শ্রেণি – নবম | বিভাগ – ভূগোল | অধ্যায় – ভূমিরূপ গঠনকারী প্রক্রিয়া ও পৃথিবীর বিভিন্ন ভূমিরূপ |Bhumirup Gothonkari Prokriya O Prithibir Bibhinno Bhumirup (Chapter 4)
এই পর্বে রইল নবম শ্রেণির ভূগোল বিভাগের চতুর্থ অধ্যায় – প্রাকৃতিক ভূগোল – থেকে ভূমিরূপ গঠনকারী প্রক্রিয়া ও পৃথিবীর বিভিন্ন ভূমিরূপ সংক্রান্ত সম্পূর্ণ প্রশ্ন উত্তর আলোচনা।
Table of Contents
সঠিক উত্তর নির্বাচন কর (MCQ)
[প্রতিটি প্রশ্নের প্রশ্নমান ১]
1। ভারতে অবস্থিত একটি ক্ষয়জাত মালভূমির উদাহরণ হল-
a) দাক্ষিণাত্য b) ছোটোনাগপুর c) তিব্বত d) মালব মালভূমি
উত্তর- ভারতে অবস্থিত একটি ক্ষয়জাত মালভূমির উদাহরণ হল- b) ছোটোনাগপুর।
2। একটি মহাদেশীয় ও একটি মহাসাগরীয় পাত সংঘর্ষে লিপ্ত হলে সেই সীমানাকে বলে-
a) মহাদেশীয়- মহাদেশীয় অভিসারী পাত সীমানা
b) মহাদেশীয়- মহাসাগরীয় অভিসারী পাত সীমানা
c) মহাসাগরীয়- মহাসাগরীয় অভিসারী পাত সীমানা
d) মহাদেশীয় – মহাসাগরীয় অপসারী পাত সীমানা
উত্তর- একটি মহাদেশীয় ও একটি মহাসাগরীয় পাত সংঘর্ষে লিপ্ত হলে সেই সীমানাকে বলে- b) মহাদেশীয়- মহাসাগরীয় অভিসারী পাত সীমানা।
3। ভারতের একটি উচ্চ মালভূমি হল –
a) লাদাখ b) ছোটোনাগপুর c) মালব d) দাক্ষিণাত্য
উত্তর- ভারতের একটি উচ্চ মালভূমি হল -a) লাদাখ।
4। বিদার অগ্ন্যুদ্গমের মাধ্যমে সৃষ্ট ভূমিরূপ হল –
a) স্তূপ পর্বত b) লাভা মালভূমি c) পর্বতবেষ্টিত মালভূমি d) আগ্নেয়গিরি
উত্তর- বিদার অগ্ন্যুদ্গমের মাধ্যমে সৃষ্ট ভূমিরূপ হল – b) লাভা মালভূমি।
5। ঠিক জোড়টি নির্বাচন করো –
a) ভঙ্গিল পর্বত- ব্যারেন b) স্তূপ পর্বত- হিমালয় c) আগ্নেয় পর্বত – সাতপুরা d) ক্ষয়জাত পর্বত- আরাবল্লী
উত্তর- ঠিক জোড়টি নির্বাচন করো – d) ক্ষয়জাত পর্বত- আরাবল্লী।
6। ভূ আলোড়ন ভূপৃষ্ঠে অনুভূমিকভাবে কাজ করলে সৃষ্টি হয়-
a) স্তূপ পর্বত b) ভঙ্গিল পর্বত c) গ্রস্ত উপত্যকা d) মহাদেশ
উত্তর- ভূ আলোড়ন ভূপৃষ্ঠে অনুভূমিকভাবে কাজ করলে সৃষ্টি হয়- b) ভঙ্গিল পর্বত।
আরো পড়ো → শিল্প বিপ্লব উপনিবেশবাদ ও সাম্রাজ্যবাদ প্রশ্ন উত্তর আলোচনা
অতি সংক্ষিপ্ত প্রশ্ন (VSAQ)
[প্রতিটি প্রশ্নের প্রশ্নমান ১]
1। একটি পর্বতবেষ্টিত মালভূমির নাম লেখো।
উত্তর- একটি পর্বতবেষ্টিত মালভূমির নাম হল তিব্বত মালভূমি।
2। হিমালয় পর্বত কোন্ অগভীর সমুদ্র থেকে উৎপত্তি লাভ করেছে?
