পৃথিবীর গতিসমূহ – প্রশ্ন উত্তর | Prithibir Gotisomuho – Question Answer

নিয়মিত প্রশ্ন উত্তরের আপডেট পাও নিজের মোবাইলে 👇

wb porashona.com whatsapp channel
prithibir-gotisomuho
শ্রেণি – নবম | বিভাগ – ভূগোল | অধ্যায় – পৃথিবীর গতিসমূহ | prithibir gotisomuho (Chapter 2)

এই পর্বে রইল নবম শ্রেণির ভূগোল বিভাগের প্রথম অধ্যায় – প্রাকৃতিক ভূগোল – থেকে পৃথিবীর গতিসমূহ সংক্রান্ত সম্পূর্ণ প্রশ্ন উত্তর আলোচনা।

সঠিক উত্তর নির্বাচন করো (MCQ)

[প্রতিটি প্রশ্নের প্রশ্নমান ১]

1। নিম্নলিখিতগুলির মধ্যে যে বছরটি অধিবর্ষ, তা হল-
(ক) 1900 (খ) 2000 (গ) 2100 (ঘ) 2300

উত্তর- নিম্নলিখিতগুলির মধ্যে যে বছরটি অধিবর্ষ, তা হল-(খ) 2000.

2। ‘বসন্ত বিষুব’ বলে-
(ক) 21 মার্চকে (খ) 2১ সেপ্টেম্বরকে (গ) 22 ডিসেম্বরকে (ঘ) 4 জুলাইকে

উত্তর- ‘বসন্ত বিষুব’ বলে- (ক) 21 মার্চকে।

3। দক্ষিণ গোলার্ধে সবচেয়ে ছোটো রাত হয় –
(ক) 21 জুন (খ) 23 সেপ্টেম্বর (গ) 22 ডিসেম্বর (ঘ) 21 মার্চ

উত্তর- দক্ষিণ গোলার্ধে সবচেয়ে ছোটো রাত হয় – (গ) 22 ডিসেম্বর।

4। সূর্য কর্কটক্রান্তি রেখার উপর লম্বভাবে কিরণ দেয় –
(ক) 21 মার্চ (খ) 22 ডিসেম্বর (গ) 23 সেপ্টেম্বর (ঘ) 21 জুন

উত্তর- সূর্য কর্কটক্রান্তি রেখার উপর লম্বভাবে কিরণ দেয় – (ঘ) 21 জুন।

5। পৃথিবীর অপসূর অবস্থান হয়-
(ক) 4 জুলাই (খ) 3 জানুয়ারি (গ) 23 সেপ্টেম্বর (ঘ) 22 ডিসেম্বর

উত্তর- পৃথিবীর অপসূর অবস্থান হয় – (ক) 4 জুলাই।

6। নিরক্ষরেখায় অভিকর্ষের মান সর্বাধিক-
(ক) নিরক্ষরেখা (খ) সুমেরুবৃত্ত রেখা (গ) কর্কটক্রান্তি রেখা (ঘ) মকরক্রান্তি রেখা

উত্তর- নিরক্ষরেখায় অভিকর্ষের মান সর্বাধিক – (ক) নিরক্ষরেখা।

7। ঠিক জোড়াটি নির্বাচন করো –
(ক) 22 ডিসেম্বর থেকে 21 জুন – উত্তরায়ণ (খ) কর্কটসংক্রান্তি – উভয় গোলার্ধে দিনরাত সমান, (গ) 22 ডিসেম্বর থেকে 21 জুন – দক্ষিণায়ন (ঘ) অপসূর অবস্থান – প্রায় 14 কোটি 70 লক্ষ কিলোমিটার

উত্তর- ঠিক জোড়াটি নির্বাচন করো – (ক) 22 ডিসেম্বর থেকে 21 জুন – উত্তরায়ণ।

8। সূর্যের উত্তরায়নের শেষসীমা হল –
(ক) মকরক্রান্তি রেখা (খ) কর্কটক্রান্তি রেখা (গ) কুমেরুবৃত্ত রেখা (ঘ) সুমেরুবৃত্ত রেখা

উত্তর- সূর্যের উত্তরায়নের শেষসীমা হল – (খ) কর্কটক্রান্তি রেখা।

9। যে অক্ষরেখায় পৃথিবীর অভিকর্ষ বলের মান সর্বনিম্ন, তা হল –
(ক) নিরক্ষরেখা (খ) সুমেরুবৃত্ত রেখা (গ) কর্কটক্রান্তি রেখা (ঘ) মকরক্রান্তি রেখা

