ভারতের স্বাভাবিক উদ্ভিদ – প্রশ্ন উত্তর | Bharater Swavabik Udvid – Question Answer

নিয়মিত প্রশ্ন উত্তরের আপডেট পাও নিজের মোবাইলে 👇

wb porashona.com whatsapp channel
bharater-swavabik-udvid
শ্রেণি – দশম | বিভাগ – ভূগোল | অধ্যায় – ভারতের স্বাভাবিক উদ্ভিদ | bharater swavabik udvid (Chapter 5)

এই পর্বে রইল দশম শ্রেণির ভূগোল বিভাগের পঞ্চম অধ্যায় – ভারতের প্রাকৃতিক পরিবেশ – থেকে ভারতের স্বাভাবিক উদ্ভিদ সংক্রান্ত সম্পূর্ণ প্রশ্ন উত্তর আলোচনা।

সঠিক উত্তর নির্বাচন কর (MCQ)

[প্রতিটি প্রশ্নের প্রশ্নমান ১]

1। চন্দন গাছ জন্মায় –
ক) চিরহরিৎ অরণ্যে খ) সরলবর্গীয় অরণ্যে গ) পর্ণমোচী অরণ্যে ঘ) ম্যানগ্রোভ অরণ্যে

উত্তর- চন্দন গাছ জন্মায় গ) পর্ণমোচী অরণ্যে।

2। পশ্চিমবঙ্গে শীতকালে বৃষ্টিপাত কম হয় বলে বেশিরভাগ জায়গায় লক্ষ করা যায় – ক) চিরহরিৎ উদ্ভিদ খ) পর্ণমোচী উদ্ভিদ গ) ক্যাকটাস ঘ) ম্যানগ্রোভ উদ্ভিদ
উত্তর- পশ্চিমবঙ্গে শীতকালে বৃষ্টিপাত কম হয় বলে বেশিরভাগ জায়গায় খ) পর্ণমোচী উদ্ভিদ লক্ষ করা যায়।

3। স্বাভাবিক উদ্ভিদের ওপর যার প্রভাব সবচেয়ে বেশি –
ক) ভূপ্রকৃতি খ) মাটি গ) জলবায়ু ঘ) মানুষ

উত্তর- স্বাভাবিক উদ্ভিদের ওপর গ) জলবায়ুর প্রভাব সবচেয়ে বেশি।

4। এলিফ্যান্ট গ্রাস দেখা যায় –
ক) নিরক্ষীয় চিরহরিৎ অরণ্যে খ) ভূমধ্যসাগরীয় অরণ্যে গ) শুষ্ক পর্ণমোচী অরণ্যে ঘ) সরলবর্গীয় অরণ্যে

উত্তর- এলিফ্যান্ট ঘাস গ) শুষ্ক পর্ণমোচী অরণ্যে দেখা যায়।

5। ছোটোনাগপুর মালভূমিতে জন্মায় যে উদ্ভিদ তা হল –
ক) পর্ণমোচী খ) চিরসবুজ গ) সরলবর্গীয় ঘ) জেরোফাইট

উত্তর- ছোটোনাগপুর মালভূমিতে জন্মায় ক) পর্ণমোচী উদ্ভিদ।


পড়া মনে রাখার সেরা উপায়! ↓

wb-porashona-to-the-point-ebook


6। একটি চিরহরিৎ বৃক্ষের উদাহরণ হল –
ক) শাল খ) সেগুন গ) কেন্দু ঘ) আয়রন উড

উত্তর- একটি চিরহরিৎ বৃক্ষের উদাহরণ হল ঘ) আয়রন উড।

7। বনভূমির পরিমাণ সবচেয়ে বেশি যে রাজ্যে –
ক) পশ্চিমবঙ্গ খ) মধ্যপ্রদেশ গ) সিকিম ঘ) অসম

উত্তর- বনভূমির পরিমাণ সবচেয়ে বেশি খ) মধ্যপ্রদেশে।

8। যে অঞ্চলে চিরহরিৎ গাছ দেখা যায়, সেখানে সারাবছর মাটি –
ক) শুষ্ক থাকে খ) আর্দ্র থাকে গ) বালিপূর্ণ থাকে ঘ) লবণাক্ত থাকে

