ভারতের জলবায়ু – প্রশ্ন উত্তর | Bharater Jalabayu – Question Answer

নিয়মিত প্রশ্ন উত্তরের আপডেট পাও নিজের মোবাইলে 👇

wb porashona.com whatsapp channel
bharater-jalabayu
শ্রেণি – দশম | বিভাগ – ভূগোল | অধ্যায় – ভারতের জলবায়ু | bharater jalabayu (Chapter 5)

এই পর্বে রইল দশম শ্রেণির ভূগোল বিভাগের পঞ্চম অধ্যায় – ভারতের প্রাকৃতিক পরিবেশ – থেকে ভারতের জলবায়ু বিভাগ সংক্রান্ত সম্পূর্ণ প্রশ্ন উত্তর আলোচনা।

সঠিক উত্তর নির্বাচন কর (MCQ)

[প্রতিটি প্রশ্নের প্রশ্নমান ১]

১। অক্টোবর – নভেম্বর মাসে বঙ্গোপসাগরে সৃষ্টি হওয়া ঘূর্ণিঝড় পশ্চিমবঙ্গে যে নামে পরিচিত – (ক) কালবৈশাখী (খ) পশ্চিমিঝঞ্ঝা (গ) লু (ঘ) আশ্বিনের ঝড়
উত্তর- অক্টোবর – নভেম্বর মাসে বঙ্গোপসাগরে সৃষ্টি হওয়া ঘূর্ণিঝড় পশ্চিমবঙ্গে যে নামে পরিচিত ঘ) আশ্বিনের ঝড়।

২। ভারতের একটি বৃষ্টিচ্ছায় অঞ্চল হল –
(ক) ছোটোনাগপুর মালভূমি (খ) পশ্চিমঘাট পর্বতের পশ্চিম দিক (গ) শিলং মালভূমি (ঘ) তামিলনাড়ুর দক্ষিণ – পূর্ব উপকূল

উত্তর- ভারতের একটি বৃষ্টিচ্ছায় অঞ্চল হল (গ) শিলং মালভূমি।

৩। মৌসুমি বিস্ফোরণের ফলে যে ঋতুর সূচনা হয়, তা হল –
(ক) গ্রীষ্মকাল (খ) বর্ষাকাল (গ) শীতকাল (ঘ) শরৎকাল

উত্তর- মৌসুমি বিস্ফোরণের ফলে যে ঋতুর সূচনা হয়, তা হল (খ) বর্ষাকাল।

৪। ভারতের জলবায়ুর প্রধান বৈশিষ্ট্য হল –
(ক) ঋতু পরিবর্তন (খ) অধ্যতিক উষ্ণতা (গ) অত্যধিক বৃষ্টিপাত (ঘ) অত্যধিক শৈত্য

উত্তর- ভারতের জলবায়ুর প্রধান বৈশিষ্ট্য হল (ক) ঋতু পরিবর্তন।

৫। ভারতের বৃষ্টিপাতের অধিকাংশই হল –
(ক) পরিচলন প্রকৃতির (খ) শৈলোৎক্ষেপ প্রকৃতির (গ) ঘূর্ণবাত প্রকৃতির (ঘ) কোনোটিই নয়

উত্তর- ভারতের বৃষ্টিপাতের অধিকাংশই হল (খ) শৈলোৎক্ষেপ প্রকৃতির।


আরো পড়ো → আয়নীয় ও সমযোজী – প্রশ্ন উত্তর

৬। মরু জলবায়ুর প্রভাব পরিলক্ষিত হয় ভারতের –
(ক) উত্তরাংশে (খ) মধ্যভাগে (গ) পশ্চিমাংশে (ঘ) পূর্বাংশে

উত্তর- মরু জলবায়ুর প্রভাব পরিলক্ষিত হয় ভারতের (গ) পশ্চিমাংশে।

৭। পশ্চিমিঝঞ্ঝা সৃষ্টি হয় –
(ক) আরব সাগরে (খ) লোহিত সাগরে (গ) ভূমধ্যসাগরে (ঘ) বঙ্গোপসাগরে

উত্তর- পশ্চিমিঝঞ্ঝা সৃষ্টি হয় (গ) ভূমধ্যসাগরে।

৮। ভারতের জলবায়ুর ওপর যে পর্বতের প্রভাব সবচেয়ে বেশি –
(ক) আরবল্লি (খ) হিমালয় (গ) পশ্চিমঘাট (ঘ) কারাকোরাম

