আফ্রিকা কবিতার প্রশ্ন উত্তর | Africa poem Question Answer

নিয়মিত প্রশ্ন উত্তরের আপডেট পাও নিজের মোবাইলে 👇

wb porashona.com whatsapp channel
Africa-question-answer
শ্রেণি – দশম | বিভাগ – বাংলা | অধ্যায় – আফ্রিকা (Africa)

দশম শ্রেণির বাংলা বিভাগ থেকে রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর রচিত আফ্রিকা কবিতা থেকে সম্পূর্ণ প্রশ্ন উত্তর আলোচনা।

সঠিক উত্তর নির্বাচন করো (MCQ)

[প্রতিটি প্রশ্নের প্রশ্নমান ১]

১। ‘সেই হোক তোমার সভ্যতার শেষ পুন্যবাণী। – সভ্যতার শেষ পুন্যবাণী হল – ক) বিদ্বেষ ত্যাগ করো খ) ক্ষমা করো গ) ভালোবাসো ঘ) মঙ্গল করো (পর্ষদ নমুনা)
উত্তর – সভ্যতার শেষ পুন্যবাণী হল – খ) ক্ষমা করো।

২। ‘প্রদোষকাল ঝঞ্জাবাতাসে রুদ্ধশ্বাস,’- প্রদোষ শব্দের অর্থ- ক) সন্ধ্যা খ) ভোর গ) রাত্রি ঘ) দুপুর [মাধ্যমিক ২০১৭]
উত্তর – প্রদোষ শব্দের অর্থ ক) সন্ধ্যা।

৩। ‘আদিম যুগের স্রষ্টার কার প্রতি অসন্তোষ ছিল? ক) দয়াময় দেবতার প্রতি খ) কবির সংগীতের প্রতি গ) নিজের প্রতি ঘ) ধরিত্রীর প্রতি [মাধ্যমিক’২০১৯]
উত্তর – আদিম যুগের স্রষ্টার গ) নিজের প্রতি অসন্তোষ ছিল।

৪। “কবির সংগীতে বেজে উঠেছিল”- ক) সুন্দরের আরাধনা খ) সুন্দরের সাধনা গ) সুন্দরের বন্দনা ঘ) সুন্দরের আরতি
উত্তর – কবির সংগীতে বেজে উঠেছিল – ক) সুন্দরের আরাধনা।

৫। কালো ঘোমটার নীচে’ কি অপরিচিত ছিল? ক) ঔপনিবেশিকদের মানবরূপ খ) রুদ্রসমুদ্রের রূপ গ) আফ্রিকার মানবরূপ ঘ) অফ্রিকার হিংস্ররূপ
উত্তর – ‘কালো ঘোমটার নীচে’ গ) আফ্রিকার মানবরূপ অপরিচিত ছিল।

আরো পড়ো → ভারতের জলবায়ু প্রশ্ন উত্তর

অতিসংক্ষিপ্ত প্রশ্ন (VSAQ)

[প্রতিটি প্রশ্নের প্রশ্নমান ১]

১। “উদ্‌ভ্রান্ত সেই আদিম যুগে” – ‘আদিম যুগ’ বলতে কবি ঠিক কি বুঝিয়েছেন?
উত্তর – একটি বৃহৎ সময়কালকে যুগ বলা হয়। সৃষ্টির প্রথম অর্থাৎ অতি প্রাচীন সময়কালকে কবি ‘আদিম যুগ’’ বলে চিহ্নিত করেছেন।

২। “ছিনিয়ে নিয়ে গেল তোমাকে” – কে কাকে ছিনিয়ে নিয়ে গেল?
উত্তর – আফ্রিকা কবিতা অনুসারে, রুদ্র সমুদ্রের বাহু প্রাচী ধরিত্রির বুকের থেকে আফ্রিকাকে ছিনিয়ে নিয়ে গেল।


মাধ্যমিকে নম্বর বাড়াবার সেরা উপায় ↓


৩। বিদ্রুপ করেছিল ভীষণকে – কীভাবে বিদ্রুপ করেছিল? (মাধ্যমিক ১৮)
উত্তর – আফ্রিকা বিরুপের ছদ্মবেশে ভীষণকে বিদ্রুপ করেছিল।