উত্তর- যে অঞ্চলে চিরহরিৎ গাছ দেখা যায়, সেখানে সারাবছর মাটি খ) আর্দ্র থাকে।

9। ভারতের বৃহত্তম ম্যানগ্রোভ অরণ্যটি গড়ে উঠেছে –
ক) গাঙ্গেয় বদ্বীপে খ) মহানদীর বদ্বীপ গ) গোদাবরীর বদ্বীপে ঘ) কৃষ্ণানদীর বদ্বীপে

উত্তর- ভারতের বৃহত্তম ম্যানগ্রোভ অরণ্যটি গড়ে উঠেছে ক) গাঙ্গেয় বদ্বীপে।

10। পশ্চিমবঙ্গের বেশিরভাগ উদ্ভিদ হল –
ক) চিরহরিৎ প্রকৃতির খ) সরলবর্গীয় প্রকৃতির গ) আর্দ্র পর্ণমোচী প্রকৃতির ঘ) ম্যানগ্রোভ প্রকৃতির

উত্তর- পশ্চিমবঙ্গের বেশিরভাগ উদ্ভিদ গ) আর্দ্র পর্ণমোচী প্রকৃতির।


আরো পড়ো → ভারতের মৃত্তিকা অধ্যায়ের প্রশ্ন উত্তর

সংক্ষিপ্ত উত্তরভিত্তিক প্রশ্ন (SAQ)

[প্রতিটি প্রশ্নের প্রশ্নমান ২]

1। সামাজিক বন সৃজনের দুটি উদ্দেশ্য লেখো।
উত্তর- সাধারণত আর্থসামাজিক দিক থেকে দুর্বল মানুষদের জন্য অরণ্যের পরিবেশগত ও আর্থসামাজিক গুরুত্ব বুঝে মানুষের সক্রিয় অংশগ্রহণের মাধ্যমে যখন নির্ধারিত অরণ্যসীমার বাইরে বা পরিত্যক্ত জমিতে নিজে বা সরকারের সাথে যৌথ উদ্যোগে অরণ্য সৃষ্টির উদ্যোগ নেয়, তাকে সামাজিক বনসৃজন বলে।
সামাজিক বন সৃজনের উদ্দেশ্য-
ক) পশুখাদ্যের জোগান,
খ) জ্বালানি কাঠের সরবরাহ,
গ) ভূমিক্ষয়ের হাত থেকে কৃষিজমি রক্ষা করা।

2। ভারতের মরু উদ্ভিদের দুটি বৈশিষ্ট্য লেখো।
উত্তর- ভারতের রাজস্থানের মরুভূমি অঞ্চলে এই বনভূমি দেখা যায়।
বৈশিষ্ট্য- ক) এই উদ্ভিদ বেড়ে ওঠার জন্য বার্ষিক বৃষ্টিপাতের প্রয়োজন হয় প্রায় 20 সেমি।
খ) বাতাসের আর্দ্রতা খুব কম হওয়ায় গাছের পাতা সরু ও পুরু মোমের প্রলেপ যুক্ত হয়। উদ্ভিদগুলি খাটো প্রকৃতির হয়।
গ) জলের সন্ধানে গাছের শিকড় মাটির অনেক গভীর পর্যন্ত বৃদ্ধি পায়।

wb porashona to the point geography

3। দুন বলতে কি বোঝ?
উত্তর- দুন শব্দ বলতে বোঝায় দুটি পর্বতের মাঝখানের অনুদৈর্ঘ্য উপত্যকা। হিমালয় থেকে আসা নদীগুলি শিবালিকে বাধা পেয়ে বহু হ্রদের সৃষ্টি করে। পরবর্তীকালে এই হ্রদগুলিতে পলি, নুড়ি, বালি প্রভৃতি জমা হয়ে এই উপত্যকাগুলির সৃষ্টি হয়েছে। এই উপত্যকাগুলি স্থানীয় ভাষায় দুন নামে পরিচিত। যেমন- দেরাদুন।

4। কৃষি বনসৃজন বলতে কী বোঝ?
উত্তর- চাষাবাদের সাথে সাথে কৃষকেরা অনেক সময় তার অব্যবহার্য জমিতে নানা ধরণের গাছপালা লাগিয়ে তা থেকে জ্বালানী, পশুখাদ্য, কাঠ, ফলমূল ইত্যাদি সংগ্রহ করে। এইভাবে কৃষিজমিতে বনভূমি গড়ে তোলাকে কৃষি বনসৃজন বলে।
উদ্দেশ্য- ক) ভূমির উর্বরতা বৃদ্ধি করা, খ) ভূমিক্ষয় রোধ, গ) কৃষকের আয় ও কর্মসংস্থান বৃদ্ধি করা। ঘ) পতিত জমিকে ব্যবহার্য করে তোলা।

