তারা শাসক ইংরেজ হবার কারণে কোনরূপ বিচার না করে, তাকে লাঞ্ছিত করে তাড়িয়ে দেওয়া হয়। সবচেয়ে বড় কথা, সেখানে উপস্থিত সকল সহনাগরিক এই অন্যায়ের কোনরূপ প্রতিবাদ করে না।

৬। “তিনি ঢের বেশি আমার আপনার” – কে, কাকে, কেন ঢের বেশি’ আপনার বলে মনে করে?

উত্তর – আলোচ্য উক্তিটি শরৎচন্দ্র চট্টোপাধ্যায় রচিত ‘পথের দাবী’ রচনাংশের প্রধান চরিত্র অপূর্ব করেছেন।
এই উক্তিটি সব্যসাচী মল্লিকের উদ্দেশ্যে করা হয়েছে।

সব্যসাচী মল্লিক একজন বিপ্লবী, তিনি পরাধীন দেশমাতৃকার যন্ত্রণা লাঘবের জন্য নিজেকে সমর্পণ করেছেন। তাঁকে দেশের পুলিশ ‘শিকারের’ মতো সন্ধান করে বেড়াচ্ছে। পরাধীন ভারতের আর এক সন্তান অপূর্বর প্রাণ, এই বিপ্লবী সন্তানের জন্য কাঁদে। তাই অপূর্বর পরিচিত পুলিশের কর্তার থেকে তথাকথিত ‘দেশদ্রোহী’ সব্যসাচী মল্লিককে ‘ঢের বেশি আমার আপনার’ বলে মনে হয়।


পড়া মনে রাখার সেরা উপায়! ↓

WBP-to-the-point-banner-v1


 

রচনাধর্মী উত্তর ভিত্তিক প্রশ্ন (LA)

[প্রতিটি প্রশ্নের প্রশ্নমান ৫]

১। পোলিটিক্যাল সাসপেক্ট সব্যসাচী মল্লিককে নিমাইবাবুর সম্মুখে হাজির করা হইল।– পথের দাবী পাঠ্যাংশে সব্যসাচী মল্লিক সম্পর্কে কি জানা যায়? তাঁকে জিজ্ঞাসাবাদের সময় কি পরিস্থিতি তৈরি হয়?

উত্তর -আলোচ্য পাঠ্যাংশে সব্যসাচী মল্লিক সম্পর্কে আমরা জানতে পারি যে, তিনি বিজ্ঞান এবং চিকিৎসাশাস্ত্রে অসাধারণ পারদর্শী একজন বিলাতের ডাক্তার উপাধিধারী রাজশত্রু। তার শিক্ষা – রুচি, স্বাস্থ্য, বল – বীর্য সম্পূর্ণভাবে গিরীশ মহাপাত্রের বিপরীত।

পাঠ্যাংশের শুরুতেই আমরা জানতে পারি যে, পোলিটিক্যাল সাসপেক্ট সব্যসাচী মল্লিক সন্দেহে গিরীশ মহাপাত্রকে জিজ্ঞাসাবাদ করা হচ্ছে। গিরীশ মহাপাত্রের স্বাস্থ্য রুগ্ন, তার পোশাক – পরিচ্ছদ হাস্যকর এবং তার কথাবার্তা অসংলগ্ন। তার পকেট অনুসন্ধান করে একটি টাকা ও গণ্ডা ছয়েক পয়সা, কাঠের ফুটরুল, কয়েকটি বিড়ি ও দেশলাই এবং একটি গাঁজার কলকে পাওয়া যায়। এই গাঁজার কলকে নিয়ে একটি মজার পরিস্থিতি উপস্থিত হয়। গিরীশ মহাপাত্রের শরীরে নিয়মিত গাঁজা সেবনের সকল লক্ষণ উপস্থিত থাকলেও, সে কিন্তু নিজে গাঁজা সেবন করার কথা স্বীকার করে না। সে বলে যে ‘ইয়ার বন্ধু কেউ তৈরি করে দিতে বললে দিই – এই মাত্র! নইলে নিজে খাইনে’।

তার এই কথা শুনে পুলিশের কর্তা জগদীশবাবু রেগে যান এবং তাকে ‘মিথ্যাবাদী’ বলেন। পুলিশের আরেক বড়কর্তা গিরীশ মহাপাত্রকে গাঁজা না খাবার উপদেশ দেন। অবশেষে সবদিক বিচার করে, সব্যসাচী মল্লিকের স্বভাব, চরিত্র, স্বাস্থ্য, বুদ্ধি এবং ‘কালচারের’ সাথে কোনরূপ মিল না পেয়ে পুলিশের কর্তারা গিরীশ মহাপাত্রকে ছেড়ে দেন।


বিনামূল্যে পড়ে নাও → মাধ্যমিকের সব বিষয়ের প্রশ্ন উত্তর আলোচনা

২। বাবুটির স্বাস্থ্য গেছে, কিন্তু শখ ষোলআনাই বজায় আছে। বাবুটি কে? তাঁর সাজসজ্জার পরিচয় দাও। (মাধ্যমিক ১৭)

উত্তর – আলোচ্য উক্তিটি শরৎচন্দ্র চট্টোপাধ্যায় রচিত ‘পথের দাবী’ পাঠ্যাংশের অন্তর্গত চরিত্র ‘পোলিটিক্যাল সাসপেক্ট’ সব্যসাচী মল্লিক ওরফে গিরীশ মহাপাত্র সম্পর্কে বলা হয়েছে।