উত্তর- হিমালয় পর্বত টেথিস অগভীর সমুদ্র থেকে উৎপত্তি লাভ করেছে।
3। ভারতের অবস্থিত একটি গ্রস্ত উপত্যকার উদাহরণ লেখো।
উত্তর- ভারতের অবস্থিত একটি গ্রস্ত উপত্যকার উদাহরণ হল নর্মদা নদীর উপত্যকা।
4। চ্যুতি কাকে বলে?
উত্তর- ভূত্বকে সৃষ্ট ফাটল বরাবর শিলাস্তূপের সরণ ঘটলে তাকে চ্যুতি বলে।
5। মধ্য আটলান্টিক শৈলশিরা কোথায় অবস্থিত?
উত্তর- মধ্য আটলান্টিক শৈলশিরা আলান্টিক মহাসাগরে অবস্থিত।
6| পেডিমেন্ট কি?
উত্তর – মরু অঞ্চলে বায়ু ও জলধারার মিলিত ক্ষয়কাজের ফলে উচ্চভূমির পাদদেশে সৃষ্ট সমভূমিই হল পেডিমেন্ট।
7| পৃথিবীর বৃহত্তম নদী অববাহিকার সমভূমি কোনটি?
উত্তর – পৃথিবীর বৃহত্তম নদী অববাহিকার সমভূমি হল চিনের হোয়াংহো নদী অববাহিকার লোয়েস সমভূমি।
8| গিরিজনি আলোড়ন কাকে বলে?
উত্তর – যে ভূ-আলোড়ন কোমল পাললিক শিলায় ভাঁজ সৃষ্টি করে পর্বত গঠনে সাহায্য করে, তাকে গিরিজনি আলোড়ন বলে।
9| পৃথিবীর দীর্ঘতম ভঙ্গিল পর্বত কোনটি?
উত্তর – পৃথিবীর দীর্ঘতম ভঙ্গিল পর্বত হল আন্দিজ পর্বত।
10| ভূমধ্যসাগরের আলোক স্তম্ভ কোন আগ্নেয় পর্বতকে বলে?
উত্তর – ভূমধ্যসাগরের আলোক স্তম্ভ লিপারি দ্বীপের স্ট্রম্বোলি আগ্নেয় পর্বতকে বলে।
11| চ্যুতি মধ্যবর্তী ভূখণ্ডের উত্থান কি পর্বতের সৃষ্টি করে?
উত্তর – চ্যুতি মধ্যবর্তী ভূখণ্ডের উত্থান স্তুপ পর্বতের সৃষ্টি করে।
12| একটি সক্রিয় আগ্নেয়গিরির নাম লেখ।
উত্তর – একটি সক্রিয় আগ্নেয়গিরির নাম হল ইকুয়েডরের কটোপ্যাক্সি।
13| ভারতের একটি ‘হোর্স্ট’ জাতীয় পর্বতের নাম লেখ।
উত্তর – ভারতের একটি ‘হোর্স্ট’ জাতীয় পর্বত হল সাতপুরা পর্বত।
14| কোন মালভূমিকে ভারতের খনিজ ভান্ডার বলে?
উত্তর – ছোটোনাগপুর মালভূমিকে ভারতের খনিজ ভান্ডার বলা হয়।
15| ইউরোপের একটি স্তুপ পর্বতের নাম লেখ।
উত্তর – ইউরোপের একটি স্তুপ পর্বত হল জার্মানির ব্ল্যাক ফরেস্ট পর্বত।
আরো পড়ো → আকাশে সাতটি তারা প্রশ্ন ও উত্তর
সংক্ষিপ্ত উত্তরভিত্তিক প্রশ্ন (SAQ)
[প্রতিটি প্রশ্নের প্রশ্নমান ২]
1। ভাঁজ কাকে বলে?