উত্তর- যে অক্ষরেখায় পৃথিবীর অভিকর্ষ বলের মান সর্বনিম্ন, তা হল – (ক) নিরক্ষরেখা।

10। পৃথিবীর অক্ষ তার নিজের কক্ষতলের সঙ্গে যে কোণে হেলে অবস্থান করে, তা হল –
(ক) 0° (খ) 90° (গ) 66½° (ঘ) 23½°

উত্তর- পৃথিবীর অক্ষ তার নিজের কক্ষতলের সঙ্গে যে কোণে হেলে অবস্থান করে, তা হল – (গ) 66½°


আরো পড়ো → ইলিয়াস গল্পের প্রশ্ন উত্তর আলোচনা

অতি সংক্ষিপ্ত প্রশ্ন (VSAQ)

[প্রতিটি প্রশ্নের প্রশ্নমান ১]

1। ‘বিষুব’ কথার অর্থ কী?
উত্তর- ‘বিষুব’ কথার অর্থ সমান।

2। 21 জুন থেকে 22 ডিসেম্বর পর্যন্ত সূর্যের আপাত দক্ষিণমুখী গতিকে কী বলা হয়?
উত্তর- 21 জুন থেকে 22 ডিসেম্বর পর্যন্ত সূর্যের আপাত দক্ষিণমুখী গতিকে দক্ষিণায়ন বলা হয়।

3। কোন্‌ গতির জন্য ভূপৃষ্ঠে দিন -রাত্রি সংঘটিত হয়?
উত্তর- আবর্তন গতির জন্য ভূপৃষ্ঠে দিন -রাত্রি সংঘটিত হয়।

4। ভূপৃষ্ঠের কোথায় বছরে 6 মাস দিন ও 6 মাস রাত্রি হয়?
উত্তর- ভূপৃষ্ঠের দুই মেরু অঞ্চলে বছরে 6 মাস দিন ও 6 মাস রাত্রি হয়।

5। 25 ডিসেম্বর ‘বড়োদিন’ -এ দক্ষিণ গোলার্ধে গরম না ঠাণ্ডা?
উত্তর- 25 ডিসেম্বর ‘বড়োদিন’ -এ দক্ষিণ গোলার্ধে গরম থাকে।


আরো পড়ো → জীবন ও তার বৈচিত্র্য প্রশ্ন ও উত্তর

সংক্ষিপ্ত উত্তরভিত্তিক প্রশ্ন (SAQ)

[প্রতিটি প্রশ্নের প্রশ্নমান ২]

1। পৃথিবীর আবর্তন গতি কিভাবে সময় নির্ধারণে সাহায্য করে?
উত্তর- আবর্তন গতিকে আহ্নিক গতি বলা হয়, ‘অহ্ন’ শব্দটির অর্থ হল দিন। নিজের মেরুদণ্ডের চারদিকে একবার সম্পূর্ণ আবর্তন করতে পৃথিবীর সময় লাগে প্রায় 23 ঘণ্টা 56 মিনিট বা প্রায় 1 দিন। পৃথিবীর এই একবার আবর্তনের সময়কে 1 দিন বা 1 অহ্ন ধরা হয়, অর্থাৎ পৃথিবীর আবর্তন গতির ফলে সময় নির্ধারিত হয়।

2। নিরক্ষরেখায় পৃথিবীর আবর্তন বেগ বেশি হয় কেন?
উত্তর- পৃথিবী অভিগত গোলক আকৃতির হওয়ায়, এর মঝাখানটা ফোলা আর দুই মেরুর দিকে একটু চাপা। এইজন্য নিরক্ষরেখায় পৃথিবীর পরিধি সবচেয়ে বেশি, প্রায় 40000 কিমি। ঘণ্টায় 1666 কিমি হারে এই পথ পৃথিবী 24 ঘণ্টায় অতিক্রম করে বলে পৃথিবীকে একটা পাক শেষ করতে হলে নিরক্ষরেখার কাছে সবচেয়ে বেশি জোরে ঘুরতে হয়। এইজন্য নিরক্ষরেখায় পৃথিবীর আবর্তনের বেগ সবচেয়ে বেশি।

wb-porashona-to-the-point-ebook-class-nine-geography

3। দিগন্ত রেখা কাকে বলে?
উত্তর- এটি একটি কাল্পনিক রেখা। সমুদ্র বা বিশাল প্রান্তরের থেকে অনেক দূরে দাঁড়িয়ে থাকলে মনে হয় স্থলভাগ বা জলভাগটি আকাশের সঙ্গে একটি বৃত্তচাপীয় সুবিস্তৃত রেখায় মিশে রয়েছে। এই কাল্পনিক রেখাকেই দিগন্ত্রেখা বলা হয়।