পাঠ্যাংশের অন্যতম চরিত্র অপূর্ব পুলিশ ষ্টেশনে গিরীশ মহাপাত্রের সন্ধান পায়। গিরীশ মহাপাত্রের স্বাস্থ্য রুগ্ন হলেও, পোশাক পরিচ্ছদ ছিল হাস্যকর। তার মাথার সামনে বড়ো, বড়ো চুল কিন্তু ঘাড় ও কানের দিকে চুল নেই বললেই চলে। তার মাথায় চেরা সিঁথি, ‘চুল অপর্যাপ্ত তৈলনিসিক্ত, কঠিন, রুগ্ন’, চুল থেকে আসা নেবুর তেলের গন্ধে চারদিক ভরে উঠছে। গিরীশ মহাপাত্রের গায়ে জাপানি সিল্কের রামধনু রঙের চুড়িদার পাঞ্জাবি, তার বুক – পকেট থেকে বাঘ – আঁকা একটা রুমানের কিছুটা অংশ দেখে যাচ্ছে, কোন উত্তরীয় নেই। তার পরনে বিলিতি মিলের কালো মকমল পাড়ের সুক্ষ শাড়ি, পায়ে সবুজ রঙের ফুল মোজা – তা হাঁটুর উপর লাল ফিতে দিয়ে বাঁধা, বার্নিস করা পাম্প শু, তার তলাটা মজবুত এবং টেকসই করার জন্য আগাগোড়া লোহার নাল বাঁধানো, হাতে একগাছি হরিণের শিঙের হাতল দেওয়া বেতের ছড়ি। কয়েকদিনের জাহজের ধকলের ফলে সমগ্র পোশাক – পরিচ্ছদ নোংরা হয়ে গেছে।

সামগ্রিক ভাবে বলা যায় যে গিরীশ মহাপাত্র ভগ্ন স্বাস্থ্যের অধিকারি হলেও, তার পোষাক দেখে তার অতি শৌখিন শখের কথা স্পষ্ট বোঝা যায়।

৩। “যাকে খুঁজছেন তার কালচারের কথাটা একবার ভেবে দেখুন” – কাকে খোঁজার কথা বলা হয়েছে? যাকে থানায় আনা হয়েছিল তার কালচারের পরিচয় দাও। (১+৪)

উত্তর – আলোচ্য উক্তিটি শরৎচন্দ্র চট্টোপাধ্যায় রচিত ‘পথের দাবী’ রচনাংশ থেকে গৃহীত হয়েছে। এই উক্তিটি রচনাংশের প্রধান চরিত্র অপূর্ব করেছেন।

সব্যসাচী মল্লিক বিজ্ঞান ও চিকিৎসাশাস্ত্রে অসাধারণ পারদর্শী ও বিলাতের ডাক্তার উপাধিধারী। তিনি একজন বিপ্লবী অর্থাৎ রাজশত্রু। তাই বিপ্লবী সব্যসাচী মল্লিককে পরাধীন ভারতের পুলিশ হন্য হয়ে খুঁজছে।

নিজের কাজে রেঙ্গুনের পুলিশ ষ্টেশনে এসে অপূর্ব দেখতে পায় যে পুলিশের লোক ‘পোলিটিক্যাল সাসপেক্ট সব্যসাচী মল্লিক’ সন্দেহে গিরীশ মহাপাত্রকে গ্রেফতার করে এনেছে। ভগ্ন স্বাস্থ্য গিরীশ মহাপাত্রের বয়স ত্রিশ অথবা বত্রিশের বেশি না হলেও তার চেহারা ছিল রোগা, দেখে মনে হয় যেন তিনি দুরারগ্য কোন ব্যাধিতে আক্রান্ত্য হয়েছেন এবং পৃথিবীতে তার মেয়াদ খুব বেশি দিনের নয়। তার সাজ – পোশাক ছিল আরো অদ্ভুদ। ঘাড়ের ও কানের কাছে চুল ছোট করে ছাঁটা হলেও মাথার সামনের অংশে বড়ো বড়ো চুল ছিল। এই রুগ্ন প্রকৃতির চুল থেকে ভয়ংকর রকমের তীব্র লেবু তেলের গন্ধ বার হচ্ছিল। তিনি একটি জাপানি সিল্কের রামধনু রঙের চুড়িদার পাঞ্জাবি পরেছিলেন, তার সামনের বুক – পকেট থেকে বাঘ আঁকা একটি রুমাল বেরিয়েছিল। তার পরনে ছিল বিলাতি মিলের  কালো মকমল পাড়ের সূক্ষ্ম শাড়ি এবং হাঁটুর উপর সুতো দিয়ে বাঁধা সবুজ ফুল মোজার সাথে বার্নিশ করা পাম্প শু; যার তলাটা মজবুত ও টিকসই করার উদ্দেশ্যে লোহার নাল দিয়ে বাধানো ছিল। বাহারের শ্রীবৃদ্ধি করার জন্য তার হাতে ছিল একগাছি হরিণের শিঙের হাতল দেওয়া বেতের ছড়ি।

গিরীশ মহাপাত্রের এইরুপ অদ্ভুত সাজ- পোশাক এবং জীর্ণ স্বাস্থ্য দশার সাথে সব্যসাচী মল্লিকের কোনরূপ মিল না থাকার কারণে অপূর্ব আলোচ্য উক্তিটি করেছিলেন।

আরো পড়ো → সংঘবদ্ধতার গোড়ার কথা প্রশ্ন উত্তর

WBPorashona.com-এর পোস্ট আপডেট নিয়মিত পাবার জন্য –


আমাদের কাজ থেকে উপকৃত হলে এই লেখাটি বন্ধুদের সাথে শেয়ার করার অনুরোধ রইল।

পড়া মনে রাখার সেরা উপায় 👇

wb-porashona-to-the-point-ebook