গ্রহরূপে পৃথিবী – প্রশ্ন উত্তর | Grohorupe Prithibi – Question Answer

নিয়মিত প্রশ্ন উত্তরের আপডেট পাও নিজের মোবাইলে 👇

wb porashona.com whatsapp channel
grohorupe-prithibi
শ্রেণি – নবম | বিভাগ – ভূগোল | অধ্যায় – গ্রহরূপে পৃথিবী | grohorupe prithibi (Chapter 1)

এই পর্বে রইল নবম শ্রেণির ভূগোল বিভাগের প্রথম অধ্যায় – প্রাকৃতিক ভূগোল – থেকে গ্রহরূপে পৃথিবী সংক্রান্ত সম্পূর্ণ প্রশ্ন উত্তর আলোচনা।

সঠিক উত্তর নির্বাচন কর (MCQ)

[প্রতিটি প্রশ্নের প্রশ্নমান ১]

১। পৃথিবী সৌরজগতের আটটি গ্রহের মধ্যে
(ক) প্রথম গ্রহ (খ) দ্বিতীয় গ্রহ (গ) তৃতীয় গ্রহ (ঘ) চতুর্থ গ্রহ

উত্তর- পৃথিবী সৌরজগতের আটটি গ্রহের মধ্যে (গ) তৃতীয় গ্রহ।

২। সূর্য থেকে পৃথিবীর দূরত্ব প্রায়
(ক) 15 কোটি কিমি (খ) 15.5 কোটি কিমি (গ) 14.7 কোটি কিমি (ঘ) 20 কোটি কিমি

উত্তর- সূর্য থেকে পৃথিবীর দূরত্ব প্রায় ক) 15 কোটি কিমি।

৩। পৃথিবীর গোলত্বের প্রমাণ করতে যে খালকে ব্যবহার করা হয় তার নাম
(ক) সুয়েজ (খ) বেডফোর্ড (গ) পানামা খাল (ঘ) এর কোনটিই নয়

উত্তর- পৃথিবীর গোলত্বের প্রমাণ করতে (খ) বেডফোর্ড খালকে ব্যবহার করা হয়।

৪। সৌরজগতে কুলীন গ্রহের সংখ্যা
(ক) 4 টি (খ) 5 টি (গ) 8 টি (ঘ) 2 টি

উত্তর- সৌরজগতে কুলীন গ্রহের সংখ্যা (গ) 8 টি।

৫। এরাটোসথেনিস কোন দিনে সূর্যরশ্মির পতন কোণের ভিত্তিতে পৃথিবীর পরিধি নির্ণয় করেন?
(ক) মকর সংক্রান্তি (খ) কর্কট সংক্রান্তি (গ) জলবিষুব (ঘ) মহাবিষুব

উত্তর- এরাটোসথেনিস (খ) কর্কট সংক্রান্তির দিনে সূর্যরশ্মির পতন কোণের ভিত্তিতে পৃথিবীর পরিধি নির্ণয় করেন।


৬। যে সকল জ্যোতিষ্ক মিটমিট করে জ্বলে, যাদের তাপ ও আলো আছে, তাদের বলে
(ক) গ্রহ (খ) উপগ্রহ (গ) নক্ষত্র (ঘ) কোনোটিই নয়

উত্তর- যে সকল জ্যোতিষ্ক মিটমিট করে জ্বলে, যাদের তাপ ও আলো আছে, তাদের বলে- (গ) নক্ষত্র।

৭। আয়তনের বিচারে গ্রহগুলির মধ্যে পৃথিবীর স্থান
(ক) চতুর্থ (খ) তৃতীয় (গ) পঞ্চম (ঘ) দ্বিতীয়

উত্তর- আয়তনের বিচারে গ্রহগুলির মধ্যে পৃথিবীর স্থান (গ) পঞ্চম।

৮। নিরক্ষরেখায় পৃথিবীর মাধ্যাকর্ষণ বল-
(ক) অনুপস্থিত (খ) সবচেয়ে কম (গ) বেশি (ঘ) এর কোনোটিই নয়