উত্তর- প্রবল গিরিজনি ভূ-আলোড়নের বা পার্শ্বচাপের ফলে ভূপৃষ্ঠের পাললিক শিলাস্তরে যে একাধিক তরঙ্গের মত বাঁকের সৃষ্টি হয় তাকেই ভাঁজ বলে। গিরিজনি আলোড়ন পৃথিবী পৃষ্ঠের সঙ্গে আড়াআড়ি কাজ করে থাকে।
2। অন্তর্জাত ও বহির্জাত প্রক্রিয়ার মধ্যে সম্পর্ক উল্লেখ করো।
উত্তর- পৃথিবীর অন্তর্জাত ও বহির্জাত শক্তির মাধ্যমে ভৌত ও রাসায়নিক প্রক্রিয়ায় ভূমিরূপের বিবর্তন ও পরিবর্তনের ফলাফল হল ভূমিরূপ গঠনকারী প্রক্রিয়া। সামগ্রিকভাবে অন্তর্জাত ও বহির্জাত প্রক্রিয়ার মিলিত ক্ষয় ও সঞ্চয় কাজের ফলে পৃথিবীর অভ্যন্তরভাগ ও বহির্ভাগে ভূমিরূপের পরিবর্তন ও গঠন হয়ে থাকে।
3। পর্বতের দুটি বৈশিষ্ট্য উল্লেখ করো।
উত্তর- পর্বতের উচ্চতা ৯০০ মিটারের বেশি এবং ঢাল খুব খাড়া হয়।
পর্বত সাধারণত শৃঙ্গবিশিষ্ট হয়, এদের পর্বতশৃঙ্গ বলে, অধিক উচ্চতায় অবস্থিত হওয়ার জন্য পর্বতশৃঙ্গ বরফে ঢাকা থাকে।
4। আগ্নেয় পর্বতের দুটি বৈশিষ্ট্য উল্লেখ করো।
উত্তর- ভূগর্ভের অতি উত্তপ্ত ম্যাগমা লাভা রূপে ভূপৃষ্ঠে সঞ্চিত হয়ে আগ্নেয় পর্বতের সৃষ্টি হয়।
আগ্নেয় পর্বতের উৎপত্তির সঙ্গে ভূ-আভ্যন্তরীণ শক্তির সম্পর্ক আছে।
5। ভূগাঠনিক সমভূমি কয়প্রকার ও কি কি?
উত্তর- ভূ-আন্দোলনের ফলে উঁচু স্থান নিচু হয়ে কিংবা নিচু স্থান উঁচু হয়ে সমভূমির সৃষ্টি হলে তাকে বলা হয় ভূ-গাঠনিক সমভূমি। এটি দুইপ্রকার যথা – ক) উন্নত সমভূমি খ) অবনত সমভূমি।
6। পাত কি?
উত্তর- পৃথিবীর অভ্যন্তরে গুরুমন্ডলে অ্যাসথেনোস্ফিয়ারে ভাসমান কতকগুলি অবনমিত কঠিন খন্ডাকৃতি অংশগুলি ঊর্ধ্বমুখী পরিচলন স্রোতের প্রভাবে চলমান তাকে পাত বলে।
7। পর্যায়ন কাকে বলে?
উত্তর- বহির্জাত শক্তির দ্বারা ক্ষয়, বহন ও সঞ্চয় কাজের মাধ্যমে উঁচুনিচু ভূভাগকে অর্থাৎ ভূমির উপরিভাগের সমতলীকরণ প্রক্রিয়াকে পর্যায়ন বলে। এখানে সাধারণ তল বা পৃষ্ঠ বলতে ক্ষয়ের শেষ সীমাকে বোঝায়।
আরো পড়ো→ হিমালয় দর্শন প্রশ্ন উত্তর আলোচনা
সংক্ষিপ্ত ব্যাখামূলক উত্তরভিত্তিক প্রশ্ন (SAQ)
[প্রতিটি প্রশ্নের প্রশ্নমান ৩]
1। ‘পৃথিবীর বেশিরভাগ মানুষ সমভূমি অঞ্চলে বসবাস করেন’ – ভৌগলিক কারণ ব্যাখ্যা করো।
উত্তর- পৃথিবীর অধিকাংশ সমভূমি নদীর পলি সঞ্চয়ের ফলে গড়ে ওঠায়, সমভূমি অঞ্চলগুলি উর্বর এবং কৃষিকাজের উপযুক্ত।
ভূমিরূপের প্রকৃতি সমতল হওয়ায় যে কোনরকম পরিবহন ব্যবস্থা খুব সহজেই সমতলভূমিতে গড়ে ওঠে। এরফলে যোগাযোগের কাজও দ্রুত হয়ে থাকে।
কৃষি ও খনিজ সম্পদের সমৃদ্ধ অঞ্চলের উন্নত পরিকাঠামো তৈরি হয়ে থাকে সমভূমি অঞ্চলে, ফলে শিল্পের বিস্তার হয়।
উপরিক্ত কারণগুলির জন্য বসবাস্, জীবিকা নির্বাহ সবক্ষেত্রেই সমভূমি অঞ্চলগুলিতে পৃথিবীর বেশিরভাগ মানুষ বসবাস করেন।
2। প্রশান্ত মহাসাগরীয় আগ্নেয় মেখলা কিভাবে তৈরি হয়েছে?