উত্তর- ভারতের জলবায়ুর ওপর যে পর্বতের প্রভাব সবচেয়ে বেশি (খ) হিমালয়।

৯। ভারত থেকে মৌসুমি বায়ুর প্রত্যাবর্তন ঘটে –
(ক) গ্রীষ্মকালে (খ) শরৎকালে (গ) শীতকালে (ঘ) বসন্তকালে

উত্তর- ভারত থেকে মৌসুমি বায়ুর প্রত্যাবর্তন ঘটে (খ) শরৎকালে।

১০। কালবৈশাখীর মতো গ্রীষ্মকালে দক্ষিণ ভারতে যে ঝড় – বৃষ্টি হয় তার নাম –
(ক) নরওয়েস্টার (খ) বরদৈছিলা (গ) আম্রবৃষ্টি (ঘ) চেরি ব্লসম

উত্তর- কালবৈশাখীর মতো গ্রীষ্মকালে দক্ষিণ ভারতে যে ঝড় – বৃষ্টি হয় তার নাম (গ) আম্রবৃষ্টি।


পড়া মনে রাখার সেরা উপায়! ↓

wb-porashona-to-the-point-ebook


অতি সংক্ষিপ্ত প্রশ্ন (VSAQ)

[প্রতিটি প্রশ্নের প্রশ্নমান ১]

১। পশ্চিমবঙ্গের সবচেয়ে কম বৃষ্টিপাতযুক্ত জেলার নাম কি?
উত্তর- পশ্চিমবঙ্গের সবচেয়ে কম বৃষ্টিপাতযুক্ত জেলার নাম পুরুলিয়া।

২। পশ্চিমিঝঞ্ঝা থেকে কি সুবিধা হয়?
উত্তর- পশ্চিমিঝঞ্ঝা থেকে রবিশস্য উৎপাদন হয়।

৩। ভারতের সবচেয়ে কম বৃষ্টিপাত হয় কোথায়?
উত্তর- ভারতের সবচেয়ে কম বৃষ্টিপাত হয় রাজস্থানের থর মরুভূমিতে।

৪। আশ্বিনের ঝড় কোন ঋতুতে হয়?
উত্তর- আশ্বিনের ঝড় শরৎকালে হয়।

৫। দক্ষিণ – পশ্চিম মৌসুমি বায়ু ভারতের মূল ভূখন্ডে কোন মাসে প্রবেশ করে?
উত্তর- দক্ষিণ – পশ্চিম মৌসুমি বায়ু ভারতের মূল ভূখন্ডে জুন মাসে প্রবেশ করে।

৬। ভারতের সবচেয়ে কম বৃষ্টিপাত হয় কোথায়?
উত্তর- ভারতের সবচেয়ে কম বৃষ্টিপাত হয় রাজস্থানের থর মরুভূমিতে।


ভারতের জলবায়ু – প্রশ্ন উত্তর আলোচনার ভিডিও ↓


সংক্ষিপ্ত উত্তরভিত্তিক প্রশ্ন (SAQ)

[প্রতিটি প্রশ্নের প্রশ্নমান ২]

১। জলবায়ু অঞ্চল কাকে বলে?
উত্তর- জলবায়ু অঞ্চল বলতে কোন দেশ বা মহাদেশের এমন এক বা একাধিক অঞ্চলকে বোঝায়, যেখানে জলবায়ুর প্রকৃতি বিশেষত উষ্ণতা ও বৃষ্টিপাত মোটামুটি একই ধরনের হয়।
উদাহরণ -ভারতের শীতল পার্বত্য অঞ্চল বলতে বোঝায় যেখানে তাপমাত্রা সারাবছর হিমাঙ্কের নীচে থাকে। যথা- পশ্চিমবঙ্গের দার্জিলিং-এর পার্বত্য অঞ্চল, জম্মু-কাশ্মীরের পার্বত্য অঞ্চল।

২। আম্রবৃষ্টি কাকে বলে?
উত্তর- গ্রীষ্মকালে দক্ষিণ ভারতের তামিলনাডু, অন্ধ্রপ্রদেশ ও কর্নাটক রাজ্যে ব্জ্রবিদ্যুত সহ ঘূর্ণীবায়ুর প্রভাবে যে বৃষ্টিপাত হয়, তাকে আম্রবৃষ্টি বলে। এই অঞ্চলে এই বৃষ্টিপাতের প্রভাবে আমের ফলন ভালো হয়, তাই একে আম্রবৃষ্টি বলে। এই বৃষ্টিপাত কর্ণাটকে চেরি ব্লসম নামে পরিচিত।