উত্তর- নিরক্ষরেখায় পৃথিবীর মাধ্যাকর্ষণ বল (খ) সবচেয়ে কম।

৯। সৌরজগতের কোন গ্রহকে নীলগ্রহ বলে?
(ক) শুক্র (খ) বুধ (গ) পৃথিবী (ঘ) চাঁদ

উত্তর- সৌরজগতের (গ) পৃথিবী গ্রহকে নীলগ্রহ বলে।

১০। পৃথিবী সমতল হলে তিনটি লাঠিকে কী রকম দেখাত?
(ক) সমান দৈর্ঘ্যের (খ) একটু লম্বা দৈর্ঘ্যের (গ) লাঠিগুলি বেঁকে থাকবে (ঘ) এর কোনোটিই নয়

উত্তর- পৃথিবী সমতল হলে তিনটি লাঠিকে (ক) সমান দৈর্ঘ্যের দেখাত।


আরো পড়ো → বাস্তব সংখ্যা সম্পর্কিত গাণিতিক সমস্যার সমাধান

শূন্যস্থান পূরণ করো (VSAQ)

[প্রতিটি প্রশ্নের প্রশ্নমান ১]

১। পৃথিবীর অভিগত গোলক আকার সম্পর্কে ধারণা _______ থেকে শুরু হয়েছে।
উত্তর- পৃথিবীর অভিগত গোলক আকার সম্পর্কে ধারণা ষষ্ঠ খ্রিস্টপূর্বাব্দ থেকে শুরু হয়েছে।

২। —— খ্রিস্টাব্দে বেডফোর্ড খাল পরীক্ষার মাধ্যমে পৃথিবী গোলাকার প্রমাণিত হয়।
উত্তর- 1838 খ্রিস্টাব্দে বেডফোর্ড খাল পরীক্ষার মাধ্যমে পৃথিবী গোলাকার প্রমাণিত হয়।

৩। আমরা খালি চোখে প্রায় ______ জ্যোতিষ্ক দেখি।
উত্তর- আমরা খালি চোখে প্রায় 6000 জ্যোতিষ্ক দেখি।

wb-porashona-to-the-point-ebook-class-nine-geography

 

অতি সংক্ষিপ্ত প্রশ্ন (VSAQ)

[প্রতিটি প্রশ্নের প্রশ্নমান ১]

১। GEOID কথার অর্থ কী?
উত্তর- GEOID কথার অর্থ পৃথিবীর আকৃতি পৃথিবী সদৃশ।

২। পৃথিবীর আবর্তনের ফলে কোন্‌ বল সৃষ্টি হয়?
উত্তর- পৃথিবীর আবর্তনের ফলে কেন্দ্রাতিগ বল সৃষ্টি হয়।

৩। পৃথিবীর চাপের দৈর্ঘ্য কোন দিক থেকে কোন দিকে কমে?
উত্তর- পৃথিবীর চাপের দৈর্ঘ্য মেরু থেকে নিরক্ষীয় অঞ্চলের দিকে কমতে থাকে।

৪। সৌরজগতের বৃহত্তম গ্রহের নাম কী?
উত্তর- সৌরজগতের বৃহত্তম গ্রহের নাম বৃহস্পতি।

৫। সীমাহীন আকাশে উজ্জ্বল এক ঝাঁক আলোকবিন্দুকে কী বলে?
উত্তর- সীমাহীন আকাশে উজ্জ্বল এক ঝাঁক আলোকবিন্দুকে জ্যোতিষ্ক বলে।


আরো পড়ো → জীবন ও তার বৈচিত্র্য অধ্যায়ের প্রশ্ন উত্তর

৬। দিগন্তরেখার আকৃতি কীরূপ?
উত্তর- দিগন্তরেখার আকৃতি গোলাকার।

৭। চন্দ্রগ্রহণের দ্বারা কী প্রমাণ করা হয়?
উত্তর- চন্দ্রগ্রহণের দ্বারা পৃথিবীর গোলত্বের প্রমাণ করা হয়।