৪। এল ওরা লোহার হাত কড়ি নিয়ে, ওরা কারা?(মাধ্যমিক ২০)
উত্তর – আফ্রিকা কবিতায় কবি রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর ‘ওরা’ বলতে সাম্রাজ্যবাদী বা ঔপনিবেশিক শক্তির কথা বলেছেন।

৫। ‘ছায়াবৃতা’ আফ্রিকার মুখটি কোথায় লুকোনো ছিল?
উত্তর – ‘ছায়াবৃতা’ আফ্রিকার মুখটি কালো ঘোমটার নীচে অর্থাৎ ঘন অরণ্যে ঢাকা অন্ধকারে লুকানো ছিল।

৬। ‘সমুদ্রপারে সেই মুহূর্তেই‘ সমুদ্রপারে সেই মুহূর্তে কি ঘটেছিল?
উত্তর – সমুদ্রপারে অর্থাৎ সাম্রাজ্যবাদীদের নিজের দেশে সেই সময় মন্দিরে পূজার ঘণ্টা বাজছিল এবং ঈশ্বরের আরাধনা চলছিল।

৭। “এসো যুগান্তরের কবি” – কবির ভুমিকাটি কি হবে? (মাধ্যমিক ১৭)
উত্তর – যুগান্তরের কবি মানহারা আফ্রিকার পাশে দাঁড়াবেন এবং তাঁর উপরে ঘটে যাওয়া সকল অন্যায়ের জন্য ক্ষমা চাইবেন।


আফ্রিকা কবিতার প্রশ্ন উত্তর আলোচনা


সংক্ষিপ্ত উত্তর ভিত্তিক প্রশ্ন (SAQ)

[প্রতিটি প্রশ্নের প্রশ্নমান ৩]

১। “এল মানুষ-ধরার দল” – মানুষ ধরার দল বলতে কবি কাদের বুঝিয়েছে? কবি তাদের সম্পর্কে কি বলেছেন?১+২
উত্তর – আফ্রিকা কবিতায় কবি রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর ‘মানুষ ধরার দল’ বলতে সাম্রাজ্যবাদী শক্তিকে বুঝিয়েছেন।

কিছুকাল আগে, তথাকথিত ‘সভ্য’ মানুষের দল, আফ্রিকার আদিবাসীদের ক্রীতদাস হিসাবে ব্যবহার করতো। কবি এই সাম্রাজ্যবাদী শক্তির ধব্জাধারীদের সম্পর্কে বলেছেন যে, সভ্যতার গর্বে তাদের চোখ অন্ধ হয়ে গেছে এবং এই বর্বরোচিত লোভ মনুষত্ব্যের আবরণকে বেআব্রু করেছে।

২। “আজ যখন পশ্চিম দিগন্তে -” ‘পশ্চিম দিগন্তে’ বলতে কবি কি বুঝিয়েছেন? তখন সেখানে কি ঘটেছিল? (১+২)
উত্তর – পশ্চিম দিগন্ত বলতে কবি ইউরোপের উন্নত দেশগুলির কথা বুঝিয়েছেন।
উনবিংশ এবং বিংশ শতাব্দীতে ইউরোপের উন্নত দেশগুলি এশিয়া, আফ্রিকা এবং আমেরিকা মহাদেশের পিছিয়ে থাকা দেশগুলির উপর সাম্রাজ্যবাদের ক্ষমতা প্রয়োগ করেছিল। তাদের নির্লজ্জ লোভের শিকার হতে হয়েছিল অসংখ্য সাধারণ মানুষদের। কিন্তু তাদের লোভ শুধুমাত্র ঐ দুর্বল অনুন্নত দেশগুলির মধ্যেই সীমাবদ্ধ ছিল না, এই ক্ষমতা দখলের লড়াই তাদের মধ্যে সংঘাতের সৃষ্টি করেছি।


আরো পড়ো → অসুখী একজন কবিতার প্রশ্ন উত্তর আলোচনা

৩। ‘চিরচিহ্ন দিয়ে গেল তোমার অপমানিত ইতিহাসে। – কাকে এ কথা বলা হয়েছে? কীভাবে তার অপমানিত ইতিহাসে চিরচিহ্ন মুদ্রিত হল? (1+2)
উত্তর -বিশ্বকবি রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের ‘পত্রপুট’ কাব্যের অন্তর্গত ‘আফ্রিকা’ কবিতায় কবি এই কথা ‘আফ্রিকা’ মহাদেশের উদ্দেশ্যে বলেছেন।