5। ম্যানগ্রোভ অরণ্যে শ্বাসমূল দেখা যায় কেন?
উত্তর- সুন্দরবন তথা ম্যানগ্রোভর অঞ্চলে মাটি সবসময় সমুদ্রের জোয়ার-ভাঁটার নোনা জলে ভিজে থাকে। এই অঞ্চলের মাটি শারীরবৃত্তীয় শুস্ক প্রকৃতির হয়। উদ্ভিদগুলি শ্বাসকার্য চালানোর জন্য উদ্ভিদের মূলগুলি মাটি ফুঁড়ে ওপরে উঠে আসে। এই মূলগুলির মাধ্যমে গাছগুলি বায়ু থেকে অক্সিজেন সহ্য করে।


আরো পড়ো → বিকল্প চিন্তা ও উদ্যোগ সম্পর্কিত প্রশ্ন উত্তর

বিশ্লেষণধর্মী প্রশ্ন উত্তর

[প্রতিটি প্রশ্নের প্রশ্নমান ৩]

1। সুন্দরবন অঞ্চলের মৃত্তিকা ও স্বাভাবিক উদ্ভিদের মধ্যে সম্পর্ক লেখো।
উত্তর- সুন্দরবন অঞ্চলের মৃত্তিকা ও স্বাভাবিক উদ্ভিদের মধ্যে বিশেষ সম্পর্ক লক্ষ্য করা যায়।
এই অঞ্চলের মাটি সবসময় জোয়ার-ভাঁটার জলে ডুবে থাকে। তাই উদ্ভিদগুলি যাতে মাটিতে শক্তভাবে দাঁড়িয়ে থাকে তার জন্য এই উদ্ভিদের ঠেসমূল দেখা যায় এবং উদ্ভিদগুলি এই নোনাজলে ভিজে থাকা মাটিতে থেকেও যাতে বায়ু থেকে অক্সিজেন সংগ্রহ করতে পারে তার জন্য শ্বাসমূলও রয়েছে। এছাড়া এই অঞ্চলের উদ্ভিদের জরায়ুজ অঙ্কুরোদগম হয় অর্থাৎ গাছের বীজ যাতে অন্যত্র ভেসে না যায় সে কারণেই ফলগুলি গাছে থাকাকালীন অঙ্কুরিত হয়।

2। ভারতের অরণ্য সংরক্ষণের তিনটি উপায় সংক্ষেপে আলোচনা কর।
উত্তর- ভারতের অরণ্য সংরক্ষণের তিনটি উপায়-
ক)পশুচারণ নিয়ন্ত্রণ- গবাদি পশু চড়ানোর জন্য নির্দিষ্ট ভূমি নির্বাচন করতে হবে যাতে ছোটোগাছ গুলি না নষ্ট হয়।
খ) চারাগাছ নিধন বন্ধ- চারা গাছ বা শিশুগাছ কাটা বন্ধ করে বনজ সম্পদের উৎপাদন বাড়াতে হবে। এবং বনভুমিকে দাবানলের হাত থেকে রক্ষা করার জন্য কমিটি স্থাপন করতে হবে।
গ) বিকল্প জ্বালানির ব্যবহার- কাঠের পরিবর্তে বিকল্প জ্বালানির ব্যবহার বাড়াতে হবে যাতে বনজ সম্পদ রক্ষা পায়।