4। পৃথিবী মহাশূন্যে আবর্তন করছে কিন্তু আমরা ছিটকে বেরিয়ে যাচ্ছি না কেন?
উত্তর- পৃথিবীর আহ্নিক গতির কারণে পৃথিবী নিজ অক্ষে মহাশূন্যে আবর্তিত হয়। পৃথিবী পৃষ্ঠে অবস্থিত যেকোনো বস্তু কিংবা প্রাণী পৃথিবীর কেন্দ্রের দিকে থাকা অভিকর্ষ শক্তির প্রভাবে ছিটকে বেরিয়ে যায় না। এই অভিকর্ষ বল পৃথিবীর কেন্দ্রভাগের দিকে যেকোনো বস্তু বা প্রাণীকে আকর্ষণ করে রাখে।

5। সূর্যের দৈনিক আপাত গতি কাকে বলে?
উত্তর- সূর্য নিজ কক্ষপথে স্থির। আহ্নিক গতির সময় পৃথিবী নিজের অক্ষের চারদিকে পশ্চিম থেকে পূর্বদিকে আবর্তন করছে বলে, আপাত দৃষ্টিতে সূর্যকে পূর্বদিক থেকে পশ্চিমদিকের আকাশে গতিশীল বলে মনে হয়। এই গতিকে সূর্যের দৈনিক আপাত গতি বলা হয়।


আরো পড়ো → All about a dog – Question – Answer

সংক্ষিপ্ত ব্যাখামূলক উত্তরভিত্তিক প্রশ্ন (SAQ)

[প্রতিটি প্রশ্নের প্রশ্নমান ৩]

1। কীভাবে কোরিওলিস প্রভাব বায়ুপ্রবাহ ও সমুদ্রস্রোতকে প্রভাবিত করে ব্যাখ্যা করো।
উত্তর- পৃথিবীর আবর্তনের ফলে সৃষ্ট যে বলের প্রভাবে বায়ুপ্রবাহ, সমুদ্রস্রোত ও পৃথিবীপৃষ্ঠের যে কোন গতিশীল বস্তুর গতিবিক্ষেপ ঘটে তাকে কোরিওলিস বল বলে। পৃথিবীর অভিগত গোলক আকৃতির জন্য নিরক্ষরেখা থেকে উভয় মেরুর দিকে আবর্তনের গতিবেগ ক্রমশ কমতে থাকে। আবর্তন বেগের এই তারতম্যের জন্য কোরিওলিস বলের প্রভাবে বায়ুপ্রবাহ, সমুদ্রস্রোত প্রভৃতি গতিশীল পদার্থের গতিপথ উত্তর গোলার্ধে ডানদিকে এবং দক্ষিণ গোলার্ধে বামদিকে বেঁকে যায়।

2। ডিসেম্বর ও জানুয়ারি মাসে বিজ্ঞানীরা আন্টার্কটিকা অভিযানে যান কেন?
উত্তর- ডিসেম্বর মাসে দক্ষিণ গোলার্ধে সূর্যরশ্মি লম্বভাবে পরে তাই সূর্যের উত্তাপ অনেক বেশি হয় এবং তুলনামূলকভাবে দিনের দৈর্ঘ্য রাতের থেকে বেশি হয়। পৃথিবীর দক্ষিণ গোলার্ধে দক্ষিণ মেরুকে কেন্দ্র করে বৃত্তাকারে অবস্থিত চিরতুষারময় মহাদেশের তাপমাত্রা গ্রীষ্মকালেই হিমাঙ্কের 40° সেলসিয়াস নীচে থাকে, আর শীতকালে তা প্রায় -80° সে ছাড়িয়ে যায়। শীতকালে এখানে ক্রমাগত তুষারপাত এবং তুষার ঝড় হয়। এই আবহাওয়ায় অ্যান্টার্কটিকাতে কোনোরকম বৈজ্ঞানিক গবেষণা সম্ভব হয়না। ফলে ডিসেম্বর ও জানুয়ারি মাসে অর্থাৎ দক্ষিণ গোলার্ধের গ্রীষ্মকালেই বিজ্ঞানীরা এখানে গবেষণা এবং অভিযানে যান।