দীর্ঘকাল ধরে ইউরোপের সাম্রাজ্যবাদী শক্তি আগ্রাসনের শিকার হয়েছে পিছিয়ে পড়া ‘আফ্রিকা’ মহাদেশ। তথাকথিত উন্নত দেশগুলি, অনুন্নত আফ্রিকাকে রক্তাক্ত করেছে। এমনকি তারা আফ্রিকার নির্দোষ মানুষদের ক্রীতদাস বানিয়েছে। মানবদরদী কবি রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর সাম্রাজ্যবাদী শক্তির আফ্রিকার উপর লোলুপ আঘাতকে চিরচিহ্ন বা চিরকালীন চিহ্ন বলে উল্লেখ করেছেন।

৪। ‘হায় ছায়াবৃতা, – ছায়াবৃতা বলার কারণ কি? তাঁর সম্পর্কে কবি বলেছেন সংক্ষেপে লেখো। (মাধ্যমিক ১৭)
উত্তর – ‘ছায়াবৃতা’ কথার অর্থ হল ছায়া দ্বারা আবৃতা। আফ্রিকা মহাদেশ গহন অরণ্যে ঢাকা, তাই কবি ‘আফ্রিকা’ কবিতায় আফ্রিকা মহাদেশকে ‘ছায়াবৃতা’ বলে উল্লেখ করেছেন।

বিশ্বকবি আফ্রিকা কবিতায়, আফ্রিকা মহাদেশের উপর ঘটে যাওয়া অন্যায়ের কথা বলেছেন। উনবিংশ এবং বিংশ শতাব্দীতে ইউরোপের তথাকথিত উন্নত দেশগুলি তাদের সাম্রাজ্যবাদী আগ্রাসনে অনুন্নত আফ্রিকা মহাদেশকে বিদ্ধ করেছিল। সাম্রাজ্যবাদী শক্তির লোলুপ গ্রাসের সামনে লুন্ঠিত হয় আফ্রিকার মানবরূপ। উন্নত দেশগুলি, আফ্রিকার সাধারণ মানুষকে বন্দী করে, তাদের অসহায়তার সুযোগ নিয়ে, ক্রীতদাস বানিয়ে মনুষত্ব হরণ করে। কবির সহানুভূতিশীল কলমে উঠে এসেছে আফ্রিকার এই যন্ত্রণার কথা।

৫। ‘মন্দিরে বাজছিল পূজার ঘণ্টা’ – কোন মন্দিরে কেন পূজার ঘণ্টা বাজছিল?
উত্তর -আলোচ্য অংশটি বিশ্বকবি রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর রচিত আফ্রিকা কবিতার অন্তর্গত। এই কবিতায় কবি ইউরোপের উন্নত দেশগুলিতে পুজা – অর্চনার কথা বলেছেন। আমরা সাধারণত মানব কল্যাণের কারণে ঈশ্বরের আরাধনা করি। ইউরোপের দেশগুলিতে সেখানকার অধিবাসিরা যখন মানব কল্যাণের জন্যে মন্দিরে ঈশ্বরের আরাধনা করছেন, সেই একই সময়ে ইউরোপের সাম্রাজ্যবাদী শক্তি আফ্রিকা মহাদেশে সাধারণ মানুষদের উপর বর্বর অত্যাচার চলছে। কবি এখানে এই দ্বিচারিতার কথা তুলে ধরেছেন।

আরো পড়ো → বৃত্তস্ত চতুর্ভুজ সংক্রান্ত উপপাদ্য গাণিতিক সমস্যার সমাধান

WBPorashona.com-এর পোস্ট আপডেট নিয়মিত পাবার জন্য –


আমাদের কাজ থেকে উপকৃত হলে এই লেখাটি বন্ধুদের সাথে শেয়ার করার অনুরোধ রইল।

পড়া মনে রাখার সেরা উপায় 👇

wb-porashona-to-the-point-ebook