UPDATE:মাধ্যমিক পরীক্ষার ভীতি কাটাবার সেরা উপায়↓

madhymik-mock-test


3। টীকা লেখঃ ভারতের উপকূলীয় বনভূমি বা ম্যানগ্রোভ অরণ্য।
উত্তর- ম্যানগ্রোভ অরণ্য- পশ্চিমবঙ্গের গঙ্গা ব-দ্বীপ অঞ্চলের দক্ষিণে সুন্দরবন অঞ্চল যা ম্যানগ্রোভ অরণ্য অবস্থানের জন্য পৃথিবী বিখ্যাত।
ক) শ্বাসমূল- লবণাক্ত জলাভূমিতে ম্যানগ্রোভ উদ্ভিদের শ্বাসগ্রহণে অসুবিধা হয় বলে মূল মাটির ওপর বেরিয়ে আসে এগুলিকে শ্বাসমূল বলে।
খ) ঠেসমূল- জোয়ার-ভাঁটার জলপ্রবাহ সহ্য করে যাতে সহজভাবে টিকে দাড়িয়ে থাকতে পারে তার জন্য এই অরণ্যের অধিকাংশই গাছের গোড়ায় ঠেসমূল সৃষ্টি হয়। এছাড়া এই ধরনের উদ্ভিদের মূলগুলি খুব দীর্ঘ ও প্রসারিত হয়।
গ) প্রধান বৃক্ষ- সুন্দরী, গরান হোগলা হেতাল। এই ধরণের বনভূমির আর একটি বিশেষ বৈশিষ্ট্য হল জরায়ুজ অঙ্কুরোদগম অর্থাৎ গাছের বীজ কাদাময় জলাভূমিতে পড়ে যাতে নষ্ট না হয় সে জন্য গাছে থাকা অবস্থায় ফলের মধ্যে বীজের অঙ্কুরোদগম। যেমন-রাইজোফোরা।


আরো পড় → Our Runaway Kite – Question Answer

দীর্ঘ উত্তরভিত্তিক প্রশ্ন (LA)

[প্রতিটি প্রশ্নের প্রশ্নমান ৫]

1। ভারতের চিরহরিৎ উদ্ভি্দ ও পর্ণমোচী উদ্ভিদের বণ্টনের জলবায়ুর প্রভাব আলোচনা করো।
উত্তর- ভারতের চিরহরিৎ উদ্ভি্দ ও পর্ণমোচী উদ্ভিদের বণ্টনের জলবায়ুর প্রভাব-
(A) অধিক উষ্নতা ও অধিক বৃষ্টিপাত
চিরহরিৎ বৃক্ষ:
(অ) প্রধান অঞ্চল: পশ্চিমঘাট পর্বতমালার পশ্চিমাংশে, অসম , অরুনাচল প্রদেশ, উত্তরবঙ্গ, বিহার ও ঝাড়খন্ডের কিয়দংশ। অধিক উষ্নতা ও অধিক বৃষ্টিপাতযুক্ত অঞ্চলে এই বৃক্ষ দেখা যায়।
(আ) জলবায়ুগত বৈশিষ্ট্য: i) গড় বার্ষিক উষ্নতার পরিমাণ 20‌‍‍°C – 30°C, ii) গড় বার্ষিক বৃষ্টিপাতের পরিমাণ 200 সেমির বেশী হয়, এবং আর্দ্রতার পরিমাণ থাকে 70%-95%।
(ই) উদ্ভিদের বৈচিত্র্যতা: মেহগিনি, শিশু, গর্জন, রোজউড, রবার, আয়রন, উড, আবলুল প্রভৃতি।
(ঈ) বৃক্ষের বৈশিষ্ট্য: বৃষ্টিপাতের আধিক্যের জন্য এই সকল অঞ্চলের গাছের পাতা সারাবছর সবুজ থাকে অর্থাৎ, চিরসবুজ বৃক্ষের ঘন অরণ্য দেখা যায়।
(B) অধিক উষ্নতা ও মধ্যম রকমের বৃষ্টিপাত
পর্ণমোচী অরণ্য:
(অ) প্রধান অঞ্চল: পশ্চিমঘাট পর্বতমালার পূর্বাংশ, বিহার, ওড়িশা, ঝাড়খন্ড, উত্তরপ্রদেশ, মধ্যপ্রদেশ, ছত্তিশগড়। প্রত্যাবর্তনকারী শুস্ক মৌসুমী বায়ু শীতকালে মৌসুমী উদ্ভিদের পাতাগুলিকে ঝড়িয়ে দেয়।
(আ) জলবায়ুগত বৈশিষ্ট্য: গড় বার্ষিক উষ্নতার পরিমাণ থাকে 20°C-32°C, গড় বার্ষিক বৃষ্টিপাতের পরিমাণ 100- 200 সেমি। আর্দ্রপর্ণমোচী উদ্ভিদ জন্মানোর জন্য আর্দ্রতা লাগে 60%-80% এবং শুস্ক পর্ণমোচীর জন্য আর্দ্রতা লাগে 50% – 70% পর্যন্ত।
(ই) উদ্ভিদের বৈচিত্র্যতা: সেগুন, শাল, মহুয়া, পলাশ, চন্দন প্রভৃতি উদ্ভিদ এই অরণ্যে দেখতে পাওয়া যায়।
(ঈ) বৃক্ষের বৈশিষ্ট্য: এই অরণ্যে পাতাঝড়া খর্বাকৃতির বৃক্ষের সমাবেশ লক্ষ্য করা যায়।