3। প্রতি চার বছর অন্তর বছরে একদিন অতিরিক্ত হয় কেন?
উত্তর- নিজের পরিক্রমণ গতিতে সূর্যকে একবার প্রদক্ষিণ করার জন্য পৃথিবীর সময় লাগে 365 দিন 5 ঘণ্টা 48 মিনিট 46 সেকেন্ড বা 365 দিন 6 ঘণ্টা। কিন্তু হিসেব করার সুবিধের জন্য আমরা 365 দিনে এক বছর ধরি। এতে প্রতি বছরের প্রায় 6 ঘণ্টা সময় বাড়তি থেকে যায়। এই হিসেবে প্রতি চার বছর অন্তর 6*4 = 24 ঘণ্টা বা পুরো একটা দিন অতিরক্ত হয়। এই বাড়তি সময়ের হিসাব ঠিক রাখার জন্য প্রতি চার বছর অর্থাৎ (365+1) = 366 দিন হয়ে থাকে।

4। নরওয়েকে নিশীথ সূর্যের দেশ কেন বলে?
উত্তর- পৃথিবীর অভিগত গোলক আকৃতি, উপবৃত্তাকার কক্ষপথ, পৃথিবীর মেরুরেখার সর্বদা একই মুখে অবস্থান প্রভৃতি কারণে মার্চ থেকে জুলাই মাসে উত্তর গোলার্ধে সুমেরুবৃত্তে একটানা দিন থাকে। সুমেরুবৃত্তের উত্তরে অবস্থিত ইউরোপ, ও এশিয়ার কোন কোন স্থানে স্থানীয় সময় অনুসারে গভীর রাত্রিতেও আকাশে সূর্য দেখা যায়। নরওয়েতে মে থেকে জুলাই মাস অব্দি এই গভীর রাত্রে সূর্যালোক দেখা যায় বলে নরওয়েকে নিশীথ সূর্যের দেশ বলে।


আরো পড়ো → বাস্তব সংখ্যার গাণিতিক সমস্যার সমাধান

দীর্ঘ উত্তরধর্মী প্রশ্ন (LA)

[প্রতিটি প্রশ্নের প্রশ্নমান ৫]

1। পৃথিবীর বার্ষিক গতির ফলাফল সচিত্র ব্যাখ্যা করো।
উত্তর- পৃথিবী নিজের অক্ষের উপর ঘুরতে ঘুরতে সূর্যকে প্রদক্ষিণ করে, এই প্রদক্ষিণ করতে সময় লাগে প্রায় 365 দিন 6 ঘণ্টা। এই সময়কে পৃথিবীর বার্ষিক গতি বা পরিক্রমণ গতি বলা হয়। পৃথিবীর এই গতির ফলে বেশকিছু বৈশিষ্ট্য দেখা যায়, সেগুলি হল –

ক) সারাবছর ধরে দিন ও রাতের দৈর্ঘ্যের হ্রাস-বৃদ্ধি : সূর্য সারাবছর ধরে নিরক্ষরেখার উপর লম্বভাবে কিরণ দেয় ফলে এখানে দিন ও রাত্রির দৈর্ঘ্য সমান থাকে। কিন্তু পৃথিবীর অন্য সকল স্থানে দিনরাত্রির সময়ের পার্থক্য দেখা যায়। এর কারণগুলো হল –
পৃথিবীর আকৃতি অভিগত গোলক। পৃথিবীর অক্ষ পৃথিবীর কক্ষপথের সাপেক্ষে কোণ করে অবস্থান করে। ফলে কক্ষপথের এক একটি জায়গায় পৃথিবীর এক একটি গোলার্ধ সূর্যের দিকে ঝুঁকে থাকে। যখন পৃথিবী যে গোলার্ধে সূর্যের দিকে বেশি ঝুঁকে থাকে। তখন সেই গোলার্ধে ক্রমশ দিন বড় ও রাত ছোট হয়। অন্য গোলার্ধে বিপরীত অবস্থার সৃষ্টি হয়।
খ) ঋতু পরিবর্তন : পৃথিবী তার কক্ষপথে সূর্যকে প্রদক্ষিণকালে পৃথিবীর অবস্থানের উপর নির্ভর করে উষ্ণতার তারতম্যের সৃষ্টি হয়। ফলে ঋতু পরিবর্তন ঘটে। উষ্ণতার উপর ভিত্তি করে পৃথিবীকে কয়েকটি ঋতুতে ভাগ করা হয়েছে। পরিক্রমণ গতির ফলে এই ঋতুগুলির পর্যায়ক্রমিক পরিবর্তন ঘটে যাকে ঋতুপরিবর্তন বলে।
গ) অপসুর ও অনুসুর অবস্থান : পৃথিবীর উপবৃত্তাকার কক্ষপথের আকৃতির জন্য পৃথিবীতে অপসুর ও অনুসুর অবস্থান দেখা যায়। পৃথিবী সূর্যকে প্রদক্ষিণকালে সূর্য থেকে সর্বাধিক দূরত্বে একবার অবস্থান করে, এই অবস্থানকে বলা হয় অপসুর অবস্থান বলা হয়। যেখানে পৃথিবী ও সূর্যের মাঝে দূরত্ব থাকে 15 কোটি 20 লক্ষ কিমি। আবার সূর্যের একদম কাছাকাছি পৃথিবীর অবস্থানকে বলা হয় অনুসুর অবস্থান। যেখানে পৃথিবী ও সূর্যের মাঝে দূরত্ব থাকে সবচেয়ে কম (14 কোটি 70 লক্ষ কিমি)।