উত্তর- প্রশান্ত মহাসাগরকে বেষ্টন করে মহাদেশগুলির প্রান্তভাগে বলয়ের আকারে অসংখ্য আগ্নেয়গিরি রয়েছে, তাকেই বলা হয় প্রশান্ত মহাসাগরীয় আগ্নেয় মেখলা। এই আগ্নেয় বলয়টি প্রশান্ত মহাসাগরীয় পাত, পশ্চিমদিকে ইউরেশিয় পাত ও পূর্বদিকে আমেরিকান পাতের সীমানা বরাবর অবস্থিত। এই অভিসারী পাত সীমানায় অপেক্ষাকৃত ভারী প্রশান্ত মহাসাগরীয় পাতটি হালকা ইউরেশিয় ও আমেরিকান পাতের নীচে নিমজ্জিত হলে, প্রশান্ত মহাসাগরীয় পাতটি নীচে গুরুমন্ডলের তাপের সংস্পর্শে এসে গলে ম্যাগমায় পরিণত হয় এবং ওই দুটি পাতের সংযোগস্থলের দ্রবল অংশ দিয়ে বাইরে নির্গত হয়ে আগ্নেয়গিরির সৃষ্টি করে। এইভাবে প্রশান্ত মহাসাগরে বলয়ের আকারে আগ্নেয় দ্বীপপুঞ্জটির সৃষ্টি হয়েছে।
3। ‘নবীন ভঙ্গিল পার্বত্য অঞ্চল ভূমিকম্পপ্রবণ’ – ব্যাখ্যা দাও।
উত্তর- পৃথিবীর অধিকাংশ ভঙ্গিল পর্বত অভিসারী পাত সীমানায় মহাদেশীয় পাতের সংঘর্ষে সৃষ্টি হয়েছে। প্রায় ৪ থেকে ৭ কোটি বছর আগে টারসিয়ারি যুগের শেষদিকে যে ভঙ্গিল পর্বতগুলির সৃষ্টি হয়েছে, ভূতাত্ত্বিক সময়ের বিচারে সেগুলি অত্যন্ত নবীন। এই নবীন ভঙ্গিল পর্বতগুলির গঠনকাজ এখনো চলছে। সক্রিয় পাতসীমানায় অবস্থিত হওয়ায় নবীন ভঙ্গিল পার্বত্য অঞ্চলে বারবার ভূমিকম্প হয়ে থাকে। হিমালয়, আল্পস, রকি প্রভৃতি নবীন ভঙ্গিল পর্বতের উদাহরণ।
4। অভিসারী পাত সীমানায় ভূমিকম্প হয় কেন?