মাধ্যমিকে নম্বর বাড়াবার সেরা উপায় ↓


৩। মৌসুমি বায়ুর অনিশ্চয়তা বলতে কী বোঝ?
উত্তর-ভারতের ৯০% বৃষ্টিপাত দক্ষিণ-পশ্চিম মৌসুমি বায়ুর প্রভাবে সঙ্ঘটিত হয়, কিন্তু মৌসুমি বৃষ্টিপাত খুবই অনিশ্চিত, কারণ- ক)প্রতি বছর মৌসুমি বায়ু সমপরিমাণে জলীয় বাষ্প নিয়ে আসে না। খ)মৌসুমি বায়ুর আগমন ও প্রত্যাগমন প্রতি বছর একই সময়ে ঘটে না। এর ফলেই ভারতে খরা ও বন্যা দেখা যায়।

৪। আঁধি কাকে বলে?
উত্তর- পশ্চিম ভারতের দিল্লি, পাঞ্জাব, রাজস্থান, ও উত্তরপ্রদেশের কিছু অঞ্চল গ্রীষ্মকালের বিকেলবেলার দিকে কখনও কখনও ধুলোর ঝড় প্রবাহিত হতে থাকে, একে আঁধি বলে। আঁধির সময় বাতাস পরিচলন পদ্ধধিতে প্রচুর পরিমাণে ধুলোকণা সংগ্রহ করে প্রতি ঘণ্টায় ৭০-১০০ কিমি বেগে প্রবাহিত হতে থাকে। আঁধি প্রবাহিত হলে তাপমাত্রা কিছুটা কমে।


আরো পড়ো → ভারতের নদনদী প্রশ্ন উত্তর

বিশ্লেষণধর্মী প্রশ্ন উত্তর

[প্রতিটি প্রশ্নের প্রশ্নমান ৩]

১। ভারতের জলবায়ুকে কী কী ঋতুতে ভাগ করা যায়?
উত্তর-ভারতের বিশাল আয়তন ও বিচিত্র ভূ-প্রকৃতির জন্য জলবায়ুর আঞ্ছলিক তারতম্য থাকলেও ভারত প্রধানত ক্রান্তীয় মৌসুমি দেশ। ভারতীয় আবহাওয়া বিভাগ ভারতীয় জলবায়ুকে চারটি প্রধান ঋতুতে ভাগ করেছেন।
যথা- ১) গ্রীষ্মকাল( মার্চ থেকে মে), ২) বর্ষাকাল (জুন থেকে সেপ্টেম্বর) বা মৌসুমি বায়ুর আগমনকাল ,৩) শরতকাল (অক্টোবর থেকে নভেম্বর) বা ৪) শীতকাল ( ডিসেম্বর থেকে ফেব্রুয়ারী।

২। ভারতে মৌসুমি জলবায়ুর বৈশিষ্ট্য লেখো।
উত্তর-
১) মৌসুমি বায়ু গ্রীষ্মকালে দক্ষিণ- পশ্চিম এবং শীতকালে উত্তর-পূর্ব দিক থেকে প্রবাহিত হয়।
২) দক্ষিণ- পশ্চিম মৌসুমি বায়ুর প্রভাবে বর্ষাকালে ভারতের সর্বাধিক পরিমাণ বৃষ্টি হয়।
৩) উত্তর-পূর্ব মৌসুমি বায়ুর প্রভাবে ভারতে শীতকাল শুস্ক হয়। এই সময়ে পশ্চিমী ঝঞ্ঝার প্রভাবে ভারতে বৃষ্টিপাত হয়।
৪) মৌসুমি বায়ুর খামখেয়ালিপনার জন্য ভারতে প্রায়ই খরা ও বন্যার প্রাদুর্ভাব দেখা যায়।
৫) দক্ষিণ ভারতের জলবায়ুর তুলনায় উত্তর ভারতের জলবায়ু অনেক বেশী চরমভাবাপন্ন।
৬) মৌসুমি জলবায়ুর প্রভাবে ভারতে বৃষ্টিপাতের বণ্টন অসম।