2। উপযুক্ত চিত্রসহ পৃথিবীতে ঋতু পরিবর্তনের কারণ আলোচনা করো।
উত্তর- পৃথিবীতে আলো ও উষ্ণতার উৎস হল সূর্য। ভূপৃষ্ঠে সারাবছর সূর্যরশ্মি সারাবছর সমানভাবে পরে না। এই উষ্ণতার তারতম্যের উপর ভিত্তি করে বছরকে কয়েকটি ভাগে ভাগ করে হয় যেটি হল ঋতুর পর্যায়ক্রমিক পরিবর্তন। বিভিন্ন কারণে পৃথিবীতে ঋতু পরিবর্তন ঘটে থাকে, এই কারণগুলি হল –

ক) পৃথিবীর অভিগত গোলক আকৃতি – পৃথিবীর অভিগত গোলক আকৃতির জন্য ভূপৃষ্ঠে সূর্যরশ্মি কোথাও তির্যকভাবে বা কোথাও লম্বভাবে পরে। তির্যক ও লম্বভাবে পতিত সূর্যরশ্মির মধ্যে মধ্যে উত্তাপ এর তারতম্য থাকায় কোথাও শীত কোথাও গ্রীষ্ম ঋতু দেখা যায়।
খ) পৃথিবীর আবর্তন গতি – পৃথিবীর আবর্তন গতির জন্য দিনরাত্রি হয়ে থাকে, এরফলে উষ্ণতার তারতম্য ঘটে ও ঋতু পরিবর্তন হয়। আবর্তন গতি না থাকলে পৃথিবীর অর্ধভাগে চির গ্রীষ্ম ও অপরভাগে চির শীত বিরাজ করত।

গ) পৃথিবীর পরিক্রমণ গতি – পৃথিবী একটি নির্দিষ্ট উপবৃত্তাকার কক্ষপথে সূর্যকে প্রদক্ষিণ করে। এটি পরিক্রমণ গতি নামে পরিচিত। এই পরিক্রমণ গতির জন্য ভূপৃষ্ঠের বিভিন্ন অংশে বছরের বিভিন্ন সময়ে সূর্যরশ্মির তারতম্য লক্ষ্য করা যায়। যে কারণে ঋতু পরিবর্তন হয়ে থাকে।
ঘ) পৃথিবীর উপবৃত্তাকার কক্ষপথ – কক্ষপথের উপবৃত্তাকার আকৃতির জন্য পৃথিবী থেকে সূর্যের দূরত্ব সারাবছর সমান থাকেনা ফলে উষ্ণতার তারতম্য সৃষ্টি হয়।


আরো পড়ো → গ্রহরূপে পৃথিবী অধ্যায়ের প্রশ্ন উত্তর

WBPorashona.com-এর পোস্ট আপডেট নিয়মিত পাবার জন্য –


আমাদের কাজ থেকে উপকৃত হলে এই লেখাটি বন্ধুদের সাথে শেয়ার করার অনুরোধ রইল।

পড়া মনে রাখার সেরা উপায় 👇

wb-porashona-to-the-point-ebook