উত্তর- ভূত্বকের পাতগুলি পরস্পর অভিমুখী হয়ে থাকলে, তাকে অভিসারী পাত সীমানা বলে। এই পাত সীমান্তের ক্ষেত্রে, মহাসাগরীয় ও মহাদেশীয় পাত পরস্পর অভিমুখী চলনের ফলে ভারী মহাসাগরীয় পাত মহাদেশীয় পাতের নীচে নিমজ্জিত হয়, এরফলে গভীর সামুদ্রিক খাতের সৃষ্টি হয়। এই নিমজ্জিত পাতের কিছু অংশ অ্যাসথেনোস্ফিয়ারে গলে গিয়ে, অভিসারী পাত সীমানা বরাবর ভূত্বকের বাইরে বেরিয়ে আসে। এই নিমজ্জিত পাত সীমানায় একাধিক আগ্নেয়গিরি ও আগ্নেয় দ্বীপের সৃষ্টি হয়। ভূত্বকের এঈ অংশ ও অস্থিত থাকায় প্রায়ই এই অঞ্চলে ভূমিকম্প ও ভূআলোড়ন হয়।
5। পাত গাঠনিক তত্ত্ব অনুসারে ভঙ্গিল পর্বতের উৎপত্তি আলোচনা কর।
উত্তর- অভিসারী পাত সীমানায় দুটি মহাদেশীয় পাত পস্পরের দিকে এগোলে, সংঘর্ষের ফলে ভঙ্গিল পর্বতে সৃষ্টি হয়। পাত সঞ্চালন তত্ত্ব অনুসারে ভূত্বক কয়েকটি গতিশীল পাতের সমন্বয়ে গঠিত। এই পাতগুলি ভূগর্ভে গুরুমণ্ডলে অ্যাসথেনোস্ফিয়ারের উপর গতিশীল অবস্থায় থাকে। ভূত্বকের একটি গতিশীল পাত যখন ওপর একটি পাতের মুখোমুখি আসে তখন সেই সংযোগস্থলে প্রবল চাপের সৃষ্টি হয়। এই অবস্থায় গতিশীল দুটি পাতের মধ্যবর্তী অগভীর খাতে সঞ্চিত পলিস্তরে প্রবল পার্শ্বচাপের ফলে ভাঁজ পরে। ক্রমাগত ভাঁজগুলো বড় ও উঁচু হয়ে পরস্পরের কাছে এসে ভঙ্গিল পর্বতের সৃষ্টি করে।
আরো পড়ো → বাস্তব সংখ্যার গাণিতিক সমস্যার সমাধান
দীর্ঘ উত্তরধর্মী প্রশ্ন (LA)
[প্রতিটি প্রশ্নের প্রশ্নমান ৫]
1। মহীখাত তত্ত্ব অনুসারে হিমালয় পর্বতের উৎপত্তি ব্যাখ্যা কর।
উত্তর- মহীখাত তত্ত্বটির প্রবক্তা হলেন বিজ্ঞানী কোবার। এই তত্ত্ব অনুসারে, বর্তমানে যেখানে হিমালয়ের অবস্থান সেখানে বহু কোটি বছর আগে একটি অগভীর সাগর বা মহীখাত বা জিওসিনক্লাইন ছিল, যার নাম টেথিস সাগর বা টেথিস মহীখাত।
টেথিস সাগরের উত্তরে ও দক্ষিণে দুটি প্রাচীন মালভূমি ছিল, যথা – উত্তরে আঙ্গারাল্যান্ড ও দক্ষিণে গন্ডোয়ানাল্যান্ড। দুপাশের এই উঁচু ভূভাগ থেকে সেই সময়ে অসংখ্য নদনদী পলি বয়ে এনে টেথিস সাগরকে ক্রমশ ভরাট করে তোলে।
ভূতাত্ত্বিক সময় অনুসারে, টারসিয়ারি যুগে অর্থাৎ প্রায় ৭ থেকে ১২ কোটি বছর আগে ভূভাগ দুটি পরস্পরের কাছে চলে আসার ফলে টেথিস সাগরের সঞ্চিত পাললিক শিলাস্তরে প্রচণ্ড পার্শ্বচাপ পরে এবং ভাঁজের সৃষ্টি হয়। পরবর্তীকালে এই ভাঁজগুলি দৃঢ় ও উঁচু হয়ে সৃষ্টি হয় পৃথিবীর সর্বোচ্চ পর্বতমালা হিমালয়।
হিমালয়ের শিলাস্তরে যে সমস্ত জলজ জিবাশ্ম পাওয়া গেছে তাদের বৈজ্ঞানিক বিশ্লেষণের মাধ্যমে, মহীখাত তত্ত্ব হিমালয় পর্বতের উৎপত্তিকে ব্যাখ্যা করে থাকে।
আরো পড়ো → দুর্যোগ ও বিপর্যয় অধ্যায়ের প্রশ্ন উত্তর
WBPorashona.com-এর পোস্ট আপডেট নিয়মিত পাওয়ার জন্য –
- ফলো করো → WhatsApp চ্যানেল
- সাবস্ক্রাইব করো → YouTube চ্যানেল
- লাইক করো → Facebook পেইজ
- সাবস্ক্রাইব করো → টেলিগ্রাম চ্যানেল
আমাদের কাজ থেকে উপকৃত হলে এই লেখাটি বন্ধুদের সাথে শেয়ার করার অনুরোধ রইল।