৩। মৌসুমি বায়ুর ওপর জেট বায়ুর প্রভাব ব্যাখ্যা করো।
উত্তর- গ্রীষ্মকালে তিব্বত মালভূমির গরম বায়ু পুবালি জেট বায়ুকে শক্তিশালী করে তোলে। এই পুবালি জেটের প্রভাবে ভারতবর্ষের মাঝবরাবর যে নিম্নচাপের সৃষ্টি হয় তার প্রভাবে প্রবল বৃষ্টিপাত ঘটে। আবার, অনেক সময় উপক্রান্তীয় জেট বায়ুর উত্তরে সরে যাওয়ার ফলে মৌসুমি বিস্ফোরণ হয়। অনেকসময় আবার তিব্বত মাল্ভূমির তাপমাত্রা কম থাকায় ক্রান্তীয় জেট বায়ু শক্তিশালী হতে পারে না, ফলে অনিয়মিত বৃষ্টিপাত হতে দেখা যায়। এছাড়া পশ্চিমী জেট বায়ু শীতকালে ভূমধ্যসাগর থেকে পশ্চিমী ঝঞ্ঝাকে ভারতে নিয়ে আসে এবং উত্তর পশ্চিম ভারতে তুষারপাত ঘটায়। এই ভাবে জেট বায়ু মৌসুমি বায়ুর ওপর প্রভাব ফেলে।

wb porashona to the point geography

৪। ভারতের পশ্চিমঘাট পর্বতের পূর্ব দিকে বৃষ্টিপাত কম হওয়ার কারণ লেখো।
উত্তর- গ্রীষ্মকালে দক্ষিণ- পশ্চিম মৌসুমি বায়ুর আরব- সাগরীয় শাখাটি আরব সাগরের শাখাটি আরব সাগরের ওপর দিয়ে প্রবাহিত হওয়ার সময় প্রচুর পরিমাণে জলীয় বাষ্প বহন করে নিয়ে এসে পশ্চিমঘাট পর্বতে বাধা পেয়ে পশ্চিমঘাট পর্বতের পশ্চিম ঢালে মালাবার উপকূল ও কোঙ্কণ উপকূলে প্রচুর বৃষ্টিপাত ঘটায়। এই আরব সাগরীয় শাখাটি যখন পশ্চিমঘাট পর্বত অতিক্রম করে পূর্ব ঢালে পৌঁছায় তখন বায়ুতে জলীয় বাষ্প খুব কম পরিমাণে উপস্থিত থাকায় পশ্চিমঘাট পর্বতের পূর্ব ঢালে বৃষ্টিপাত কম হয় ।

৫। বৃষ্টিচ্ছায় অঞ্চল বলতে কী বোঝ? উদাহরণ দাও।
উত্তর- সমুদ্রের ওপর দিয়ে বয়ে আসা জলীয় বাষ্পপূর্ণ বায়ু পর্বতের অনুবাত ঢালে বাধা পেয়ে প্রচুর পরিমাণে বৃষ্টিপাত ঘটায়। পর্বত পেরিয়ে ঐ বায়ু যখন পর্বতের বিপরীত ঢালে পৌঁছায় তখন ঐ বায়ুতে জলীয় বাষ্প প্রায় খুব অল্প পরিমাণে থাকে।এই কারণে পর্বতের অনুবাত ঢালের বিপরীতে তথা প্রতিবাত ঢালে বৃষ্টিপাতের পরিমাণ খুব অল্প পরিমাণে ঘটায় এই অঞ্চলকে বৃষ্টিচ্ছায় অঞ্চল বলে।
উদাহরণ- পশ্চিমঘাট পর্বতের প্রতিবাত ঢালে থাকা দাক্ষিণাত্য মালভূমির অভ্যন্তর হল একটি বৃষ্টিচছায় অঞ্চলের উদাহরণ।

৬। করমণ্ডল উপকূল তথা তামিলনাড়ুতে বছরে দু-বার বৃষ্টিপাত হয় কেন?
উত্তর- গ্রীষ্মকাল(জুন মাসে) দক্ষিণ-পশ্চিম মৌসুমি বায়ুর বঙ্গোপ্সাগরীয় শাখা অন্ধ্রপ্রদেশ ও তামিলনাডু রাজ্যের করমন্ডল উপকূলে বৃষ্টিপাত ঘটিয়ে উত্তর-পূর্ব ভারতের দিকে অগ্রসর হয়। আবার শীতকালের শুরুতে (অক্টোবর- নভেম্বর মাসে) উত্তর ভারতের উচ্চচাপ অঞ্চল থেকে প্রবাহিত বায়ুর সঙ্গে দক্ষিণ- পশ্চিম মৌসুমি বায়ুর সংঘর্ষের ফলে যে ঘূর্ণিঝড়ের সৃষ্টি হয়, তা দক্ষিণ- পশ্চিম মৌসুমি বায়ুকে প্রত্যাবর্তন করতে বাধ্য করে। বঙ্গোপসাগরের ওপর দিয়ে প্রবাহিত হওয়ার সময় প্রত্যাবর্তনকারী মৌসুমি বায়ু প্রচুর পরিমাণে জলীয় বাষ্প সংগ্রহ করে এবং করমন্ডল তথা তামিলনাডু উপকূলে দুবার বৃষ্টিপাত ঘটায়।