৮। বেডফোর্ড খালে অ্যালফ্রেড ওয়ালেস কী প্রমাণ করেন?
উত্তর- বেডফোর্ড খালে অ্যালফ্রেড ওয়ালেস পৃথিবীর গোলত্বের প্রমাণ করেন।

৯। কোরিওলিস বলের অন্য নাম কী?
উত্তর- কোরিওলিস বলের অন্য নাম অপকেন্দ্র বল।

১০। পৃথিবীপৃষ্ঠের সর্বত্র আবর্তন বেগ সমান নয় কেন?
উত্তর- পৃথিবীর আকৃতি অভিগত গোলক হওয়ার জন্য পৃথিবীপৃষ্ঠের সর্বত্র আবর্তন বেগ সমান নয়।


আরো পড়ো → Tales of Bhola Grandpa – Question – Answer

সংক্ষিপ্ত উত্তরভিত্তিক প্রশ্ন (SAQ)

[প্রতিটি প্রশ্নের প্রশ্নমান ২]

১। সৌরজগৎ কী?
উত্তর- সূর্যের চারদিকে বিভিন্ন গ্রহ, গ্রহাণুপুঞ্জ, উপগ্রহ সূর্যের আকর্ষণে নিজে নিজ কক্ষপথে নির্দিষ্ট বেগে ঘুরে চলেছে এই সমগ্র সৌর পরিবারকেই সৌরজগৎ বলে।

২। G.P.S. কী? এটির সাহায্যে কী কাজ করা হয়?
উত্তর- কৃত্রিম উপগ্রহের সাহায্যে ভূপৃষ্ঠের কোন স্থানের অক্ষাংশ, দ্রাঘিমা, সমুদ্রপৃষ্ঠ থেকে উচ্চতা এবং সময় অর্থাৎ কোন স্থানের অবস্থান নির্ণয়ে ব্যবহৃত প্রযুক্তিকে GPS বলা হয়।
এর সাহায্যে পৃথিবীর কোনো স্থানের দ্রাঘিমা, উচ্চতা, অক্ষাংশ প্রভৃতি সম্পর্কে জানা যায়।

৩। অভিগত গোলক কাকে বলে?
উত্তর- যে গোলকের দুই বিপরীত প্রান্ত ঈষৎ চাপা এবং মধ্যভাগ ঈষৎ স্ফীত সেই প্রকার গোলাকৃতি ঘনবস্তুর আকৃতিকে অভিগত গোলক বলে। যেমন পৃথিবীর আকৃতি।

৪। আয়তন অনুসারে সৌরজগতের বৃহত্তম ও ক্ষুদ্রতম গ্রহ দুটির নাম কি?
উত্তর- আয়তন অনুসারে সৌরজগতের বৃহত্তম ও ক্ষুদ্রতম গ্রহ দুটি হল বৃহস্পতি ও বুধ।

৫। বহিস্থ গ্রহ (Exterior Planet) কী?
উত্তর- সৌরজগতের যেসব বৃহৎ আকৃতির গ্রহ সূর্য থেকে দূরে অবস্থিত তাদের বহিস্থ গ্রহ বলে। যেমন- বৃহস্পতি, শনি, ইউরেনাস, নেপচুন।

দীর্ঘ উত্তরভিত্তিক প্রশ্ন (SAQ)

[প্রতিটি প্রশ্নের প্রশ্নমান ৫]

পৃথিবীতে প্রাণের বিকাশ কেন ঘটেছে?