পড়া মনে রাখার সেরা উপায়! ↓

wb-porashona-to-the-point-ebook


2। হিমালয়ের উচ্চতা বৃদ্ধির সঙ্গে স্বাভাবিক উদ্ভিদের প্রকৃতির পরিবর্তন উদাহরণসহ লেখো।
উত্তর- উচ্চতা বৃদ্ধির সঙ্গে সঙ্গে উষ্নতা, বৃষ্টিপাত ও তুষারপাতের তারতম্য অনুসারে বিভিন্ন ধরণের অরণ্য গড়ে উঠেছে।
ক) চিরহরিৎ অরণ্য: পূর্ব হিমালয়ের পাদদেশে থেকে প্রায় 1000 মিটার উচ্চতা পর্যন্ত অধিক বৃষ্টিপাতের (150-200 cm) কারণে শিশু, চাপলাস, মেহগনি, গর্জন, প্রভৃতি চিরহরিৎ উদ্ভিদের অরণ্য গড়ে উঠেছে।তবে পশ্চিম হিমালয়ে প্রায় 500 মিটার উচ্চতার মধ্যে বিক্ষিপ্তভাবে চিরহরিৎ অরণ্য দেখা যায়।
খ) মিশ্র অরণ্য: পূর্ব হিমালয়ের চিরহরিৎ অরণ্যের উপর 1000- 3000 উচ্চতায় এবং পশ্চিম হিমালয়ে 1500- 2000 মিটার উচ্চতায় মাঝারি বৃষ্টিপাতের কারণে ওক, ম্যাপল, বার্চ প্রভৃতি নাতিশীতোষ্ন পর্ণমোচী ও চিরহরিৎ এই দুই ধরনের মিশ্র উদ্ভিদ দেখা যায়।
গ) পাইন অরণ্য: পশ্চিম হিমালয়ের 1000-2000 মিটার উচ্চতায় এবং পূর্ব হিমালয়ের দু-একটি স্থানে পাইন অরণ্য গড়ে উঠেছে।
ঘ) সরলবর্গীয় অরণ্য: পূর্ব হিমালয়ের 3000- 4000 মিটার উচ্চতায় এবং পশ্চিম হিমালয়ের 2000- 3000 মিটার উচ্চতায় অধিক শৈত্য ও তুষারপাত ও সামান্য বৃষ্টিপাতের কারণে ফার পাইন স্প্রুস দেবদারু সিডার ওক পপলার প্রভৃতি সরলবর্গীয় উদ্ভিদের অরণ্য দেখা যায়।
ঙ) আল্পীয় অরণ্য: সরলবর্গীয় অরণ্যের উপরে প্রায় 3500-4500 মিটার উচ্চতায় প্রায় যেখানে 6 মাস বরফাবৃত থাকে এবং বাকি 6 মাস বরফমুক্ত থাকে সেখানে জুনিপার, রডোডেনড্রন, বার্চ প্রভৃতি ছোট ছোট বৃক্ষ নানারকমের তৃণ ও গুল্ম জন্মায়। এই সকল উদ্ভিদ একত্রে আল্পীয় নামে পরিচিত।ইউরোপের আল্পস্ পর্বতে এই ধরনের উদ্ভিদ দেখা যায় বলে এইরকম নামকরণ করা হয়েছে।

আরো পড়ো → বৃদ্ধি ও বিকাশ সম্পর্কিত প্রশ্ন উত্তর

WBPorashona.com-এর পোস্ট আপডেট নিয়মিত পাওয়ার জন্য –


আমাদের কাজ থেকে উপকৃত হলে এই লেখাটি বন্ধুদের সাথে শেয়ার করার অনুরোধ রইল।

পড়া মনে রাখার সেরা উপায় 👇

wb-porashona-to-the-point-ebook