আরো পড়ো → Our Runaway Kite – Question Answer

দীর্ঘ উত্তরভিত্তিক প্রশ্ন (LA)

[প্রতিটি প্রশ্নের প্রশ্নমান ৫]

১। ভারতের জলবায়ুর নিয়ন্ত্রকগুলির ভূমিকা আলোচনা করো।
উত্তর-ভারতের জলবায়ু বেশ বৈচিত্র্যময়।জলবায়ুর নিয়ন্ত্রণকারী উপাদানের উপস্থিতিতেই জলবায়ু বৈচিত্র্যপূর্ণ হয়ে উঠেছে। নিয়ন্ত্রকগুলি হল-

ক) অক্ষাংশগত অবস্থান
ভারতের অবস্থান প্রায় 8‌‌‌°4’ উত্তর থেকে 37°17’ উত্তর অক্ষরেখার মধ্যে এবং কর্কটক্রান্তিরেখা ভারতের মাঝখান বরাবর প্রসারিত। কর্কটক্রান্তিরেখা দক্ষিণ অংশ ক্রান্তীয়মন্ডলে এবং উত্তর অংশ নাতিশীতোষ্ন মন্ডলে অবস্থিত।

খ) সমুদ্র থেকে দূরত্ব
ভারতের উত্তর এবং উত্তর পশ্চিম অংশের অবস্থান সমুদ্র থেকে দূরবর্তী হওয়ায় এখানকার জলবায়ু চরমভাবাপন্ন। এখানে শীত ও গ্রীষ্মের প্রসার খুব বেশী। আর অন্যদিকে ভারতের দক্ষিণ অংশের তিনদিক সমুদ্র বেষ্টিত হওয়ায় এখানকার জলবায়ু নাতিশীতোষ্ন প্রকৃতির।

গ) হিমালয়ের অবস্থান
ভারতের উত্তরে হিমালয় পর্বত অবস্থান করছে যার ফলে এশিয়ার অতিশীতল বায়ু ভারতে প্রবেশ করতে পারে না যার ফলে ভারত অতি শীতের প্রকোপ হাত থেকে রক্ষা পেয়েছে। আবার অন্যদিকে তেমন দক্ষিণ পশ্চিম মৌসুমী বায়ু এখানে বাধা প্রাপ্ত হয়ে উত্তর পূর্ব ভারতে প্রচুর পরিমানে বৃষ্টিপাত ঘটায়।

ঘ) ক্রান্তীয় ঘূর্নবাতের প্রভাব
আরব সাগর ও বঙ্গোপসাগর ভারতের জলবায়ুর উপর প্রত্যক্ষ প্রভাব ফেলে। মৌসুমী বায়ু আগমনের সময় এবং প্রত্যাবর্তনের সময় সমুদ্রের উপর সৃষ্ট নিম্মচাপের কারনে ঘূর্ণবাত বা সাইক্লোন সৃষ্টি হয়। যা উপকূলভাগে প্রচুর বৃষ্টিপাত ঘটায় এবং উষ্নতা কিছুটা হ্রাস পায়।

ঙ) মৌসুমি বায়ুপ্রবাহ
ভারতের জলবায়ুর প্রধান নিয়ন্ত্রক হল মৌসুমী বায়ু। মৌসুমী বায়ুর আগমণ প্রত্যাগমনের জন্যই গ্রীষ্মকাল আর্দ্র এবং শীতকাল শুষ্ক। মৌসুমী বায়ুর কারনেই প্রচুর বৃষ্টিপাত হওয়ায় ভারতের গড় উষ্নতা থাকে 5°-10°C।

আরো পড়ো → লম্ব বৃত্তাকার চোঙ অধ্যায়ের গাণিতিক সমস্যার সমাধান

WBPorashona.com-এর পোস্ট আপডেট নিয়মিত পাবার জন্য –


আমাদের কাজ থেকে উপকৃত হলে এই লেখাটি বন্ধুদের সাথে শেয়ার করার অনুরোধ রইল।

পড়া মনে রাখার সেরা উপায় 👇

wb-porashona-to-the-point-ebook