উত্তরঃ এই বিরাট মহাবিশ্বে আমাদের জ্ঞ্যতব্যে একমাত্র পৃথিবীতেই প্রাণের সৃষ্টি হয়েছে। তবে কেন পৃথিবীতেই এমনটা ঘটলো! তা জানতে হলে আমাদের বুঝে নিতে পৃথিবীর গঠন, সূর্য থেকে দূরত্ব আরো অনেক কিছু।

এই পৃথিবী অনেক কিছুরই সমাহার। রয়েছে বায়ুমণ্ডল, শিলামন্ডল ও বারিমন্ডল এই তিনটি মণ্ডলকে ধারণ করে সৃষ্টি হয়েছে প্রাণ।

  • বায়ুমন্ডল
    এই পৃথিবীকে বেষ্টন করে রয়েছে বায়ুমণ্ডল। প্রায় পৃথিবীপৃষ্ট থেকে 10000 কিমি পর্যন্ত উচ্চতা জুড়ে বায়ুমন্ডল অবস্থান করে। জীবমণ্ডলের বেঁচে থাকার জন্য সবকটিরই ভূমিকা রয়েছে। তবে তাদের মধ্যে প্রাথমিক স্তরের (ট্রপোস্ফিয়ার) গুরুত্ব সর্বাধিক।
    প্রাণের সৃষ্টির মূল উপাদান নাইট্রোজেন, অক্সিজেন, কার্বন ডাই অক্সাইড ইত্যাদির উপস্থিতি প্রাণের বিকাশে অন্যতম ভূমিকা পালন করেছে।
    আবার এর ঠিক উপরের স্তরেই রয়েছে ওজোন গ্যাসের চাদর। যা সূর্য থেকে আগত ক্ষতিকারক UV রশ্মিকে পৃথিবীপৃষ্টে এসে পৌছতে বাধা প্রদান করে। যা প্রাণের বিকাশে বিশেষভাবে সহায়ক।
    এরপরেই যার কথা বলতে হয় তা হল গ্রীন হাউস গ্যাসের চাদর। এই বিশ্বে ভূপৃষ্ট সংলগ্ন অঞ্চলে ভারসাম্য মাত্রায় গ্রীনহাউস গ্যাসের উপস্থিতি সূর্য থেকে আগত তাপশক্তিকে সম্পূর্ণরূপে বিকীর্ণ হতে বাধা দেয়। যা পৃথিবীকে শীতল হয়ে যাওয়ার হাত থেকে রক্ষা করে।
  • বারিমন্ডল
    জলের অপর নাম জীবন। জল ছাড়া প্রাণধারণ অসম্ভব। তাই বিশ্বে প্রাণের অস্তিত্বের পিছনে আরো একটি গুরুত্বপূর্ণ কারণ বারিমন্ডলের উপস্থিতি।
  • শিলামন্ডল
    গোটা জীবজগতের এক বিরাট অংশকে ধারণ করে আছে যা তাই শিলামন্ডল। তার সঠিক মাত্রায় উপস্থিতি জীবজগতের বেঁচে থাকার অন্যতম রসদ।
  • ভারসাম্য উষ্ণতা
    এই মন্ডলগুলি ছাড়াও পৃথিবীতে প্রাণের বিকাশের আরো একটি গুরুত্বপূর্ণ কারণ পৃথিবীর ভারসাম্য তাপমাত্রা। সূর্য থেকে পৃথিবী এমন এক দূরত্বে অবস্থান করছে, যেখানে না মাত্রাতিরিক্ত শীতলতা, না মাত্রাতিরিক্ত উষ্ণতা রয়েছে। ফলতঃ এই ভারসাম্য তাপমাত্রা প্রাণ ধারণের পক্ষে আদর্শ।

WBPorashona.com-এর পোস্ট আপডেট নিয়মিত পাওয়ার জন্য –


আমাদের কাজ থেকে উপকৃত হলে এই লেখাটি বন্ধুদের সাথে শেয়ার করার অনুরোধ রইল।

পড়া মনে রাখার সেরা উপায় 👇

wb-porashona-to-the-point-ebook